মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ২০:১৬

হরিসভা এলাকার নিজ বাসস্থান হতে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

বিমল চৌধুরী
হরিসভা এলাকার নিজ বাসস্থান হতে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুর পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার নিজ বাসভবন হতে ব্যবসায়ীর পঁচা গলিত লাশ উদ্ধার করেন পুরাণবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। জানা যায়, পুরাণবাজারের চাল ব্যবসায়ী সমর সাহার কনিষ্টপুত্র চাল ব্যবসায়ী সুজন সাহা (৩০) তারই পৈত্রিক সম্পত্তি পুরাণবাজার পূর্ণসাহার বাড়িতে পৃথকভাবে একা বসবাস করে আসছিলেন। অবিবাহিত সুজন সাহার সাথে তার পরিবারের অন্য দুই ভাই ও পিতার সাথে তেমন কোনো মিল না থাকায় সে পরিবার থেকে অনেকটাই ছিলো বিচ্ছিন্ন। তাই তার ব্যাপারে পরিবারের অন্য কেউ তেমন খোঁজ খবর রাখতেন না বলেও সরেজমিনে জানা যায়।

১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালের দিকে তার বসতবাড়িতে থাকা অনান্য পরিবারের লোকজন পচা দুর্গন্ধময় গন্ধ পেয়ে, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে থাকে এবং গন্ধের উৎস সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা বুঝতে পারেন সুজন সাহার ঘর থেকেই দুর্গন্ধ আসছে। সাথে সাথে বাড়ির লোকজন তার বাবাকে বিষয়টি অবহিত করলে তা পুরাণবাজার ফাঁড়ি পুলিশকে জানানো হয়। সংবাদ পেয়ে পুরাণবাজার ফাঁড়ির এসআই রাজীব শর্মা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়ে তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। এক পর্যায়ে চাঁদপুর সদর সার্কেল ইয়াসিন আরাফাত ও চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহসিন আলম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে পুলিশ লাশের সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসলেও এদিন আর ময়নাতদন্ত না হওয়ায় সুজনের অন্ত্যোষ্ট্রিক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এদিকে পুলিশের উপস্থিতিতেই তার হতভাগ্য পিতা সমর কান্তি সাহা তার পুত্ররের ময়নাতদন্ত অর্থাৎ কোনরুপ কাটা ছেড়া ছাড়াই যাতে তার মৃত পুত্রকে ধর্মীয় বিধানমতে দাহ করা যায়, সে ব্যাপারে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অনুরোধ জানিয়ে ও ব্যর্থ হন। তার পিতা পুলিশকে জানান, আমার মত সুখী কেউ নাই আবার আমার মত দুঃখী কেউ নাই। আমি পুত্রদের সুখের জন্য আলাদা ব্যবসা-বাণিজ্যসহ ভিন্ন পাকা বসতঘর করে দিয়েছি। সে একাই সে ঘরে থাকত। কিন্তু মরণ নেশা তার সব কেড়ে নেয়। অনেক বুঝিয়েও তারে ঘরে ফেরাতে না পেরে নিজেরাই ব্যর্থ হয়ে গেছি। অনেক চেষ্টা করেছি বিয়ে দিতে কিন্তু তার অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরার কারনে তা আর হয়ে উঠেনি। ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই বলেও তিনি জানান।

লাশ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখা যায়, তার বসত ঘরের লাইট, ফ্যান, এসি সবই চলমান রয়েছে, শুধু খাটের নীচে পড়ে আছে সুজনের নিথর পচাঁ গলিত মরদেহ। প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণা রাতে বা দিনের কোন এক সময় সে খাট থেকে পরে গিয়ে আহত বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে এবং ঘরে কোন লোকজন না থাকায় ঘটনা সম্পর্কে কেউ কিছু জানতে পারেনি, তাই তার মরদেহ পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ধারণ করা হচ্ছে গত ৪/৫ দিন আগেই তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

এদিন তার মৃত্যু সংবাদ শুনে সাথে সাথে চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, পরিচালক পরেশ চন্দ্র মালাকার, গোপাল সাহা, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী (পিপি), উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, সদস্য অ্যাডঃ প্রভাষ সাহা, সদর উপজেলা হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ ভাস্কর দাস, সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সস্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, পৌর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহাসহ অনেকেই ছুটে আসেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়