প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২১, ২২:৫৭
বঙ্গবন্ধু দ্রুততম সময়ে আমাদের সুন্দর একটি সংবিধান উপহার দিয়েছেন : পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম
১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ১৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
|আরো খবর
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এ যাবৎকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, এটা প্রমাণিত। বাংলার সাধারণ মানুষদের সংগঠিত করে শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। তিনি সব বাঙালির জন্যে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্যেই স্রষ্টার কাছ থেকে পাওনা নিজস্ব ভূমি ফিরে পেয়েছিলাম আমরা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন আমাদের অত্যন্ত আপনজন। বঙ্গবন্ধুর আগে অনেকেই নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পার্থক্য একটাই তিনি ছিলেন সাধারণের মধ্যে অসাধারণ। সবার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর যোগাযোগ ছিলো অত্যন্ত স্বাভাবিক। এজন্যেই দেশের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুকে আপনজন মনে করেন। বঙ্গবন্ধুর এসব অর্জনের জন্যে আমরা তার কাছে বারবার ফিরে যাই। আমাদের দুর্দাশা থেকে মুক্তি দিয়ে আলোর পথের পথরেখা তিনি দিয়ে গেছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, গতকাল এবং আজ শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক শুনতে পেয়েছি এবং সেগুলো তথ্যভিত্তিক এবং অনেক ক্ষেত্রে গভীরভাবে চিন্তা করলে মনে অনেক বেদনার উদ্রেক করে এবং একই সঙ্গে ঘৃণার উদ্রেক করে।
তিনি আরও বলেন, আলোচনার মূল্য সংযোজন করতে হবে। শুধু আলোচনা করলেই হবে না আমাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসছে কি না কিছুটা হলেও আমাদের কর্মে তাঁর প্রকাশ ঘটছে কি না, নাকি শুধুই আলোচনা করেই শেষ হচ্ছে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
এতো কম সময়ে দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান এবং আন্তরিকতা ছিলো সে প্রসঙ্গে ড. আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিকভাবে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১০৭টি দেশের স্বীকৃতি আদায় করেছিলেন, এতো দ্রুত সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
পৃথিবীর খুব কমসংখ্যক দেশই দ্রুত সময়ে তাদের সংবিধান প্রণয়ন করতে পেরেছে এর মধ্যে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য। জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ড. শামসুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের সুন্দর একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। যে সংবিধানে মানবিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিলো বিশেষ করে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করেই বর্তমানে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এবং টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মূল আদর্শ ছিলো বাংলাদেশ স্বাধীন করা এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন করা এর মানে এই না যে ধর্ম বাদ দিয়ে দেয়া।
সার্বিকভাবে একটি দেশ এগিয়ে যেতে যা প্রয়োজন তা হলো দেশটির অভ্যন্তরীণ আদর্শ। এই প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ইঙ্গিত করে ড. শামসুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা আর্থিকভাবে, সামাজিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। রাষ্ট্রের ভেতরের মানুষের আদর্শের কারণে একটা দেশ এগিয়ে যায় আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে। এই আদর্শ না থাকলে দেশে অপসংস্কৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গি-সন্ত্রাস বাসা বাধে।
বক্তব্যের শেষে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা তখনই সার্থক হবে যখন আমদের শিক্ষা বা কাজকর্ম মানুষের উন্নতির জন্যে হবে। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।