শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২১, ২০:৩০

মতলব দক্ষিণে ইমামের মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন

রেদওয়ান আহমেদ জাকির/মুহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ
মতলব দক্ষিণে ইমামের মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন
নিহত ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেনু

মতলব দক্ষিণে সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেনু (৬০) নামে এক ইমামের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে। কেউ বলছে এটি হত্যা, আবার কেউ বলছে স্বাভাবিক মৃত্যু। গতকাল সকালে তিনি মারা যান।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈগাঁও বেপারী বাড়ির মৃত আলী আহাম্মদ বেপারীর ছেলে আঃ রাজ্জাক ওরফে রেনু বেপারীর সাথে সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ২৪ জুন বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ ভাগিনা আক্তার হোসেন বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর তুলতে গেলে বাধা দেন আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেনু বেপারী।

পরের দিন গতকাল ২৫ জুন সকালে আক্তার হোসেন লোকজন নিয়ে একই জায়গায় ঘরের কাজ করতে গেলে আব্দুর রাজ্জাক পুনরায় তাতে বাধা দেন। এ সময় আক্তার হোসেনসহ লোকজন তাকে মারধর করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নারায়ণপুর টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেনু বেপারী গোবিন্দপুর দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রীসহ ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে যান। তার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে। কেউ বলছে এটি হত্যা, আবার কেউ বলছে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেনু বেপারী একজন নিরীহ মানুষ ছিলেন। বিরোধপূর্ণ জায়গা পরিমাপ ছাড়াই জোর করে আক্তার হোসেন ঘর নির্মাণ করতে গেলে তিনি বাধা দেন। ঐ সময় রেনু বেপারীর বড় ভাই মোঃ সহিদ বেপারী ও তার ভাগিনা আক্তার হোসেন গং তাকে মারধর করলে তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।

খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া ঘটনাস্থলে যান এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেনু বেপারীর মৃত্যু নিয়ে এ পর্যন্ত কারো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে তিনি কীভাবে মৃত্যুবরণ করলেন তা জানার জন্যে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়