শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫, ২১:১৭

১২ বছর পূর্বে সংঘটিত ছাত্রদল নেতা হত্যায় ডা. দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম
১২ বছর পূর্বে সংঘটিত ছাত্রদল নেতা হত্যায় ডা. দীপু মনিসহ ৪৯০ জনের বিরুদ্ধে   মামলা

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥ ২০১৩ সালে চাঁদপুর শহরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ- সহযোগী সমর্থক গোষ্ঠী হামলা এবং গুলি চালায়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম (২০)। এই হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিসহ ৪৯০ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুর সদর আমলী আদালতে হত্যার শিকার তাজুল ইসলামের বড়োভাই মো. ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন আরাফাত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এফআইআর করার নির্দেশ দেন।

মামলায় এজাহার নামীয় ১৪০ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৩৫০জনকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন : সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তার বড়োভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে ১৮ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সমর্থক গোষ্ঠী ব্যাপক হামলা এবং গুলি চালায়। ওই হামলায় ছাত্রদল নেতা তাজুল ইসলাম (রতন) বুকের বামপাশে গুলিবিদ্ধ হয় এবং ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। একই সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩০০জন আহত হন।

এই ঘটনার পর ১ ও ২ নম্বর আসামীর নির্দেশে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে নিহতের সুরতহাল ও তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় এবং বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে ও আসামীদের হুমকি-ধমকিতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বাদী মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হন। গেলো বছর ৫ আগস্টের পরে স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ায় সার্বিক পট পরিবর্তন এবং বাক স্বাধীনতা ফেরত পাওয়ায় এখন মামলা করেছি।

বুধবার রাতে মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বাদী মো. ফারুকল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় পরিবেশ অনুকূলে না থাকা ও বিবাদী পক্ষের নানা হুমকি- ধমকির কারণে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। ন্যায় বিচারের জন্যে বিলম্ব হলেও মামলা দায়ের করেছি। আশা করি আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবো।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের জিলানী মিল্টন জানান, ঘটনার পর মামলা দায়ের করার পরিবেশ না থাকায় প্রায় এক যুগ পরে বাদী মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আশা করি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাদী আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়