জামাই ভিডিও কলে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখায়

সকালে আমি জামাইকে (সোহেল) ফোন করলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরে আমার ছেলেকে পাঠাই এবং জামাইকে আবার ভিডিও ফোন দেই। তখন জামাই আমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় ইভার লাশ দেখায়। তারা আমার মেয়েকে মেরে টানিয়ে রেখেছে। কথাগুলো বলছিলেন উদ্ধার হওয়া ইভা আক্তারের মা তাহমিনা বেগমের।

২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ইভা নামের এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের স্বামী মাদ্রাসা শিক্ষক সোহেল (৩০) আটক করে। এদিন ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ এলাকার একটি ভাড়া বাসায়।

ইভা হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাজীরগাঁও গ্রামের প্রবাসী খোকনের মেয়ে। সোহেল হাজীগঞ্জ বাজারের আল-কাউসার মাদ্রাসার শিক্ষক ও মতলব উত্তর উপজেলার বাসিন্দা।

ইভার স্বজনারা জানান, ইভা হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ৫ মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে সোহেলের সাথে তার বিয়ে হয় এবং বিয়ের পর থেকেই স্বামী ফার্নিচারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের জন্য চাপ-সৃষ্টি ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। এখন ইভাকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।