বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৫২

হাজীগঞ্জে টোল আদায় নিয়ে সমালোচনা

চাঁদাবাজি না জনবিভ্রান্তি?

কামরুজ্জামান টুটুল
চাঁদাবাজি না জনবিভ্রান্তি?

হাজীগঞ্জে টোল নিয়ে তোলপাড় চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান এই টোল আদায়কে বিগত সরকারের চাঁদাবাজির অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করছে নেটিজেনরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন এটি কোনোভাবেই চাঁদা নয়, রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইজারা দেয়া পুরো টাকাটা রাষ্ট্রীয় খাতে যাচ্ছে বা গেছে। এ নিয়ে সমালোচনা বা কাউকে খাটো করার সুযোগ নেই। গত সোমবার (১৪ এপ্রিল ২০২৫) থেকে এ টোল আদায় কার্যক্রম শুরু করেন ইজারাদারগণ। যা হাজীগঞ্জ পৌরসভা ইজারা দিয়েছে।

জানা যায়, প্রতি বাংলা সালের প্রথম দিন থেকে হাজীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন হাট-বাজার ইজারা দিয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় সিএনজি স্ট্যান্ড, হাটবাজার, মাছ বাজার, ট্রাকঘাট ইজারা দেয়। যার ব্যতিক্রম এবারেও ঘটেনি। পৌরসভার দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশক্রমে প্রাপ্ত ইজারাদারকে পয়লা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্যে বিধি মেনে টোল আদায় কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

আরো জানা যায়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানীয় সরকার বিভাগের হাট-বাজার ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন হাট-বাজারসমূহ ইজারা দেয়। এ ইজারা থেকে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কাজে ব্যয় করে। এর ধারাবাহিকতায় পৌরসভাসমূহ তার নিজ নিজ এলাকা হতে সরকার নির্ধারিত ২৯টি খাতে কর, উপ-কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য সূত্র হতে অর্থ আদায় করে। এই ২৯টি খাতের মধ্যে ৭ নম্বর খাতটি হলো টোল জাতীয় ফিস। স্থানীয় সরকার বিভাগের স্মারক নং-৪৬.০৪১.০৩০. ০২.০০.০০২.২০১১.৮৭০; তারিখ : ২১/০৯/২০১১ এবং সংশোধিত ২০/০২/২০১৮ তারিখের ৪৬.০৪১.০৩০.০১.০০.২০১৮-৯৩-এর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের অন্যান্য পৌরসভার মতো সরকারি বিধি অনুযায়ী হাজীগঞ্জ পৌরসভা পৌর হাট-বাজার, টার্মিনাল, বালুঘাট, পৌর পুকুর ও পাবলিক টয়লেটের ইজারা দেয়।

এর মধ্যে হাট-বাজার, টার্মিনাল, বালুঘাট ও পাবলিক টয়লেটসমূহ ১৪৩২ বাংলা সনের পয়লা বৈশাখ হতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ১ বছরের জন্যে এবং পৌর পুকুর ১৪৩২ ও ১৪৩৩ বাংলা সন অর্থাৎ ২ বছরের জন্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রাপ্ত ইজারাদারদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এদিকে কার্যাদেশের আলোকে গত সোমবার (১৪ এপ্রিল ও ১ বৈশাখ) থেকে সিএনজি, অটোবাইক, মিশুক ও ট্রাক থেকে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ইজারাদাররা।

এই সিএনজি, অটোবাইক, মিশুক ও ট্রাক থেকে টোল আদায়কে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত ক'দিন ধরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া যায়। যাতে বারবার তুলে আনা হয় এই চাঁদা আদায় বিগত সরকারের ধারাবাহিকতা ছাড়া কিছু নয়। টোল আদায়কে অনেকে চাঁদাবাজি বলে উল্লেখ করায় বিষয়টি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

প্রক্রিয়াটি কি চাঁদাবাজি নাকি বিধি মোতাবেক টোল আদায়--এ সম্পর্কে হাজীগঞ্জ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নূর আজম বিন আখতার জানান, এটি কোনোভাবেই চাঁদাবাজি নয়। সরকারি বিধি মোতাবেক টোল আদায় হচ্ছে। সরকারিভাবে নির্ধারিত বিধি অনুযায়ী পৌরসভা ২৯টি খাত থেকে আরোপিত কর, উপ-কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য সূত্র হতে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। এর মধ্যে ইজারা অন্যতম। আমরা হাজীগঞ্জ পৌরসভাট থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং পৌরসভাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে পৌর হাট-বাজার, টার্মিনাল, বালুঘাট, পৌর পুকুর ও পাবলিক টয়লেটের ইজারার জন্যে দরপত্র আহ্বান করেছি। পরে দরপত্রের শর্তানুযায়ী সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশক্রমে প্রাপ্ত ইজারাদারকে পয়লা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছরের জন্যে সিএনজি, অটোবাইক, মিশুক ও ট্রাক থেকে টোল আদায়ের কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়