প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫, ২১:৫০
ইলিশ অভয়াশ্রম সংরক্ষণে নৌ পুলিশের অভিযান
এগারো দিনে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭৯ হাজার মিটার অবৈধ জাল, আড়াই শ' কেজি মাছ, ২৫টি নৌকা জব্দসহ ৪১ আসামী গ্রেফতার : মামলা হয়েছে ২৩

জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের গত ১১ দিনের অভিযানে বিপুল পরিমাণ জাল, নৌকা, মাছ জব্দ এবং আসামী আটক হয়েছে। নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের একটি থানা ও পাঁচটি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এই ১১ দিনের অভিযানে পদ্মা ও মেঘনা নদী থেকে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭৯ হাজার মিটার অবৈধ জাল, ২,৫০৩ কেজি মাছ, ২৫টি নৌকা জব্দ এবং ৪১জনকে আটক করা হয়। এদের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা রুজু করা হয়।
জানা যায়, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের দুটি ফাঁড়ির অধীন মেঘনা নদী এলাকা থেকে ১১ দিনে ১৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩০০ মিটার অবৈধ জাল, ১৭৮ কেজি মাছ, ১৭টি নৌকা জব্দ এবং ৩৩জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে। নৌ পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চল ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫ সফল করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ মার্চ থেকে ১১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত নৌ পুলিশ, চাঁদপুর অঞ্চলাধীন লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন নদী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। চাঁদপুরের দুটি ফাঁড়ির অধীন মেঘনা নদী এলাকা থেকে ১৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩০০ মিটার অবৈধ জাল, ১৭৮ কেজি মাছ, ১৭টি নৌকা জব্দ এবং ৩৩ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
অপরদিকে শরীয়তপুর জেলার তিনটি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে পদ্মা ও মেঘনা নদী থেকে ৪৬ লক্ষ ৯৩ হাজার মিটার অবৈধ জাল, ২,২৭৫ কেজি মাছ, ১৭টি নৌকা জব্দ করা হয় এবং ১৮ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া চাঁদপুর জেলার একটি নৌ থানা ও পাঁচটি নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে পদ্মা ও মেঘনা নদী থেকে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭৯ হাজার মিটার অবৈধ জাল, ২,৫০৩ কেজি মাছ, ২৫টি নৌকা জব্দ করা হয় এবং ৪১ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
নৌ পুলিশের এই সফল অভিযানের ফলে বিপুল পরিমাণ ইলিশসহ নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা পেয়েছে। দেশের মৎস্যসম্পদ সুরক্ষায় নৌ পুলিশের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।