প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২০:৪২
ফরিদগঞ্জে দরিদ্র নারীর কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে

ফরিদগঞ্জে সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (ভিডব্লিউবি)-এর আওতায় হতদরিদ্র নারীকে ফাঁকি দিয়ে সরকারি চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে ফারুক আহমেদ মিয়াজি নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ মিয়াজি ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তার নামে এক গৃহবধূ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযুক্তের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। চাল চুরির এমন অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
|আরো খবর
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে সাহাপুর গ্রামের মাঈনুদ্দিন খানের স্ত্রী আয়েশা আক্তার ভিডব্লিউবি’র আওতায় চালের কার্ডের আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যাচাই-বাছাই শেষে আয়েশা আক্তারের নামে ভিডব্লিউবি কার্ড নং ২৫ নিবন্ধিত করা হয়। সুযোগ বুঝে নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ মিয়াজি আয়েশা আক্তারকে ফাঁকি দিয়ে তার নিজের নামের বইতে অন্য নারীর ছবি ব্যবহার করে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে গত তিন মাসে ৯০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তার নিজের সকল কাগজপত্র নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে চলতি মাসের ৩০ কেজি চাল ভুক্তভোগী গ্রহণ করেন। তার সাথে বিএনপি নেতার এমন কাণ্ডে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ খান ও সাধারণ সম্পাদক মোক্তার খন্দকার জানান, আয়েশা আক্তারের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে দলীয় শৃঙ্খলার বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি বলেন, ঘটনাটি আমি কিছুই জানি না। আমি মনে করি আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারী চক্রের সকল সদস্যের বিচার চাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন মোহাম্মদ রাজন বলেন, ভিডব্লিউবি কার্ড পরিষদে গত মে মাসে এসেছে ১২২টি। সেখান থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ১৯টি কার্ডে তাদের নাম দিতে বলি। ওনারা যে নাম দিয়েছেন তাদের নামে কার্ড হয়েছে। তারা কী করেছে সেই কার্ড সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থাগ্রহণ করবে।সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার ফরিদগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মাকছুদা আক্তার বলেন, এমন একটি বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।








