বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৬

বিষখালীতে ১১ দিনে ১৪ জনের কারাদণ্ড, ১৩ লাখ টাকার জাল ও ২ মণ ইলিশ জব্দ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
বিষখালীতে ১১ দিনে ১৪ জনের কারাদণ্ড, ১৩ লাখ টাকার জাল ও ২ মণ ইলিশ জব্দ

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদীতে চলছে মা ইলিশ নিধন। সবচেয়ে বেশি নিধন হচ্ছে উপজেলার দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষা বাখেরগঞ্জের নিয়ামতি মোহনায়। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের যৌথ অভিযানে ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষার এক অভিযানেই ১৫টি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। নৌ পুলিশের নীরবতায় এ মোহনায় সব সময় মাছ নিধন হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে নৌ পুলিশ বলছে, ট্রলার নষ্ট থাকার সুযোগে কিছু জাল নদীতে ফেলেছে জেলেরা।

নদী তীরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের অভিযানের ট্রলার ও স্পীটবোর্ড পাহারা দিয়ে দিনে ও রাতে সুযোগ বুঝে কারেন্ট জাল ফেলছে অসাধু জেলেরা। রাতে, ভোররাতে, সন্ধ্যার দিকে এর প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি জাল ফেলা হয় উপজেলার দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষা বাখেরগঞ্জের নিয়ামতি মোহনায়। সেখানে শতাধিক জেলে নিয়মিত জাল ফেলছে।

নিয়ামতি নৌ পুলিশের এসআই শাহাজাদা জানান, ট্রলারের মেশিন নষ্ট হওয়ার সুযোগে কিছু জাল ফেলে ছিলো, তার জব্দ করা হয়েছে। এদিকে উপজেলার নাপিতের হাট, বাদুরতলা, উত্তরমপুর, চল্লিশকাহনিয়া, পালট ও বড়ইয়া এলাকা থেকে সন্ধ্যার পর ও ভোর রাতে অটো ও মোটরসাইকেলে বস্তা ও ব্যাগে ইলিশ উপজেলা শহরে সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্টের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি জানান, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দিন-রাত দুটি টিমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল জানান, প্রজননকালীন সময়ে কেউ যেন ইলিশ ধরতে না পারে, সে জন্যে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে।

১১ দিনে ১৪ জনকে কারাদণ্ড, ১৩ লাখ টাকার জাল ও প্রায় ২ মণ ইলিশ জব্দ করে এতিমখানায় প্রদান করা হয়। জব্দ করা জালগুলো পরে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং উদ্ধারকৃত ইলিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। রাজাপুর অংশের চেয়েও অন্য উপজেলার অংশগুলোতে মৌসুমি জেলেরা ইলিশ নিধনে বেশি উৎসাহী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় মা ইলিশ রক্ষায় সকলের সহযোগিতা দরকার বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের সকল নদ-নদীতে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে নিবন্ধিত ২,১৪২ জন জেলে পাবেন খাদ্য সহায়তার চাল।

ডিসিকে /এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়