সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ১৯:৩৩

বাংলামটর থেকে নিখোঁজ হওয়া মতলবের ব্যবসায়ী রবিউলের সন্ধান মিলেছে

অনলাইন ডেস্ক
বাংলামটর থেকে নিখোঁজ হওয়া মতলবের ব্যবসায়ী রবিউলের সন্ধান মিলেছে

মতলব দক্ষিণ উপজেলার নবকলস গ্রামের রবিউল আলম কাকন (৩২) নামক এক ব্যবসায়ী ঢাকা বাংলামটর থেকে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর সন্ধান মিলেছে। বর্তমানে তিনি তার গ্রামের বাড়ি মতলবে অবস্থান করছেন। রবিউল আলম রোকনের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানা পুলিশ। তাদের পরিবারের বরাত দিয়ে রমনা থানা পুলিশ বলেন, রবিউল আলম রোকন শুক্রবার দুপুরে তার এক বন্ধুর মোবাইলে ফোন করে জানান, সে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলো। রাতের মধ্যেই বাসায় ফিরবে।

রবিউল আলম রোকনের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার শারমিন বলেন, তার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পরদিন শুক্রবার দুপুরে জিহাদ নামের এক বন্ধুর মোবাইলে ফোন করে তার অবস্থানের বিষয়টি জানান। সাথে সাথে তার বন্ধু জিহাদ আমাদেরকে জানায়, বৃহস্পতিবার দোকানের মালামাল ক্রয়ের জন্যে প্রায় ৩ লাখ টাকা নিয়ে ধোলাইখালের উদ্দেশ্যে বের হলে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন ব্যক্তি তার পিছু নেয় এবং এক পর্যায়ে তাকে নেশা জাতীয় কিছু স্প্রে করে তার সাথে থাকা ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

একদিন পর জ্ঞান ফিরে আসলে তার বন্ধুর মোবাইলে ফোন করে জানায়, রাতের মধ্যে বাসায় ফিরবে। শুক্রবার রাত প্রায় পৌনে একটায় ঢাকা থেকে বাসযোগে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নবকলস গ্রামের নিজ বাড়িতে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার শারমিন। তবে তিনি শারীরিকভাবে এখনো পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে না উঠায় বিস্তারিত কিছু বলতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, রবিউল আলম রোকন দীর্ঘদিন যাবত ২৯০/১/৩ উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় গাড়ির পার্টস্-এর ব্যবসা করে আসছিলেন।বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় রবিউল আলম রোকন নিজ দোকানের মালামাল ক্রয়ের জন্যে ধোলাইখালে যান। দুপুর আনুমানিক ১ টায় তার স্ত্রী দোকানে এসে স্টাফদের নিকট তার স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করলে জানান, ধোলাইখাল গেছেন দোকানের মালামাল ক্রয়ের জন্যে। সাথে সাথে তার স্বামীর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে (০১৬২২৭৫২১৭৬) একাধিকবার ফোন করলে নাম্বারটি বন্ধ পায়।তখন ধারণা করেছিলো হয়তোবা নেটওয়ার্কের বাইরে আছে, তাই ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে।

রাতের মধ্যে দোকানে না আসায় এবং তার আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগ করে কোনো সন্ধান না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় তার পরিবার। পরে রাতেই রমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার শারমিন। সূত্র : ইনকিলাব।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়