প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২০, ১৭:১২
খুলছে প্রাথমিক, স্কুলে স্কুলে চিঠি
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথকভাবে খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই লক্ষে প্রত্যেক স্কুলে ‘রি ওপেনিং প্ল্যান’ চিঠি পাঠাচ্ছে মন্ত্রণালয়টি।
চিঠিতে বলা হচ্ছে, আগামী ১৪ নভেম্বরের পরে বিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনা থাকায় আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যালয় ভিত্তিক ‘রি ওপেনিং প্ল্যান’ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসারের অনুমোদন নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে অধিনস্ত সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হল।
এদিকে মাধ্যমিকের পর এবার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত পরিসরের সিলেবাস তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সংক্ষিপ্ত এই সিলেবাসের আলোকেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের পর ওপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের মৌলিক সক্ষমতা তৈরিতে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কম সময়ের জন্য হলেও বিদ্যালয় খোলা গেলে ওই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে যে কদিন সময় পাওয়া যাবে সে কদিন পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে নেয়া হবে। আমরা ৩০ দিনের ও ১৫ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে শিক্ষার্থীদের সেটি পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ দিন ছুটি বাড়ানোয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৯ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে নতুন করে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি (নেপ)। শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরিতে এ সিলেবাসটি তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে সেটি কার্যকর করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে।
নেপের মহাপরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, নতুন করে আমরা ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকের প্রতিটি ক্লাসের সকল বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে নতুন করে এ সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। নতুন সিলেবাসটি আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। আর যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয়, তবে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে পঞ্চম শ্রেণিসহ সকল ক্লাসের সনদ বিতরণ করবে।