শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:১৭

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে সরানো হলো র‌্যাবকে

অনলাইন রিপোর্টার জাকির
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে সরানো হলো র‌্যাবকে
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি । ছবি : সংগৃহীত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলা তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

হাইকোর্ট বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার থেকে র‌্যাবকে সরানো হলো। এটি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ, যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারবে সরকার।

এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১১১ বার পিছিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ নতুন দিন ধার্য করেন।

এদিকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলী রোমান এ তথ্য জানান। পরে মামলা নিয়ে শিশির মনির এবং নওশের আলী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

শিশির মনির বলেন, সাগর-রুনি মামলার অভিযোগকারী আমাকে নিযুক্ত করেছেন। আমরা নিম্ন আদালতে দরখাস্ত দায়ের করব। যারা তদন্ত করছে, তাদের সঙ্গে বসব। এখন র‌্যাব তদন্ত করছে। আমাদের জানা মতে সবচেয়ে দক্ষ তদন্ত সংস্থা পিবিআই। আমরা চাই তারা তদন্ত করুক।

নওশের রোমান বলেন, এত বছর আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। বিচার চাওয়াও লজ্জাজনক মনে হচ্ছিল। আগের সরকার মামলাটা ধামাচাপা দিয়েছিল। ওই সরকার যেহেতু নেই, মনে করছি কিছু হতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত কিছু না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আশা করার কিছু নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এতদিন যোগাযোগ করত না। ৫ আগস্টের পর তদন্ত কর্মকর্তা বেশ কয়েকদিন বাসায় গেছেন। তবে অগ্রগতি হওয়ার মতো কিছু জানাননি।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছে।

তথ্যসূত্র : কালবেলা

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়