শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:৩১

চাঁদপুরে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত

প্রযুক্তি শিক্ষায় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ আমরা গড়তে চাই : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রযুক্তি শিক্ষায় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ আমরা গড়তে চাই : প্রধানমন্ত্রী

সারাদেশে একযোগে পালিত হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস। এ ধারাবাহিকতায় চাঁদপুরে এ দিবস পালিত হয়। রোববার ১২ ডিসেম্বর সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভার্চুয়ালি সভায় অংশ নেন চাঁদপুরের অংশগ্রহণকারীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফটওয়্যার তৈরিতে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের সাফল্যে আশা ব্যক্ত করে বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞান নিয়ে ‘২০৪১-এর সৈনিকরা’ প্রস্তুত। তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর সরকার ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজকে থেকে বলতে পারি, আর কোনো দুশ্চিন্তা নাই। প্রযুক্তি শিক্ষায় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ আমরা চাই, সে পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে এবং ইনশাল্লাহ অবশ্যই ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সৈনিকরা প্রস্তুত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১’ উদ্যাপন এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইসিটি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। ভার্চুয়ালি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ রূপকল্প ২০২১-এর যে চিন্তা চেতনাগুলো ছিল, লক্ষ্যগুলো ছিল সে লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হবে। আর সেই ভবিষ্যতের জন্যে আমাদের যারা নতুন প্রজন্ম তাদেরকেও প্রস্তুতি নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে অ্যাপ বানিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পুরস্কার পাওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও কিন্তু তাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে অনেক কিছু আজকে তৈরি করছে। বাংলাদেশের জনগণ সেই সেবা পাবে, পাচ্ছে এবং তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে।

তিনি বলেন, আজকের শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশে তাঁর সরকার যে সুযোগ করে দিয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে তা সম্ভব ছিলো না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েদের মধ্যে যে মেধা রয়েছে সেটাকে বের করে নিয়ে আসা এবং সেটাকে দেশের কাজে লাগানোই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে সরকার সত্যিই অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে।

অনুষ্ঠানে আইসিটি খাতে অবদান রাখার জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে আলাদাভাবে তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। জাতীয় পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে মোট চব্বিশটি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ এবং নগদ অর্থের চেক বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’র (সুরক্ষা অ্যাপ) প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সেরা দলের দলনেতা হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের জন্য আশীর্বাদ। প্রাধানমন্ত্রী ও তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের বিষয়ে না ভাবতেন তাহলে আমরা বিশ্ব থেকে পিছিয়ে যেতাম। বর্তমানে সরকারি বেসরকারি দপ্তরের সকল কাজ ডিজিটালাইলেশন করা হয়েছে। আজকের দিনে যাদুর আয়না থেকে কম নয় মোবাইল ফোন। মোবাইল সেটের মাধ্যমে সকল কিছুই করা সম্ভব।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিট) রাশেদা আক্তারের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী প্রমুখ।

সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান, এনএসআই উপ-পরিচালক শাহ মোঃ আরমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম লিপন, চাঁদপুর কোস্টগার্ডের নবাগত স্টেশন কমান্ডার মাশাদ উদ্দিন নাহিয়ান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন ডিজিটাল উপস্থাপনের উপরে প্রতিযোগিতায় ৬ জন বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়