বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ৩২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৩৪

নবাগত সিভিল সার্জনের সাথে হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক মালিকদের মতবিনিময়

চাঁদপুরের ২৭৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ১৭টির লাইসেন্স নেই

----সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নূরে আলম দীন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুরের ২৭৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ১৭টির লাইসেন্স নেই

চাঁদপুরে নবাগত সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নূরে আলমের সাথে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হল রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই নবাগত সিভিল সার্জনকে নার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এস এম সহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জিএম শাহীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নূরে আলম, জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি, ড্যাব চাঁদপুরের আহ্বায়ক ডাঃ মোবারক হোসেন চৌধুরী, পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মালিক ডাঃ জাহাঙ্গীর খান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক এমএ গফুর মিয়া প্রমুখ।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নূরে আলম তার বক্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের একটি মৌলিক অধিকার। দেশে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ভূমিকা রাখছে। কল্যাণকর সকল কাজে আমার সহযোগিতা থাকবে। অকল্যাণকর কাজ বন্ধে আমরা কঠোর হবো। চাঁদপুর সদরের ১০৮টি হাসপাতালে ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সধারী ২৬টি হাসপাতাল, ৭৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং লাইসেন্সবিহীন ৪টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। চাঁদপুর জেলার অবস্থান ও আয়তনের তুলনায় এ সংখ্যা বেশি। এর কারণ হতে পারে জনগণের তুলনায় সরকারি হাসপাতালের সেবাদান অপ্রতুল এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কম খরচে ভালো সেবা দিচ্ছে। আর যদি দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোন কারণ থেকে থাকে তাহলে তো সমস্যা। সে সমস্যা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চলতে দেয়া হবে না কোনোভাবেই। এ জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা এবং সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

সিভিল সার্জন আরো বলেন, প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়গনস্টিক সেন্টার হলো সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তাই এখানে সবাইকে অর্থের চেয়ে সেবার কথাই আগে ভাবা উচিত। বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে পরিচালনা করতে হবে।

তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলায় সর্বমোট ২৭৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সবিহীন রয়েছে ১৭টি। অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করব। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাখা হবে। যারা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তারা দ্রুত সব ঠিক করে নিন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়