বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   সৌদি প্রবাসীদের অনলাইন প্রতারণা থেকে সতর্ক করলো বাংলাদেশ দূতাবাস
  •   বরিশালে কৃষক দলের হামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির কর্মসূচি পণ্ড
  •   শ্রীনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন
  •   গুমের ভয়াবহ চিত্র: তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
  •   চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লেখা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তা

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০

সাক্ষাৎকার : ফিজিওথেরাপিস্ট তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ)

ফিজিওথেরাপি মানুষের শারীরিক সুস্থতা ও পুনর্বাসনে অনেক কার্যকর

অনলাইন ডেস্ক
ফিজিওথেরাপি মানুষের শারীরিক সুস্থতা ও পুনর্বাসনে অনেক কার্যকর

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) একজন ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি এই পেশায় সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি রোটারী ক্লাব অব চাঁদপুর সেন্ট্রালসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব, মানুষের ভুল ধারণা দূর করা এবং সেবা প্রদানে চাঁদপুরে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ-এর সঙ্গে।

সাক্ষাৎকার নেন : আলআমিন হোসাইন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) : আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মেহেরবাণীতে ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শৈশব-কৈশোর কোথায় কেটেছে?

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) : আমার শৈশব কেটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার খাজুরিয়ার ষোলদানা গ্রামে। আমাদের বাড়ির নাম পালের বাড়ি। সেখানেই বেড়ে উঠেছি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত খাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়েছি। এরপর চাঁদপুর শহরে এসে অষ্টম শ্রেণিতে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানতে চাই।

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) : ১৯৯৭ সালে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৯৯ সালে পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। পরে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইন ফিজিওথেরাপি এবং সাইকে ইনস্টিটিউট থেকে ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি (বিপিটি) কোর্সে অধ্যয়নরত।

চাঁদপুর কণ্ঠ : ফিজিওথেরাপিস্ট হওয়ার ভাবনা কীভাবে এলো?

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) : শৈশব থেকেই আমার ব্যতিক্রমী কিছু করার তাড়না ছিল। ২০০০ সালের দিকে পত্রিকায় ফিজিওথেরাপি ভর্তি বিজ্ঞাপন দেখেই এই পেশায় আগ্রহ জন্মায়। তখন ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড়দের সেবা দেওয়া ফিজিওথেরাপিস্টদের দেখে মুগ্ধ হতাম। ভেবেছিলাম, আমিও ফিজিওথেরাপিস্ট হয়ে এমন কিছু করবো। পরে সাধারণ মানুষের সেবা দিতে গিয়ে বুঝি, এখানে মানসিক শান্তি আরও বেশি। তাই এই পেশায় লেগে আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : পেশার শুরুতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন?

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) : ২০০৪ সালে চাঁদপুরে হেলথ কেয়ার ফিজিওথেরাপি সেন্টার চালু করার পর, প্রথমদিকে মানুষ জানতোই না ফিজিওথেরাপি কী। কেউ আসতেও চাইত না। কিন্তু এখন চিত্রটা পাল্টেছে। মানুষ এখন অনেক সচেতন। ফিজিওথেরাপি যে কতটা কার্যকর, সেটা সবাই বুঝতে পেরেছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুরে ফিজিওথেরাপি সেবার বর্তমান অবস্থা কীভাবে দেখেন?

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) : মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, সঠিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই কেউ কেউ ফিজিওথেরাপির সেবা দিতে গিয়ে রোগীর ক্ষতি করছেন। এতে ভুল ধারণা তৈরি হয়। আমি মনে করি, ফিজিওথেরাপি নিতে অবশ্যই অভিজ্ঞ পেশাদারের কাছে যেতে হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার কাছে কী ধরনের রোগী বেশি আসে?

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) : বাত, কোমর ও হাঁটু ব্যথা, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, দুর্ঘটনাজনিত সমস্যা এবং সেরিব্রাল পালসির রোগীরা বেশি আসেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শানুযায়ী আমরা রোগীদের সেবা দিয়ে থাকি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রোগীদের জন্য আপনার কী পরামর্শ?

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) : ফিজিওথেরাপি এমন একটি চিকিৎসা, যা রোগীকে ওষুধ ছাড়াই সুস্থ করে তুলতে পারে। ধৈর্য ধরে নিয়মিত সেবা নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব। বিশেষত স্ট্রোক, প্যারালাইসিস কিংবা বিকলাঙ্গ শিশুদের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি অনেক কার্যকর। আমরা যত্নসহকারে তাদের সেবা দিই, যেন তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : ফিজিওথেরাপি সেবা দিতে গিয়ে কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন?

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) : মূল সমস্যা হলো, বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপির জন্য কোনো কার্যকর নীতিমালা নেই। নীতিমালা ছাড়া সেক্টরটি পুরোপুরি বিকশিত হতে পারছে না। সিভিল সার্জন অফিসেও এর কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। ফলে আমাদের মাঝেমধ্যেই আইনি জটিলতায় পড়তে হয়। আমরা চাই, একটি সুষ্ঠু নীতিমালার অধীনে মানুষের সেবা দিতে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : ধন্যবাদ আপনাকে।

তানভীর আহমেদ মিয়া (আরিফ) : ধন্যবাদ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়