বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫  |   ৩৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪১

ঈদে খাবেন বুঝেশুনে

তাসলিমা তামান্না
ঈদে খাবেন বুঝেশুনে

রমজান প্রায় শেষের পথে। দরজায় কড়া নাড়ছে খুশির ঈদ। ঈদের আনন্দ বহুগণ বাড়িয়ে দেয় নতুন পোশাক। সঙ্গে চলে সারাদিন খাওয়া-দাওয়ার ধুম। পুরো মাস রোজা রাখার পর ঈদ উৎসবে অনেকেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাওয়া-দাওয়া করেন। একবারে বেশি খেলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। অনেকের আবার হজমের সমস্যাও দেখা দেয়।

ঈদে সুস্থ থাকতে কী খাবেন, কতটুকু খাবেন সে বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন বরিশাল সিএমএইচের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, রমজান মাসে স্বাভাবিক কারণে দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণের সময়সূচির পরিবর্তন ঘটে। খাদ্যের মেন্যুও থাকে একটু অন্যরকম। ঈদের সকাল থেকেই শুরু হবে খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন। এ পরিবর্তন অনেক সময় স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। সে জন্য কয়েকটি বিষয়ের ওপর খুব বেশি জোর দিতে হবে।

তাঁর মতে, ঈদের সকালে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করা মোটেও ঠিক হবে না। এটি আপনার পাকস্থলীর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। এদিন সকালে সহজ পাচ্য খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত ঝাল, তৈলাক্ত এবং মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। এমনটি না করলে সারাদিন পেটে একটা অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হতে পারে। দীর্ঘ এক মাসের সকালবেলায় খাদ্য গ্রহণের অনভ্যাস থেকে এমনটি হয়। সে ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন মৌসুমি ফল এবং শাকসবজি। এসব খাবার আপনার অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করবে। যার ফলে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে।

ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ বলেন, ঈদের দিন স্বাভাবিক কারণে অনেকেই বিভিন্ন আত্মীয়-পরিজনের বাসা থেকে খাবার গ্রহণ করেন। ঘন ঘন খাবার গ্রহণের কারণে বদহজম হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সে কারণে খাদ্য গ্রহণের একটা পরিকল্পনা থাকা ভালো। দুপুর এবং রাতের খাবার কোথায় কীভাবে গ্রহণ করবেন, সে বিষয়ে একটা পরিকল্পনা থাকলে ভালো হয়।

ঈদের দিনে গরু বা খাসির মাংস খাওয়া তো হয়ই। এই লাল মাংস গ্রহণের সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে যায়। এসব খাদ্যে উচ্চ মানের প্রোটিন থাকার কারণে যাদের লিভার ও কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। সে জন্য যাদের এসব রোগ রয়েছে, তাদের লাল মাংস গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার বলেও জানান ডা. নাসির উদ্দিন।

ঈদের দিনে অন্যদিনের তুলনায় বেশি ঘোরাঘুরি, হাঁটাহাঁটি হয়। এ সময়ে আবহাওয়াও তেতিয়ে ওঠে। গরমের কারণে প্রচুর ঘাম হয়। ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, ঈদের দিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয় গ্রহণ করা দরকার। ঘামের মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে গেলে লবণ, লেবুযুক্ত শরবত খুবই কার্যকরী। সাধারণ পানি গ্রহণের পাশাপাশি এটিও গ্রহণ করা জরুরি।

সূত্র : সমকাল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়