মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

রক্তের প্রয়োজনে কাঠপেন্সিল ব্লাড ফাউন্ডেশন

রক্তের প্রয়োজনে কাঠপেন্সিল ব্লাড ফাউন্ডেশন
আলআমিন হোসাইন ॥

ধরুন, একজন মুমূর্ষু রোগীর জন্যে ইমার্জেন্সি এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। পরিচিত, শুভাকাক্সক্ষীসহ নানা জায়গায় খোঁজ নিয়েও রক্তের জোগাড় করতে পারলেন না। তখন হয়তো আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ব্যাগ রক্তের জন্যে পোস্ট দিলেন। এমন মানবিক পোস্টে অনেকে সাড়া দেন। আবার অনেকে রক্ত জোগাড়কারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামণ্ডঠিকানা দেন। ঠিকই এমনই এক ঠিকানার নাম ‘কাঠপেন্সিল ব্লাড ফাউন্ডেশন’। তাদের কাজ মুমূর্ষু রোগীর জন্যে ব্লাড ডোনার (রক্তদাতা) জোগাড় করে দেয়া। শুধু তা-ই নয়, স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনের কর্মীরা সচেতনতামূলক নানা কাজসহ অসহায়-দুঃস্থ মানুষের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেন।

‘মুমূর্ষু রোগীর প্রাণের টানে এগিয়ে আসুন রক্তদানে’ স্লোগানে ২০২০ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় কাঠপেন্সিল ব্লাড ফাউন্ডেশন। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক সংগঠন। এ সংগঠনের সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ৪০ জন। এছাড়া ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে ১শ’ ৮০ জনের বেশি স্বেচ্ছাসেবী যুক্ত রয়েছেন। কারো রক্ত লাগলে মুহূর্তেই পাশে দাঁড়ান তারা।

সংগঠনের পরিচালক বি.এম. আল-আমিন বলেন, আমরা রক্ত সংগ্রহ করি না। আমরা মুমূর্ষু রোগীর স্বজনের সাথে রক্তদাতাকে যোগাযোগ করিয়ে দিই। সম্পূর্ণ বিনাখরচে আমাদের রক্তদাতারা রক্তদান করে থাকেন।

তিনি বলেন, ফেসবুক-মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে আমাদের পথচলা শুরু হলেও বর্তমানে অনলাইন/অফলাইন সবখানেই সংগঠনের অবাধ বিচরণ। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো, রক্তের অভাবে রোগী মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। পাশাপাশি রক্তদানে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

সংগঠনের সদস্য ফয়সাল আহমেদ বলেন, কাঠপেন্সিল ব্লাড ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে ঢাকা, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীসহ দেশব্যাপী আমাদের স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে।

সহ-পরিচালক মোহাম্মদ রাকিব বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা ৪ মাস পর পর রক্তদান করে থাকে। আমাদের অনেক স্বেচ্ছাসেবী ১৫ বারের বেশি রক্তদান করেছেন। আমাদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকেই রক্তদানে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। যারা নিয়মিত রক্তদান করেন।

সংগঠনের পরিচালক ইয়াসির আরাফাত বলেন, কাঠপেন্সিল ব্লাড ফাউন্ডেশন রক্তদানে সচেতনতা সৃষ্টি ও রক্তদানেই থেমে থাকেনি, সংগঠনের সদস্যরা করোনাকালীন মহামারীতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান, রক্তদান সেবা, শীতে কম্বল বিতরণ, রোজায় ইফতার বিতরণ, করোনায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, গরিব ও অসহায় রোগীদের ঔষধ কিনে দেয়া, চিকিৎসা সহায়তায় আর্থিক সহযোগিতাসহ ঈদে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। পাশাপাশি রক্তদানে সচেতনতার লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলাব্যাপী বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি পরিচালনা করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে সংগঠনের প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবী।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন লিমন বলেন, আমাদের মূল কাজ রক্তদাতা ম্যানেজ করে রোগীর কাছে পৌঁছে দেয়া। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের সেবা করার চেষ্টা করি।

তিনি বলেন, যখন কোনো রোগী আমাদের সাথে রক্তের প্রয়োজনে যোগাযোগ করেন, তখন রোগীর লোকের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং মেসেঞ্জার গ্রুপে রক্তের আবেদনটি ছড়িয়ে দিই। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে রক্তদাতা সরবরাহ করে থাকি।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন লিমন বলেন, ২০২০ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় কাঠপেন্সিল ব্লাড ফাউন্ডেশন। এ স্বল্পসময়ের মধ্যে অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি আমরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য : একদিন হাসপাতাল থেকে কল আসে ইমার্জেন্সি ‘বি নেগেটিভ’ রক্তের ডোনার লাগবে। রোগীর প্রচুর রক্তপাত হচ্ছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা যখন রক্তদাতার ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছিলো। তখন ‘জরুরি বি নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন’ লেখা কাগজে প্রিন্ট করে কালীবাড়ি শপথ চত্বরে বায়তুল আমিন জামে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে যাই। আলহামদুলিল্লাহ ১০ মিনিটের মধ্যে রক্তদাতা ম্যানেজ করে মুমূর্ষু ওই রোগীর পাশে দাঁড়িয়েছি।

কাঠপেন্সিল ব্লাড ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদ

প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন লিমন : ০১৮৬৪০৩৪৮৬৬ (ও পজিটিভ); পরিচালক যথাক্রমে ইয়াসির আরাফাত : ০১৬১০-২০৪৯০৯ (বি পজিটিভ), বি.এম. আল-আমিন : ০১৬৪৭৩৯৭৫৬৬ (ও পজিটিভ), আহমেদ শাহারুক : ০১৮৭৭১৩৪৮৯৮ (এবি পজিটিভ), মোঃ নজরুল ইসলাম নিলয় : ০১৬-৪৫১-১২৯৭৭ (এ পজিটিভ) ও মোঃ রিয়াদ হোসেন : ০১৭৭৫-৮৩১০৪০ (এ পজিটিভ); সহ পরিচালক যথাক্রমে মোহাম্মদ রাকিব : ০১৬৪৮-০১১৮৪৯ (এ পজিটিভ), মোঃ তানজিল হোসেন : ০১৬৪৬৫৫৮০১৪ (বি পজিটিভ), রাহাদ আহম্মেদ চৌধুরী : ০১৭৬০৪৩৭৪৫৭ (এ পজিটিভ), মুনতাসির মজুমদার : ০১৬৯০-২০৫২৫১ (বি পজিটিভ), আবরার মুরাদ খান (হামিম) : ০১৮১৬৩৯৯০৮৪ (এ পজিটিভ), শারমিন রহমান নুসাইফা (এবি পজিটিভ), মোঃ শহিদুর রহমান ছাব্বির : ০১৭০৭-৪২৭১২৪ (ও পজিটিভ), আহসান হাবীব : ০১৮-৮৮৫-৩১৬৫৫ (বি পজিটিভ), নওরিন জাহান (হৃদী) (বি পজিটিভ), সাইফুল ইসলাম মিয়াজী : ০১৬২৭৭৩০৯৭৫ (বি পজিটিভ), মোঃ কাউসার হোসেন : (ও পজিটিভ), মোঃ স্বাধীন হোসেন : ০১৮৯২৬৫২৭৪৯ (ও পজিটিভ), ফাহিম মাহমুদ প্রীতম : ০১৩০৩০৪৯১৫৫ (ও পজিটিভ), লিটন গাজী : ০১৬১২৮৬৩০৯৪ ও কাজী রমজান হোসাইন : ০১৯৮৮৪৪৬৪৪৩ (এবি পজিটিভ); সদস্য যথাক্রমে জি. এম. গোলাম কিবরিয়া : ০১৯৮৪৭৭৮৩৬০ (ও পজিটিভ), মোঃ ফজলুর করিম পারভেজ : ০১৭১০-৭১২১২১ (বি পজিটিভ), সাফিন পাটোয়ারী : ০১৬৪৫৮৮২৩৮২ (বি পজিটিভ), ফয়সাল আহমেদ : ০১৬২১-৮৬৩৩১৫ (এবি পজিটিভ), শেখ তুহিন : ০১৯৭০০০৮৯৮৫ (ও পজিটিভ), ফয়সাল খান : ০১৭০৬২২৩৯৭১ (এবি পজিটিভ), কুলসুমা আক্তার (বি পজিটিভ), আদর আহমেদ জসি : ০১৬৪৭৩৯৭৫৮৫ (এ পজিটিভ), মোঃ ইমরান হোসেন : ০১৮৬৩৪৩২২৫৪ (এবি পজিটিভ), রায়হান দিলাওয়ার নুহাদ : ০১৫১৬৭১৩৪২৯ (বি পজিটিভ), জয় পর্বত : ০১৬-৩১১-০৭২২৫ (বি নেগেটিভ), আরিয়ান সাব্বির : ০১৬৪৫১১৫৬৬২ (ও পজিটিভ), ইয়াছিন মিয়াজী : ০১৭৪১৫০১৬৬২ (এ পজিটিভ), সাব্বির আহম্মেদ : ০১৭৫০৭৫৭০৯৭ (এবি পজিটিভ) ও মাহমুদ ফয়সাল : ০ ১৬৭৩-৮৩৮০৩২ (বি পজিটিভ)।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়