প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২২, ২১:৪৭
নিহত মুয়াজ্জিনের পরিবারের পাশে ইউএনও’র স্ত্রী
সম্প্রতি হাজীগঞ্জে ভাইয়ের ঘুষিতে নিহত হন হাজীগঞ্জ উপজেলাস্থ মসজিদ বাইতুল মামুর জামে মসজিদের সহকারী ইমাম (মুয়াজ্জিন) মোঃ সেলিম হোসেন। নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন হাজীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রাশেদুল ইসলামের স্ত্রী ডাঃ কামরুন্নাহার। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার সকালে স্ত্রীর পক্ষে নিহতের পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন রাশেদুল ইসলাম।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহত মুয়াজ্জিনের পরিবারের অসহায়ত্বের কথা শুনে ইউএনও মোঃ রাশেদুল ইসলামের স্ত্রী ডাঃ কামরুন্নাহার তাদের পাশে দাঁড়ান। তাই এদিন তাঁর পক্ষে মোঃ রাশেদুল ইসলাম ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে নিহতের পরিবারের হাতে নগদ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এ সময় তিনি তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। কুশল বিনিময়কালে হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ডাঃ কামরুন্নাহারের পক্ষে নিহতের পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ২৫ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল, ৫ কেজি আলু, ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ২৪টি ডিম, ২ কেজি গরুর গোস্ত, ৩টি মুরগি, ৩ কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি আদা, আধা কেজি রসুন, ২ কেজি লবণ, ২ কেজি চিনি, জিরাসহ রান্নার সবধরনের মসলা, আধা কেজি গুঁড়ো দুধ, সেমাই, দুই ধরনের সাবানসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দেন ইউএনও।
উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাঁড়িয়াইন গ্রামের নতুন মিজি বাড়িতে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে বড়ভাই নজরুল ইসলাম ও ছোটভাই মোঃ সেলিম হোসেনের সালিসি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। নজরুল ইসলামের পরে লোকজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ সালিসি বৈঠকে উপস্থিত হলেও সেলিমের পরে লোকজন সময়মতো না আসায় বৈঠকের কিছুটা দেরী হয়।
এর মধ্যে নজরুল ইসলাম ও মোঃ সেলিমের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দুজনেই অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মোঃ সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আহত নজরুল ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। নিহত মোঃ সেলিম হোসেনের স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও ১ ছেলেসহ ৫ সন্তান রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে।