বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসোসিয়েশন অব মডেল ইনস্টিটিউশন্স চাঁদপুর-এর বৃত্তি পরীক্ষা
  •   সৌদি প্রবাসীদের অনলাইন প্রতারণা থেকে সতর্ক করলো বাংলাদেশ দূতাবাস
  •   বরিশালে কৃষক দলের হামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির কর্মসূচি পণ্ড
  •   শ্রীনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন
  •   গুমের ভয়াবহ চিত্র: তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৩

ফেসবুকের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি কণ্ঠ দমনের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
ফেসবুকের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি কণ্ঠ দমনের অভিযোগ

ফেসবুকের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি কণ্ঠ দমনের অভিযোগ

প্রতিবেদন : মোঃ জাহিদুল ইসলাম সুমন খন্দকার

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলোর কণ্ঠরোধের অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনি কনটেন্টের বিস্তার সীমিত করেছে। তবে মেটা কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, নির্দিষ্ট কণ্ঠস্বর দমনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমে সম্পৃক্ততা হ্রাস

বিবিসির গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরের বার্তাকক্ষগুলোর সঙ্গে দর্শক, শ্রোতা ও পাঠকের সম্পৃক্ততা প্রায় ৭৭ শতাংশ কমে গেছে। ফেসবুকে প্যালেস্টাইন টিভি, ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এবং আল-ওয়াতান নিউজের মতো পেজগুলোর অডিয়েন্স সম্পৃক্ততা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

প্যালেস্টাইন টিভির প্রায় ৫৮ লাখ ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও তাদের পোস্টের বিস্তার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। টেলিভিশনটির সাংবাদিক তারিক জিয়াদ অভিযোগ করে বলেন, “ফেসবুকে আমাদের পোস্টগুলো মানুষের কাছে পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে। মিথস্ক্রিয়া এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে।” ইসরায়েলি পেজে বিপরীত চিত্র

অন্যদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ইয়েদিওত আহরোনোত, ইসরায়েল হেয়োম এবং চ্যানেল থার্টিনের মতো সংবাদমাধ্যমগুলোর পাঠক সম্পৃক্ততা প্রায় ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মেটার প্রতিক্রিয়া

মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠরোধ নয় বরং বিদ্বেষমূলক কনটেন্ট মোকাবিলা করা। তবে মেটা স্বীকার করেছে যে, যুদ্ধ শুরুর পর নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল। মেটার এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা স্বীকার করছি যে, কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ভুল হয়েছে। তবে আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে নির্দিষ্ট কণ্ঠস্বরকে দমন করেছি, এটি পুরোপুরি মিথ্যা।” ইনস্টাগ্রামে কঠোর নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ

ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা যায়, মেটার মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিন সংক্রান্ত মন্তব্যের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেটার এক কর্মী জানান, “ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ইনস্টাগ্রামের অ্যালগরিদমে পরিবর্তন আনা হয়, যা ফিলিস্তিনিদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ তৈরি করেছে।” ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ

ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ‘ছায়া নিষেধাজ্ঞা’ দেওয়া হচ্ছে। তারা বলছে, এসব নীতিমালা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী।

২০২১ সালে মেটার তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাষাগত দক্ষতার অভাবের কারণে নিরীহ আরবি কনটেন্টকেও ভুলভাবে বিদ্বেষমূলক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। উপসংহার

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মতো সংকটময় পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক এবং মেটার কার্যক্রম নিয়ে ওঠা অভিযোগগুলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অনলাইন নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়