বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৪৮

পাকিস্তানের ব্ল্যাক প্যান্থারের গর্জন: তাড়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফায়েল

মো. জাকির হোসেন
পাকিস্তানের ব্ল্যাক প্যান্থারের গর্জন: তাড়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফায়েল
ছবি : সংগৃহীত

কাশ্মীরের আকাশসীমায় হঠাৎ করেই মুখোমুখি হয়ে যায় দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশের যুদ্ধবিমান। পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের ‘র‍্যাপিড রেসপন্স স্কোয়াড্রন’ ভারতীয় রাফায়েল স্কোয়াডকে সনাক্ত করে ধাওয়া দিলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ভারতীয় বাহিনী।

২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে এক রক্তাক্ত হামলার পর থেকেই চিরবৈরী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আবারও উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ায় ভারত দায় চাপায় ‘পাকিস্তানপ্রসুত জঙ্গি গোষ্ঠীর’ ওপর, যদিও ইসলামাবাদ বারবার এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

কাশ্মীরের আকাশে টহলের গল্প:

৩০ এপ্রিল (বুধবার) রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর চারটি রাফায়েল যুদ্ধবিমানকে ‘অধিকৃত কাশ্মীরের’ আকাশে টহল দিতে দেখা যায়। একাধিক রাডার ফিড, এয়ার ট্রাফিক অডিও এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য অনুযায়ী, বিমানের গতিবিধি ছিল 'আক্রমণাত্মক'।

তারপরই পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের (PAF) স্কোয়াড্রন–১৬ (ব্ল্যাক প্যান্থার) কন্টিনজেন্সি অ্যাকশন নেয়। সূত্র জানায়, তারা দুটি JF-17 ব্লক-৩ এবং একটি F-16 দিয়ে “হাই-স্পিড ইন্টারসেপ্ট” পরিচালনা করে। এতে ভারতীয় রাফায়েলগুলো ‘রেডিও সাইলেন্স’ মোডে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া:

পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন,

"ভারত যদি সীমান্ত লঙ্ঘনের ধৃষ্টতা দেখায়, তাহলে আমরা দ্বিতীয় নয়—প্রথম ঢেউয়েই জবাব দেব। কাশ্মীর আমাদের রক্তে মিশে আছে।"

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসহাক দার স্পষ্টভাবে বলেন, "আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে কেউ আগুন জ্বালালে নিঃসন্দেহে তারা ছাই হয়ে যাবে।"

পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ওই দিনই এলওসি বরাবর ভিম্বার ও কেল সেক্টরে ভারতীয় দুটি কোয়াডকপ্টার ভূপাতিত করা হয়েছে। এসব ড্রোন পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনার খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল।

ভারতের প্রতিক্রিয়া ও প্রস্তুতি:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সশস্ত্র বাহিনীকে ‘কার্যকর স্বাধীনতা’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতের সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে এলওসি সংলগ্ন রাজৌরি ও উধমপুর সেক্টরে “Surge Readiness” মোডে চলে গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই ‘অভ্যন্তরীণ চাপ’ আন্তর্জাতিকভাবে ‘আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া’ সৃষ্টি করছে।

গোপন গোয়েন্দা তথ্য ও মিডিয়া লিক:

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নর্দার্ন কম্যান্ডের অভ্যন্তরে একটি 'False Flag Operation'-এর প্রস্তুতির কথা গত সপ্তাহে মার্কিন ও ইউরোপীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে পর্দার আড়ালে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

পাকিস্তান সরকার এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি তুলতে চায়, যদিও চীন ইতোমধ্যে কৌশলগতভাবে ইসলামাবাদকে সমর্থন দিয়েছে।

কূটনৈতিক ভাষায় উত্তেজনা থাকলেও সামরিক পরিভাষায় উভয় দেশ যুদ্ধের দোরগোড়ায়। উভয় পক্ষের মিডিয়া এখন “দেশপ্রেম” ও “প্রতিরোধের সাহস” দেখিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে।

কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি “এয়ার ওয়ারফেয়ার ব্ল্যাকহোল” তৈরি হচ্ছে, যেখানে সত্য-মিথ্যার ভেদ করা কঠিন।একদিকে যুদ্ধং দেহি রাজনীতি, অন্যদিকে জাতিসংঘে ‘অশান্তি-দূত’ তকমা এড়াতে চেষ্টারত দুটি দেশ।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়