প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২২, ১৬:০৫
মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের ৩ তরুণসহ ৬ জন নিহত
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটে ইলিশ ভাজা দিয়ে ভাত খাওয়া ও পদ্মা সেতু দেখা হলো না ৫ বন্ধুর। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বন্ধু ও সিএনজি স্কুটার চালকসহ নিহত হয়েছেন ৬ জন। নিহতদের মধ্যে তিন তরুণের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলায় তারা ঢাকা সদর ঘাট কাপড় মার্কেটের সেলসম্যান হিসেবে চাকুরি করতেন বলে জানা গেছে।
|আরো খবর
শুক্রবার মার্কেট বন্ধ তাই, তারা মাওয়া ঘাটে ঘুরতে রওনা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে একটায় মুন্সিগঞ্জের নিমতলি হাসারা হাইওয়েতে ডিস্ট্রিক্ট ট্রাকের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে চাঁদপুরের তিনজনসহ মোট ৬ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চাঁদপুরের ৩ যুবক ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার ২ জন এবং সিএনজি চালক রয়েছে।
চাঁদপুরের নিহতরা হলেন সদর উপজেলার ইচলী এলাকার কলমতর গাজী বাড়ি এনায়েত উল্লাহ গাজীর একমাত্র ছেলে সামাদ গাজী (২৪), শাহমাহমুদপুর ইউপির পল্লীবিদুৎ এলাকার আবুল কালামের ছেলে আহাদ (২০) ও একই এলাকার জিহাদ (২০)। অপর বন্ধুর বাসা মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে বলে জানা যায়।
চাঁদপুরে নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা ৯ নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, নিহতদের চারজন তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান তাজ ফেব্রিক্সের কাছাকাছি সদরঘাট বিক্রমপুর গার্ডেন সিটি মার্কেটের নিচতলায় দুটি দোকানের কর্মচারী। রাত তিনটায় দুর্ঘটনার খবর পেয়েছেন। তারা রাত বারোটার সময় নয়াবাজার থেকে সিএনজি ভাড়া করে ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য মাওয়া ঘাটে ঘুরতে গিয়েছিল। নিহত সামাদের ভাই মো. রুবেল বলেন, পদ্মা সেতু দেখার উদ্দেশ্যে রাতে ৪ বন্ধু মিলে সিএনজিতে রওনা করে। মুন্সিগঞ্জের নিমতলি হাসারা হাইওয়েতে ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির চালক ও এক যাত্রীসহ ৪ বন্ধুই ঘটনাস্থলে মারা যায়। এর মধ্যে ৩ বন্ধু চাঁদপুরের আর একজন বিক্রমপুরের। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশের কাছে আবেদন করে নিয়ে আসা হয়েছে।