শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৬

পূর্ব বিষ্ণুপুর সপ্রাবির

প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পূর্ব বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত সিলিপের অর্ধলক্ষ টাকাসহ একাধিক বরাদ্দের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষিকার নাম সালমা আক্তার। শুধু একাধিক বরাদ্দের টাকা হাতিয়ে নেয়াই নয়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও দাতা সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করার অভিযোগও রয়েছে এই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্ব বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের জন্যে ৫০ হাজার টাকা সিলিপ বরাদ্দ আসে। সেই টাকার কোনো কাজ না করে পুরোটাই হাতিয়ে নেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সালমা আক্তার। এছাড়াও বিদ্যালয়ে একাধিক জনের দেয়া উপহার সামগ্রীকে তিনি ভাউছার করে বিল উঠিয়ে নেন। এমনকি বিদ্যালয়ে জাতীয় কোনো দিবসের অনুষ্ঠানও করেননি তিনি। সরকারিভাবে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা দেয়ার নিয়ম থাকলেও উল্টো এই প্রধান শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাড়ি থেকে খাতা আনান এবং পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেন। বিদ্যালয় থেকে প্রত্যায়নপত্র নেয়ার সময় তাকে ৪০০-৫০০ টাকা করে দিতে হয় অভিভাবকদের। এমনকি বিদ্যালয়ের কোনো ওয়াশরুম শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করতে দেন না এই প্রধান শিক্ষিকা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্যে নিতে গেলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বিদ্যালয় থেকে কেটে পড়েন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের ঢালী বলেন, আমি বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি আমি জানি না কোনো স্বাক্ষরও দেইনি অথচ দেখি রেজুলেশনে আমার স্বাক্ষর। এভাবে আমাদের এক দাতা সদস্যের স্বাক্ষরও তিনি জালিয়াতি করেছে। বিদ্যালয়ে নাকি ৫০ হাজার টাকা সিলিপ বরাদ্দ আসছে ইতিমধ্যে টাকাও উত্তোলন করেছে অথচ এক টাকারও কাজ হয়নি। আমি নিজে বিদ্যালয়ে একটি টেবিল উপহার দিয়েছি। অথচ তিনি সেই টেবিলের ভাউছার করে বিল উঠিয়ে নিয়েছে। বিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে তিনি আমাদের কমিটির সাথে যোগাযোগ করেনি।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মজিবুর রহমান বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো শুনলাম তা খতিয়ে দেখার জন্যে আমাদের যে সহকারী শিক্ষা অফিসার দায়িত্বে আছে তাকে আমি পাঠাবো এবং অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত বিষয়টি শুনে দ্রুত তা খতিয়ে দেখার জন্য সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়