প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
নারীদের কারো ভালো স্থানে অধিষ্ঠান হলে ঈর্ষাপরায়ণরা অপচেষ্টা করেন কম-বেশি অপ্রয়োজনীয় কথা বলতে। কিন্তু কোনো নারী যদি নিরেট মেধা ও যোগ্যতায় কোথাও নিয়োগ পান, তাহলে মুখে কুলুপ আঁটতেই হয়। এমন একজন নারী চাঁদপুরের দিতি সাহা। যিনি নিয়োগ পরীক্ষায় সারাদেশে তৃতীয় হয়ে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে কালচারাল অফিসার হিসেবে যোগদান করেছেন ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে। তিনি কোনো পাবলিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নন, তিনি নিজ জন্মশহর চাঁদপুরের সবচে’ বড় বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তিনি দেশের নামকরা ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করে অহংবোধে ভোগা অনেক শিক্ষার্থীকে হারিয়ে মেধার গুণে সরকারি এমন নিয়োগ পেয়েছেন। বৃহত্তর কুমিল্লাসহ চট্টগ্রাম বিভাগের কোনো জেলায় তার মতো নিয়োগ পাওয়া বিরলই বটে। এজন্যে তার স্মৃতিধন্য চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ অনেক আনন্দিত ও গর্বিত, যেটি সম্প্রতি দ্বারকা নাথ (ডিএন) উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে এক আলাপচারিতায় তুলে ধরেছেন।
নারীকণ্ঠের সাথে নি¤েœাক্ত প্রশ্নমালায় কথা হয় জেলা কালচারাল অফিসার দিতি সাহার সাথে।
নারীকণ্ঠ : পেশাগতভাবে কী হতে চেয়েছিলেন, আর কী হয়েছেন?
দিতি সাহা : যেহেতু আমার পড়াশোনা সাহিত্য নিয়ে, তাই সবসময়ই চেয়েছি সংস্কৃতির সাথে যুক্ত কোনো পেশায় আসতে। শিক্ষাজীবনের অর্জিত জ্ঞানকে কর্মজীবনে বাস্তবায়ন করার সুযোগ বর্তমান পেশাতে রয়েছে বলে সত্যিই আনন্দিত।
নারীকণ্ঠ : আপনার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে সংস্কৃতি চর্চা ও অনুরাগের কী কী কার্যক্রম রয়েছে যে, আপনি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সম্মানজনক নিয়োগ পেতে উদ্দীপ্ত হয়েছেন?
দিতি সাহা : ব্যক্তিগতভাবে আমি গান শুনতে পছন্দ করি। আর আগেই বলেছি, আমি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ইংরেজি সাহিত্যের ওপর করেছি। তাই নাটক, কবিতা, উপন্যাসসহ সাহিত্যের অন্যান্য বিষয় আমি স্বাভাবিকভাবেই পছন্দ করি। শিল্পকলা যেহেতু সংস্কৃতি ও সাহিত্য নিয়ে কাজ করে, তাই বলা যায় ব্যক্তিগত পছন্দের সাথে পেশাগত পছন্দ একত্রিত হয়েছে।
নারীকণ্ঠ : কর্মক্ষেত্রকে কতোটা এনজয় করছেন?
দিতি সাহা : শিল্পকলার সাথে যুক্ত হওয়া মানে হলো সৃজনশীল মানুষদের নিয়ে কাজ করা, তাই ভালোই লাগছে।
নারীকণ্ঠ : গতানুগতিকতায় শিল্পকলাকে নিয়ে ভাবছেন, নাকি ব্যতিক্রম কিছু? কোনো সীমাবদ্ধতা বা প্রতিবন্ধকতা উপলব্ধি করছেন?
দিতি সাহা : শিল্পকলা সবসময়ই সৃজনশীলতাকে প্রাধ্যান্য দেয়। তাই পুরাতনদের সাথে নতুনদের মেলবন্ধন করার চেষ্টা থাকবে। সীমাবদ্ধতা বলতে জেলা শহরে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বাংলাদেশের সংস্কৃতির চর্চা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। শিল্পকলার মূল লক্ষ্যই হলো শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠন, যা সমগ্র দেশের মানুষের একত্রিত প্রয়াসেই সম্ভব।
নারীকণ্ঠ : নারীদের নিয়ে নিজের পছন্দসই উজ্জীবনী কিছু কথা বলুন।
দিতি সাহা : নিজেদের যোগ্যতার ওপর আত্মবিশ্বাসী হয়ে কাজ করে যেতে হবে।