রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  •   জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়
  •   ইতালির দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২১
  •   অভিভাবকহীনতায় দিশেহারা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
  •   আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

মেঘনা নদীতে থামছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি

মিজানুর রহমান ॥
মেঘনা নদীতে থামছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি

চাঁদপুরে মেঘনার প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ নদীর তলদেশের বালু উত্তোলন এবং বিক্রি থামছে না। নানা প্রক্রিয়ায় নদীতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য চলছে বালুখেকোদের। অথচ চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগ থেকে বালু মহাল ইজারা নেই প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়। কিন্তু চাঁদপুর মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু কাটা এবং বাল্কহেডে ভর্তি বালু বিক্রির কার্যক্রম ঠিকই চলছে।

চাঁদপুরে জনশ্রুতি রয়েছে, অবৈধভাবে রাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সম্পদ এই নদীর বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে চিহ্নিত কিছু লোক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।

সচেতন মহলের জিজ্ঞাসা, ইউএনও, অ্যাসি ল্যান্ড, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে রাষ্ট্রের সকল প্রশাসন রয়েছে। কিন্তু নদীর বালুকাটা ও বিক্রি কেন বন্ধ হচ্ছে না। মাঝে মাঝে নদীতে সাঁড়াশি অভিযান করে কিছু বালুর জাহাজ এবং জাহাজ শ্রমিক ও স্টাফদের ধরা হয়। এসব কি লোক দেখানো? আবার যেই লাউ সেই কদু। কিছুদিন পর পুনরায় শুরু হয় বালুকাটা এবং বিক্রি। বালু বেচার বিপুল অবৈধ অর্থ কার কাছে যায়? এই টাকায় সন্ত্রাসী চক্রও গড়ে তোলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এখন জনমনে প্রশ্ন, চাঁদপুরের অবৈধ বালুকাটা কি আদৌ বন্ধ হবে না। আবারো প্রশাসন অভিযান করে বালু কাটার ১০টি ড্রেজার ও ৪৩জনকে গ্রেফতার করেছে।

৬ জুলাই মতলব উত্তরের নাসিরাকান্দি এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ১০টি ড্রেজার, ১টি বাল্কহেড ও দুটি স্পিডবোটসহ ৪৩ শ্রমিককে আটক করেছে প্রশাসন। এর আগেও একাধিক অভিযানে ড্রেজার, বালুর জাহাজ জব্দ এবং লোকজন আটক হলেও বালুর সিন্ডিকেট দমছে না। তারা মনে করছে নদী ও নদীর বালু তাদের বাপ-দাদার সম্পদ। যখন তখন নদীতে ড্রেজার বসাচ্ছে এবং বাল্কহেড জাহাজও তাদের রেডি থাকে।

এজন্যে কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করছে না তারা। সবসময় বালু দস্যুরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রশাসনও তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনছে না। চাঁদপুরের সাধারণ মানুষের মাঝে নদীর বালু লুটপাট বিষয়ে বিরূপ ধারণা রয়েছে।

৬ জুলাই শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন মতলব উত্তরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা।

এ বিষয়ে মোহনপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জ কামরুজ্জামান জানান, মেঘনা নদীর নাসিরাকান্দি এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ১০টি ড্রেজার, ১টি বাল্কহেড, ২টি স্পিডবোটসহ ৪৩ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ সময় তাদের কাছে অবৈধ বালু বিক্রয় বাবদ ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৫শ’ টাকা উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা, মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান, চীফ পেটি অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়