বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে

ফরিদগঞ্জে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

মাসের হিসেবে শীত আসতে আরো দেরী থাকলেও প্রকৃতিতে ইতিমধ্যেই শীতের আগমনী বার্তা দেখা দিয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে আস্তে আস্তে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে থাকে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নবজাতকরা। ঠাণ্ডা-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে আসা শিশুদের চাপ বেড়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে। প্রতিদিন জ্বর ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের মায়েরা চিকিৎসার জন্যে নিয়ে আসছে হাসপাতালে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৪টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা যায়, ঠাণ্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে ৩শ’ ৫০ জন রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। এর মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগই শিশু। এদের আবার অধিকাংশই জ্বরে আক্রান্ত। ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুও আছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সবগুলো বেডে রোগী ভর্তি আছে।

উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের এক শিশুর মা বিলকিছ বেগম বলেন, তার ছেলের ১১দিন ধরে জ্বর। ৫ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তার বলছেন, টাইফয়েড হয়েছে। কাছিয়াড়া গ্রামের এক শিশুর মা তাহেরা খাতুন বলেন, তার ছেলের জ্বরের তাপমাত্রা বেশি।

ইছাপুরা গ্রামের ইব্রাহিম খান বলেন, তার মেয়ের খুব জ্বর ও ঠাণ্ডা লেগেছে। ৩ দিন হয় ভর্তি করেছেন। এখনো জ্বর সারেনি। তারা বলেন, তাদের এলাকায় আরও শিশু ঠাণ্ডা লাগা ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ কামরুল হাসান জানান, এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে ৩শ’ ৫০জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। এর মধ্যে ৫০ ভাগই শিশু। যাদের রোগ জটিল তাদেরকে ভর্তি করা হয়। বাকীদের ব্যবস্থাপত্র ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ক’দিন যাবৎ শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক শিশু নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডা জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফ আহমেদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। নিয়মিত কাপড় পরিবর্তন ও গরম কাপড় পরিধান করাতে হবে। সবসময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবানুমুক্ত রাখতে হবে। এই সময় তরল খাবারের পাশাপাশি সবজি ও আঁশ জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত। শিশুদের যে কোনো ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়