শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ২১:০০

বিক্রি হওয়া শিশুকে উদ্বার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ

মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল
বিক্রি হওয়া শিশুকে উদ্বার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ

মাত্র ৪ দিন বয়সী শিশুকে বিক্রি করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই উদ্ধার করে শিশুটির মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। ১১ জুন দুপুরে শাহরাস্তি থানা পুলিশের প্রেসব্রিফিংএ বিস্তারিত তুলে ধরেন কচুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান সাঈদ জিকু। তিনি জানান, ১০ জুন দুপুরে ৯৯৯ থেকে শাহরাস্তি থানা এলাকা থেকে একটি শিশু বিক্রয় হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে কথা বলি। পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে পুলিশ তৎক্ষণাৎ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অভিযানে নেমে পড়ে রাতেই চাঁদপুর শহর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এবিষয়ে তিনি জানান উক্ত ঘটনায় কোন অপরাধ সংঘটিত না হওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনায় শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। শাহরাস্তি থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, এই ঘটনার মাধ্যমে পুলিশ মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এর পূর্বে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার দক্ষিণ দেবকরা গ্রামের রাজমেস্ত্রি আবু নাছিরের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস শাহরাস্তি উপজেলা সদরে অবস্থিত পপুলার হাসপাতালে একটি কণ্যা সন্তান প্রসব করে। ১০ জুন সকালে মেহার উঃ ইউনিয়নের খনেশ্বর গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা বেগম তার মেয়ের জন্য শিশুটিকে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে তাদের মধ্যে একটি চুক্তি নামা তৈরি করা হয়। ৯৯৯ এর মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু'জনকে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই পুলিশ চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদি ব্যাংক কলোনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেহেনা বেগমের মেয়ে হালিমা সিদ্দিকার বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মা জান্নাতুল ফেরদাউস জানান, তার স্বামী একজন রাজমেস্ত্রি তার ঘরে দুইটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। আল্ট্রাসনোগ্রামে তৃতীয় সন্তান কণ্যা হবে যেনে নিঃসন্তান দম্পতি হালিমা সিদ্দিকার কছে শিশুটিকে বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে জান্নাতুল ফেরদাউস দাবি করেন শুধু মাত্র সিজারিয়ান অপারেশন ও হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয়ের বিনিময়ে শিশুটি দেয়া হয়। বিক্রি করা শিশুটি ফিরে পেয়ে মা জান্নাতুল ফেরদাউস তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমি আর এ ভুল করবো না। এ কয়েকঘণ্টার মধ্যে সন্তান হারানোর কষ্ট আমি বুঝতে পেরেছি। বর্তমানে আবু নাসির ও জান্নাতুল ফেরদাউস চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের খেড়িহর গ্রামের হুনার বাড়িতে বসবাস করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়