প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫
সিটিসেল আসছে আবার, ২৫ পয়সা কলরেটে
অন্য কোম্পানিগুলো কী করবে?
মোবাইলের কলরেট কমে আসুক এটা আমরা সকলেই প্রত্যাশা করছি। কেননা বর্তমানে যেভাবে মোবাইল কোম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, তাতে জনসাধারণ মোটেও সন্তুষ্ট নয়। অবশ্যই এটা অতিরিক্ত। সেজন্যে চারিদিকে এখন এ বিষয়ে জোরেশোরে আন্দোলন, নীরব আন্দোলন চলছে।
গত ৮ নভেম্বর ২০২৪ জাতীয় একটি দৈনিকে ‘সিটিসেল আসছে আবার, ২৫ পয়সা কলরেটে’ শিরোনামের সংবাদটি আমরা জেনে সাধারণ মানুষ অভিভূত হয়েছি। যদি এভাবেও হয়, তাতেও কিছুটা আশা দেখতে পাবো; তবে তা’ একটা নিয়মের মধ্যে থাকলে আমরা সাধারণ জনগণ খুশি থাকবো।
সাম্প্রতিক সময়ে সিটিসেল তাদের লাইসেন্স বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার চায়। এছাড়াও তারা যাতে ফাইভ-জি সেবা চালু করতে পারে সে ব্যাপারে অনুমোদন চেয়েছে। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করা দরকার যে, বাংলাদেশের এক সময়কার জনপ্রিয় সিটিসেল ফোন অপারেটরের মাধ্যমে কথা বলা যেতো ২৫ পয়সা প্রতি মিনিটে ঠিকই, তবে অবশ্যই মোবাইল ফোন এবং সিম এক সঙ্গে কিনতে হতো। এমনকি সেই মোবাইলে অন্য কোনো অপারেটরের সিম ব্যবহার করার সুযোগ ছিলো না। তারপরও জনপ্রিয়তার কোনো কমতি ছিল না সেই সময়। অন্যান্য ফোন অপারেটরে কলরেট অনেক বেশি থাকলেও সিটিসেলের কলরেট ছিলো ২৫ পয়সাই।
বাংলাদেশে সিডিএম প্রযুক্তিনির্ভর একমাত্র প্রতিষ্ঠান ছিলো সিটিসেল।
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে এ প্রতিষ্ঠানটি সর্বপ্রথম তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার সবচাইতে পুরানো মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর মধ্যে সিটিসেল অন্যতম ছিলো।
আমরা প্রত্যাশা করি যে, অন্যান্য মোবাইল কোম্পানিও এভাবে অফার দিতে পারে। তাহলে সেটা যেমন তাদের জন্যে উপকার হবে, তেমনি সাধারণ জনগণও উপকৃত হবে বৈকি। আমরা প্রত্যাশা করবো, এভাবে কলরেট কমিয়ে মোবাইল কোম্পানিগুলো সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবে ও তারা তাদের সেবা চলমান রাখবে।