মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:২৩

বন্যা উপদ্রুত এলাকায় আর্সেনিকসহ পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
বন্যা উপদ্রুত এলাকায় আর্সেনিকসহ পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা

চাঁদপুর জেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকায় আর্সেনিকসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা ব্যাপকভাবে এবং চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর, হাইমচর, হাজীগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার আংশিক বন্যা উপদ্রুত এলাকায় এমন প্রাদুর্ভাবের সাধারণ আশঙ্কা থাকলেও সবচে' বেশি আশঙ্কাগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে শাহরাস্তি। কেননা এবারের বন্যায় দেশের অন্যতম বেশি আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল শাহরাস্তি উপজেলায় ১ হাজার ৬শ' টিউবয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি বাড়তে পারে আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এসব টিউবওয়েল ব্যবহার উপযোগী করতে সহসা উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ।

বিভিন্ন দফতরের সূত্র ও পূর্বের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, দু যুগ আগে দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ আর্সেনিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে শাহরাস্তি উপজেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপর থেকে আর্সেনিকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ২০১২ সালের পর থেকে সরকারিভাবে আর্সেনিকোসিস রোগের কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না। অথচ শাহরাস্তিতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৫ হাজার ৬শ ৬৯ জন আর্সেনিকোসিস রোগী শনাক্তকরণের হিসাব রয়েছে। বাস্তবে এ সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এ পর্যন্ত আর্সেনিকোসিস আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান রয়েছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে জানা গেছে, শাহরাস্তি উপজেলায় সরকারিভাবে ৫ হাজার ৭শ ৬৩টি গভীর টিউবওয়েল রয়েছে। এর মধ্যে এবারের বন্যায় ১ হাজার ৬শ টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে অগভীর টিউবওয়েল রয়েছে কয়েক হাজার। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও সহজলভ্য না হলে আর্সেনিকোসিসে আক্রান্ত রোগীসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে শঙ্কা গ্রামের লোকদের।

উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের বেততলা গ্রামের বাসিন্দা মো. আকতার হোসেন শিহাব জানান, বন্যায় এলাকার বেশিরভাগ টিউবওয়েল ডুবে গেছে। পানি নেমে গেলেও এগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, এখানে পূর্ব থেকেই পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি থাকায় এবং আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েলগুলো পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় নিরাপদ সুপেয় পানির সঙ্কট প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের কোঁয়ার গ্রামের যুবক শান্ত হাসান জানান, বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও লোকজন ভয়ে ডুবে যাওয়া টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করছেন না।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম জানান, বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট নিরসনে প্রায় ১৫ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। অতি দ্রুত ইউনিসেফের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত টিউবওয়েলগুলোতে হাইজিন কিট দিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সারোয়ার হোসেন জানান, বন্যায় স্বাস্থ্য সচেতনতায় কাজ করা মেডিকেল টিমের সদস্যরা আর্সেনিকসহ পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়