প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ১১:২৫
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে লঞ্চ মালিকদের সাথে যাত্রীদেরও জরিমানা : নৌ প্রতিমন্ত্রী
অবশেষে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলো যাত্রীবাহী লঞ্চ। গতকাল মধ্যরাত থেকে লঞ্চ চলাচল শুরুর ঘোষণা আসায় বহু যাত্রী রাতে লঞ্চঘাটে ভিড় জমায় যদিও রাতেই বিআইডব্লিওটিএ থেকে নিশ্চিত করা হয় মধ্যরাতে নয় পরদিন (আজ) ভোর ৬টা থেকে শুরু হবে লঞ্চ চলাচল।
করোনা সংক্রমনের ঊর্ধ্বগতিতে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হলেও লঞ্চের যাত্রীদের মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রীদের নির্দিষ্ট দূরুত্বে অবস্থান নিশ্চিত করতে লঞ্চ মালিকদের কঠোর হুশিয়ারি করেছেন নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয়।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার জন্য যাত্রীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মালিকদেরও সতর্ক থাকতে হবে। না মানলে লঞ্চ মালিক ও যাত্রীদের জরিমানা করা হবে। সদরঘাটে মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সদরঘাট নৌবন্দর পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। নৌ-পুলিশ ও লঞ্চ মালিকদের এজন্য যথাযথ নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সদরঘাট বাইরে-ভেতরে ফিটফাট। আগে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত ১১ বছর ধরে আমরা সদরঘাটের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এতে আমাদের পাশে ছিল বিআইডব্লিউটিএ এবং লঞ্চমালিক ও যাত্রীরা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এক মাস পরে এসে সদরঘাটের সৌন্দর্য্য আরও দেখতে পারবেন।
তিনি বলেন, সদরঘাট এখন বিমানবন্দরের মতো। এটাকে আন্তর্জাতিকমানের করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধনে গাছ লাগানো হয়েছে।
বিআইডব্লিওটিএর নির্দেশনা অনুযায়ী আজ সকাল ৬টা থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ। এসময় প্রতিটি লঞ্চের প্রবেশপথে যাত্রীদের হ্যান্ড স্প্রে ছিটিয়ে জীবানুরোধক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লঞ্চের টিকেট কাউন্টারেও নিরাপদ দূরুত্ব রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের টিকেট কাটতে দেখা গেছে।
তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে লঞ্চের যাত্রী ও চালকদের এ সতর্কতা কতটুকু কার্যকর থাকে তা-ই দেখার বিষয়।