প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
ডাঃ হাসানুর রহমানের ভুল চিকিৎসায় ৭ম শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ

চাঁদপুরে চিকিৎসক দম্পতি ডাঃ হাসানুর রহমান ও ডাঃ সাছুন্নাহার তানিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ অব্যাহত থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে এরা একের পর এক অপরাধ করেও বুক ফুলিয়ে অন্য অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছে না।
|আরো খবর
চাঁদপুর শহরের শেখেরহাট এলাকার মিজি বাড়ির বাসিন্দা প্রবাসী রিপন মিজির স্ত্রী লিপি আক্তার জানান, মৃত লিমন মিজি (১৩) গত কয়েক দিন যাবৎ এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় ভুগছিলো। পরে তিনি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ হাসানুর রহমানকে দেখালে তিনি লিমনের এপেন্ডিসাইটিস থেকে ব্যথা হচ্ছে বলে তাকে অপারেশন করাতে হবে বলে জানান। তাই ডাক্তারের পরামর্শক্রমে গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় শহরের মুন হসপিটালে ভর্তি করান। ভর্তির পর রাত ৮টার দিকে ডাঃ হাসানুর রহমান তার অপারেশন করান। অপারেশনের পর ধীরে ধীরে লিমনের অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর লিমনের অবস্থার অবনতি ঘটার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারকে বিষয়টি জানানোর পরও তারা লিমনের চিকিৎসার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ না করায় মধ্য রাতে লিমনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে মৃত লিমনের স্বজনরা হাসপাতালে এসে ভীড় জমায়। হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। লিমনের স্বজনরা হাসপাতাল ভাংচুর করে। এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আব্দুর রশীদের নির্দেশে এসআই শাহজাহান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং রোগীর স্বজনদের অনুরোধে হাসপাতালের পরিচালক মোঃ হেলালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি, বরং একের পর এক মৃতের স্বজনরা হাসপাতালে ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আব্দুর রশীদের দিক-নির্দেশনায় এসআই শাহজাহানের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স কৌশল অবলম্বন করে ভোরের দিকে লাশ থানায় নিয়ে আসে।
পরে রোগীর স্বজনরা সারা দিনেও চেষ্টা করে থানা থেকে লাশ নিতে পারেনি। হাসপাতালের দায়িত্বশীল এবং চিকিৎসক ও মৃতের স্বজনদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে লাশ মৃতের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মৃতের স্বজনরা জানান, লিমন মিজি চাঁদপুর ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড়।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, মূলত ডাক্তার এবং রোগীর সাথে কথা হয়ে রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু রোগীর কোনো দুর্ঘটনা হলে খেসারত দিতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
জনগণ সচেতন না হলে ভবিষ্যতে আরো ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হতে হবে।