প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১১
দাঁত না ফেলে কেন রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট করাবেন

ঘুমের মধ্যে বা হঠাৎ অসহনীয় দাঁতব্যথা। কিছুতেই কমছে না। কেউ বলছেন দাঁতটি ফেলে দিতে হবে। কেউ ব্যথানাশক ওষুধে সাময়িক ব্যথা লাঘবের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আসলে দাঁতের ভেতরের মজ্জা আক্রান্ত হলে এনডোডোন্টিক চিকিৎসা ছাড়া সেই দাঁত রক্ষার কোনো উপায় নেই। ১৬ অক্টোবর ছিলো বিশ্ব এনডোডোন্টিক দিবস। দাঁত নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সেলিব্রেটিং টুথ সেভারস’ অর্থাৎ জনগণের মধ্যে দাঁতের সুরক্ষা ও সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা।
দাঁত মানবদেহের এক অমূল্য অঙ্গ। এটি হারালে শুধু খাবার চিবানোতেই সমস্যা হয় না, বরং মুখের সৌন্দর্য-সামঞ্জস্য, উচ্চারণ, আত্মবিশ্বাস এমনকি স্মরণশক্তিও নষ্ট হয়। অথচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দাঁত উপড়ে ফেলার পরিবর্তে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে তা রক্ষা সম্ভব। এই চিকিৎসার নাম ‘রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট’।
রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট
রুট ক্যানেল হলো একধরনের সূক্ষ্ম ডেন্টাল চিকিৎসা। এই পদ্ধতিতে দাঁতের ভেতরের সংক্রমিত বা মৃত টিস্যু অপসারণ করা হয়। এর মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করা হয় দাঁতকে। এরপর বিশেষ উপাদান দিয়ে সেই স্থান ভরাট বা সিল করে দেওয়া হয়। এতে করে ব্যথা, ফোলা অথবা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত হয়। বহু বছর কার্যকর রাখা সম্ভব হয় দাঁতকেও। তাই কথায় কথায় দাঁত ফেলে দেওয়ার আত্মঘাতী ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
রুট ক্যানেল নিয়ে অনেকের মধ্যে একধরনের ভয় কাজ করে। কেউ কেউ মনে করেন, এই চিকিৎসা অনেক কষ্টের, ব্যয়বহুল ও কিছু দিন পর আবার কষ্ট শুরু হবে বা দাঁত ভেঙে যাবে। এগুলো একেবারে ভ্রান্ত ধারণা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।
অনুমোদিত ও দক্ষ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিলে এর সফলতার হার অনেক। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে কৃত্রিম মুকুট বা ক্যাপ পরিয়ে না নিলে দাঁত ভেঙে যেতে পারে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে এমন সংবেদনশীল চিকিৎসা নিলে খারাপ অভিজ্ঞতা হতে পারে।
পরামর্শ
কোনো ব্যথা বা কষ্ট না হলেও বছরে অন্তত একবার ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এতে রোগের শুরুতেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। দাঁতের গর্তের শুরুতে বা শিনশিন করলে ফিলিং নামক সহজ ও সবার জন্য সহনশীল খরচে চিকিৎসা করিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। রোগ পুষে রাখলে জটিলতা, সময় ও খরচ সব বাড়তে থাকে।
সূত্র : প্রথম আলো।