প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪, ২১:৫২
চাঁদপুরে বেপরোয়া ইজিবাইক, বাড়ছে দুর্ঘটনা
চাঁদপুর শহরসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কগুলিতে দেদারছে চলছে ব্যাটারিচালিত হাজারো ইজিবাইক ও অটোরিকশা। আর এসব যান চলাচলকে কেন্দ্র করে চলছে বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব। প্রশাসনের নাকের ডগায় ইজিবাইক-অটোরিকশা চললেও বিষয়টি যেন তাদের নজরেই আসে না। এতে একদিকে যেমন রাস্তায় অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব গাড়ির অবাধ চলাচল দেখে মনে হয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনটাই অটো হয়ে গেছে। ইজি বাইক বা এই অটো রিক্সা বন্ধে বা নিয়ন্ত্রণ করার কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।এই অটো বাইকের ধাক্কায় বহু মানুষ দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও।প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
১১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাবার সময় মাইশা (১০) নামে তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থী অটোরিকশার ধাক্কায় লুকিয়ে পড়ে। তার দুই পা ছিলে গেছে হাতে মুখে কপালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
চাঁদপুর সদর বালিয়া জনতা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মাইশা ওই এলাকার শওকত আলীর মেয়ে এবং দক্ষিণ ইচলি জনতা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মেয়েটিকে অসংখ্য জনক অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এমনিতেই চাঁদপুর শহরকে বলা হয় অটো গাড়ির শহর। প্রতিদিনই শহরের কোথাও না কোথাও এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তাগুলোতে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এসব যানবাহন। এসব ইজিবাইক ও অটোরিকশাগুলোর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অলিগলিসহ মহাসড়ক গুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
তবে চালকদের নেই কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা। অদক্ষ চালক অনেক সময় অটো বাইক নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অধিকাংশ ইজিবাইক চালাচ্ছে কিশোর এবং অন্য পেশা থেকে আসা শ্রমিকরা। এসব ইজিবাইক ও অটোবাইকের অদক্ষ চালক, যেখানে-সেখানে ইউটার্ন নেয়া এবং যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণেও ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।