বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫, ০৪:৫৯

শ্রীনগরে লোডশেডিং ও তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত

আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী
শ্রীনগরে লোডশেডিং ও তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত
ছবি : প্রতীকী

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঘন ঘন লোডশেডিং ও তীব্র তাপদাহে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসায় সাময়িক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিনে অন্তত ৪ থেকে ৫ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একেকবার বিদ্যুৎ না থাকার সময়সীমা দুই ঘণ্টা বা তার বেশি। ফলে শিক্ষার্থী, শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ মানুষদের কষ্টের সীমা নেই। অনেকেই জ্বর, ডায়রিয়া, হিট স্ট্রোক ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এদিকে চলমান প্রথম সাময়িক পরীক্ষা, এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিও বিঘ্নিত হচ্ছে। পরীক্ষার এই সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ফেরত না আসায় উপজেলার কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সাময়িক ছুটি ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে শ্রীনগর উপজেলার এক কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক বলেন, "বিদ্যুৎ না থাকায় শ্রেণিকক্ষে অতিরিক্ত গরমে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আমরা শিক্ষার্থীদের বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি।"

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রীনগর কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে এক কর্মকর্তা জানান, সারাদেশেই বিদ্যুৎ সংকট চলছে। ফলে লোড ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে কিছু এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। শ্রীনগরেও সেই প্রভাব পড়েছে। তবে পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তীব্র তাপদাহে বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। শ্রেণিকক্ষে ফ্যান না চলায় ক্লাস নেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় টিউবওয়েল ও পানির পাম্প কাজ না করায় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ফ্রিজ না চলায় খাবারও নষ্ট হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

জনসাধারণ দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একইসাথে পরীক্ষার সময় কমপক্ষে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়