প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৪, ১৮:৩১
ঘূর্ণিঝড়ে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি
শহর রক্ষাবাঁধে ভাঙনের আশঙ্কায় আমাদের আর থাকতে হবে না
সমাজকল্যাণমন্ত্রী এবং চাঁদপুর-৩ সদর ও হাইমচর আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, যে কোনো দুর্যোগ অসহায় মানুষের পাশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার রয়েছে।
চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের যে ৮২৭ কোটি টাকা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ যেন সর্বোচ্চ ভালো মানের হয় এবং সঠিক সময়ের মধ্যে হয় তা নিশ্চিত করা হবে। এজন্যেই স্থানীয় পর্যায়ে সমস্ত মানুষকে সম্পৃক্ত করে ভালোভাবে দেখাশোনা করা হয় এর ব্যবস্থা করা হবে। কাজের ক্ষেত্রে কোথাও কাজের মান নিয়ে কোন জায়গায় ব্যত্যয় ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে জানাবেন, ব্যবস্থা নেব।
তিনি শনিবার ১৫ জুন বিকেলে চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত পুরানবাজার হরিসভা এলাকা পরিদর্শনকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এই কথা বলেন।
মন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে মেঘনা নদীর ক্ষতিগ্রস্ত ওই এলাকার সরজমিনে দেখার জন্য আসেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় আমাদেরকে নদী ভাঙ্গন রোধে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখানে স্থায়ীবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধ ১৯৭২ সালে হয়েছিল। এই বাঁধে প্রতিবছর সংস্কার কাজ হয়।ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নেতৃত্বে একনেকের সভায় ৮২৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। শহর রক্ষাবাঁধের সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি ২০২৭ সালের মধ্যে কাজটি পুরোপুরি শেষ হবে। এই কাজ শেষ হলে একেবারে চাঁদপুরের এই মাথা থেকে সেই হাইমচরের জালিয়ার চর পর্যন্ত পুরোটাই স্থায়ী বাঁধ হয়ে যাবে। আমাদেরকে শহরে নদী ভাঙ্গন আশঙ্কায় আর থাকতে হবে না। শহর রক্ষাবাঁধ যে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল সেই জন্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নতুন প্রকল্প দিয়েছেন এবং ৮২৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে স্থায়ীবাঁধ হয়ে যাবে। আমরা নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাব।
এ সময় এলাকাবাসী এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল,পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাসান ইমাম বাদশা, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী বেপারী, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট হেলাল হোসাইন, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা রেজওয়ানুর রহমান রিজু, আঃ গণি, চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ মহসীন আলম, পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজীব শর্মা, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মানিক মাঝি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিনসহ আরো অনেকে।
এর আগে মন্ত্রী পুরাণবাজার ম্যারকাটিজ রোডে যান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ডেঙ্গু খানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। সম্প্রতি গুলিতে আঃ মজিদ খান ডেঙ্গু'র ছেলে নিহত হয়।