প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ২১:০৯
মেঘনা নদীতে পণ্যবোঝাই ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় আটক ৬
মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে ইসলামিয়া পরিবহন নামে একটি মালবাহী ট্রলারের ডাকাতির ঘটনায় ট্রলারের পাঁচজনসহ ৬ জনকে আটক করেছে বেলতলী নৌফাঁড়ি পুলিশ। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সিটি মিল থেকে খুলনার ব্যবসায়ীদের ভোজ্যতেল, চিনি, আটা, ময়দার একটি চালান পরিবহনের সময় ইসলামিয়া পরিবহন নামের ট্রলারে ডাকাতি করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। পরে ট্রলার মালিক কাদির বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ বিষ্ণুপুর কানুদী বাজারের একটি গুদাম হতে ১৩৬ বস্তা চিনি উদ্ধার করে নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
|আরো খবর
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলতলী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর বাবর ঘটনাটি তদন্ত করে মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেয়। এ সময় সাক্ষীদের কথা গরমিল দেখে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসা করলে তারা এই চিনি ও তেল আত্মসাতের ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে।
পরবর্তীতে সেই ডাকাতি মামলার সাক্ষী মকবুল গাইন, মোঃ হোসেন গাজী, মনির হোসেন, আবুল হোসেন, জয়নাল আবেদীনকে আটক করে।
ডাকাতি হওয়া তেল কিনে রাখার অভিযোগে পরবর্তীতে দাউদকান্দির আশিষ ভান্ডারের মালিককেও আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর বাবর জানায়, আটকৃত আসামিদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। মে মাসের ৭ তারিখ আদালতের রিমান্ড শুনানি করা হবে। এর সাথে যারা জড়িত রয়েছে সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, রুপগঞ্জ থানা রূপসী সিটি মিল থেকে ইসলামিয়া পরিবহন নামে ট্রলারটিতে চিনি ২৫৬০, ময়দা ৭২০, সয়াবিন ও পামওয়েল ৬৪৫ ড্রাম তেল খুলনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে মতলব উত্তর ষাটনল এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র মালবাহী ওই ট্রলারে ডাকাতি করে দাউদকান্দি এলাকায় নিয়ে ৩৬০ ড্রাম তেল প্রচার করে। পরবর্তীতে সেই ট্রলার সেখান থেকে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের লালপুর ও কানুদি এলাকায় এনে ৬৪০ বস্তা চিনি নামিয়ে রাখে। ডাকাতি হওয়া ৪০ ড্রাম তেল দাউদকান্দি আশিষ ভান্ডার থেকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ।