প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪৩
হাজীগঞ্জে বাবার ঘাতক ছেলে আটক
হত্যার আলামত উদ্ধার
হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রামে বাবাকে কুপিয়ে হত্যাকারী ছেলে সাকিব হোসেন (২৫)কে আটক করেছে পুলিশ। বাবা আক্তার হোসেন (৫৮)কে কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পুরাে ৪৩ দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ছেলেকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা থেকে তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সাকিবকে সাথে নিয়ে বাবাকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে টোরাগড় সরকার বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখান থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কাঁচি উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক। অভিযান পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ থানার উপ- পরপদর্শক (এসআই) আলমগীর সহ সঙ্গীয় ফোর্স।
|আরো খবর
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দিবাগত রাতে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করছে নিহতের পরিবার।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে সাকিবকে ঢাকার বসিলা থেকে আটক করা হয়েছে। দুপুরে ঘাতক সাকিবকে নিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কাঁচি উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের পরে নিহতের স্ত্রী তাছলিমা বেগম সাংবাদিক ও পুলিশকে জানান, আমাদের পরিবারের সদস্য আটজন। এর মধ্যে ছেলে সাকিব ও তার স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার ফারহানা রয়েছে। ছেলে সংসার খরচ দেয় মাসে এক হাজার টাকা । এসব নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ছেলেকে বকা দেয় তার বাবা। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একই সময় আমার বকাঝকার পর ছেলে শান্ত হয়ে চলে যায়। এরপর থেকে আর কোনো ঝামেলা নেই। এরই মধ্যে ছেলের বউ (সাকিবের স্ত্রী ফারহানা) তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারপর থেকে ছেলে নিজ বাড়ি ও শ্বশুর বাড়িতে থাকা শুরু করে । পরে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ফের বাবা-ছেলের ঝগড়া হলেও পরে আবার থেমে যায়। এরপরে আমি আমার আত্মীয়কে দেখতে বাজারস্থ একটি হাসপাতালে যাই। রাত বারোটার দিকে আমার শাশুড়ি, আমার অন্য ছেলেরা ও মেয়েরা ঘুমিয়ে ছিলো। হঠাৎ করে আমার স্বামীর চিৎকার শুনে তারা ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে, সাকিব ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। পরে তারা আমার স্বামী (আকতার হোসেন)কে নিয়ে হাসপাতাল চলে যায়। সেখান থেকে কুমিল্লা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ছেলে যখন বাবাকে কুপিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় তা দেখেছে আমার মেয়ে। মেয়েই ফোন করে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসতে আমাকে বলে। এ ঘটনায় আমার ছেলের বউ (ফারহানা) জড়িত। সে আমার ছেলের মাথা খারাপ করে ফেলেছে। আমি আমার স্বামী হত্যায় ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিচার চাই।