প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২১, ২০:১৫
সারাদেশের ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮১৩৬ জন
সারাদেশে গত একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ২৬১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর আগে ৫ আগস্ট ২৬৪ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর, যা কিনা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সে হিসেবে আজ (শনিবার) করোনাতে আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হলো দেশে। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৬১ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ২২ হাজার ৪১১ জন। শনিবার (৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
|আরো খবর
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ১৩৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৬ জন। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৮৩ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮২০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহীত হয়েছে ৩১ হাজার ৭০২টি। আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১ হাজার ৭১৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮০ লাখ ৭৫ ৪০৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪৯টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ১৯ হাজার ৯৫৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৬১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৫২ জন আর নারী ১০৯ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৪ হাজার ৯৭৪ জন আর নারী মারা গেলেন সাত হাজার ৪৩৭ জন।
তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন নয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আটজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মারা যাওয়া ২৬১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬২ জন, রাজশাহী বিভাগের আটজন, খুলনা বিভাগের ৪৫ জন, বরিশাল বিভাগের ১২ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, রংপুর বিভাগের ১০ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ১৬ জন।
আর ২৬১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৮৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৭২ জন, বাড়িতে মারা গেছেন তিনজন আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।