প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১৯:১৭
স্বর্ণালংকার উদ্ধারসহ ৩ চোর গ্রেফতার
চাঁদপুরে শহরের ট্রাক রোড এলাকার একটি বাসায় চুরি হওয়া ৮ ভরি স্বর্ণালংকার থেকে চোরদের হেফাজত হতে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
|আরো খবর
রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বুধবার (২৬ আগস্ট) দিনগত রাতে শহরের ট্রাকরোডসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শাহরাস্তি উপজেলার স্বপন গাজীর ছেলে ইমন গাজী, শহরের নিউ ট্রাকরোড এলাকার দুলাল খানের ছেলে হুমায়ন কবির বাবু ও রহমতপুর কলোনীর মানিক মালের ছেলে আল-আমিন মাল।
গত ২৬ আগস্ট ভুক্তভোগী ফরিদ আহমেদ খান শিপন বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি চুরির মামলা করেন। যার নং-৭১। মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় শহরের নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাকিবুল ইসলামকে।
চুরি যাওয়া মালামালের মধ্যে ছিল-স্বর্নের লকেট ১টি, ওজন অনুমান ১ ভরি ১৩ আনা, স্বর্নের চুড়ি ১টি: ওজন অনুমান ১ ভরি ৩ আনা, স্বর্ণের চেইন ২টা: ওজন অনুমান ৫ আনা, ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল: ওজন অনুমান ১ আনা, ১টি পাথরসহ স্বর্ণের আংটি: ওজন অনুমান ৪ আনা, ১ জোড়া স্বর্ণের কানের রিং ওজন অনুমান ৭ আনা, ১টি মুক্তাসহ স্বর্ণের টিকলি, ওজন অনুমান ৪ আনা, ১টি স্বর্ণের হার ওজন অনুমান ১ ভরি আনা, ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ওজন অনুমান ৬ আনা, ১টি স্বর্ণের আংটি ওজন অনুমান ৩ আনা, ২টি স্বর্ণের চেইন ওজন অনুমান ১ ভরি, ৩টি স্বর্ণের আংটি ওজন ৭ আনা। সর্বমোট ৮ ভরি স্বর্ণালংকার। যার সর্বমোট মূল্য ৮ লাখ টাকা এবং নগদ ২০ হাজার টাকা।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ব্যবসায়িক কাজে গত ৩ আগস্ট ফরিদ আহমেদ খান শিপন ঢাকা যান। গত ৭ আগস্ট সকালে পাশবর্তী ভাড়াটিয়া তাহমিনা বেগম পিছনের দরজার লক ভাঙা ও দরজা খোলা দেখতে পেয়ে বিষয়টি ভুক্তোভোগী শিপন কে জানান। পরে তিনি জরুরি ফোন পেয়ে চাঁদপুর চলে আসেন। এসে দেখেন চোর তার বাসা থেকে ৮ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার যাহার মূল্য আনুমানিক ৮ লাখ টাকা এবং নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, চোরাইকৃত স্বর্ণালংকার উদ্ধারে অজ্ঞাতনামা মামলাটি দায়েরের পর নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ওলি উল্লাহর নেতৃত্বে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রথমে মূল হোতা ইমন গাজীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে বাবু ও আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। বাবুর বাড়িতে লুকিয়ে রাখা ৬ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। আর নগদ টাকাগুলো তারা খরচ করে ফেলে বলে জানায়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম জানান, রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।