বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

স্বাধীনতার প্রত্যয় স্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা

সরকার আবদুল মান্নান
স্বাধীনতার প্রত্যয় স্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা

বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে সেই সময়টা ছিল সবচেয়ে আলোড়ন-বিলোড়নের সময়, জাতিগতভাবে জেগে ওঠার সময়, প্রচণ্ড রকমের টানটান একটি সময়। স্বাধীনতার প্রাক্কালে একটি জাতির মধ্যে যে ধরনের আশা-আকাঙ্ক্ষা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও ভীষণ রকম মানসিক ও শারীরিক ক্ষীপ্রতা তৈরি হয়, সেই সময়টা ছিল ঠিক তদ্রুপ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেই বিপুল উৎকণ্ঠিত সময়ের কর্ণধার। পুরো জাতি তাকিয়ে ছিল তাঁর সিদ্ধান্তের দিকে; তাঁর প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও নির্দেশনার দিকে। ঠিক তখনই- সাতই মার্চ তিনি প্রকারান্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেন। কিন্তু দাপ্তরিকভাবে সেই ঘোষণাটির জন্য বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অদূরদর্শিতা, হঠকারিতা ও নির্লজ্জ ক্ষমতালিপ্সা সেই মাহেন্দ্রক্ষণ নিয়ে আসে, আর সেই সময়টি ছিল ২৫-এ মার্চ শেষ রাত্রি এবং ২৬-এ মার্চ প্রথম প্রহর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। মনে হয় পুরো জাতি যেন এই ঘোষণার অপেক্ষায় ছিল। পরিবেশ-পরিস্থিতি খুব দ্রুতই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ নিয়ে আসে এবং নয় মাসের রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতি বিজয় অর্জন করে এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়।

তারপর অনেকগুলো দুই দিন পেরিয়ে গেছে। অর্ধ শতকেরও বেশি বছর পেরিয়ে আজ অনেকেই হিসাব মিলাতে বসেন যে, আমরা কতটুকু স্বাধীন হয়েছি; যে জীবনাদর্শের ভেতর দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সম্পদের সুষম বণ্টনের আদর্শ, আইনের শাসন ইত্তাকার মৌলিক বিষয়ে আমরা কতটা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। হয়তো সেই হিসাব অনেকাংশেই মিলবে না।

বিশেষ করে বস্তুগত উন্ননের জাগাগুলো পাই পাই করে মিলিয়ে দেখার সুযোগ থাকলেও এবং সেই মেলানোর ক্ষেত্রে কিছুটা তৃপ্তির জাগা তৈরি হলেও গুণগত উন্ননের ক্ষেত্রে, মানবিক ও মূল্যবোধগত উন্ননের ক্ষেত্রে আমরা সত্যি কি এগিয়েছি, নাকি পিছিয়েছি- তার হিসাব মেলানো সত্যিই কঠিন। প্রথমেই যদি অসাম্প্রদায়িকক জীবনাদর্শের কথা উল্লেখ করা হয়, তাহলে স্পষ্টই বলা যায় যে, আমাদের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি বরং স্বাধীনতাপূর্ব দশকগুলোতে আমাদের মধ্যে যে অসাম্প্রদায়িক জীবনাদর্শ তৈরি হয়েছিল; বাঙালির চিরকালীন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি আমাদের যে নিষ্ঠা, সততা ও ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল; এখন সেখান থেকে আমরা অনেক দূর পিছিয়েছি। আমাদের মধ্য থেকে ধর্মীয় উদারতা ও মানবিকতা অনেকাংশই লোপ পেয়েছে। যদি মানবিক ও মূল্যবোধগত প্রপঞ্চগুলোকে হিসাবের আওতায় আনা হয়, তাহলে দেখা যাবে, সেখানেও আমাদের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। অধিকন্তু মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কগুলোর বন্ধন অনেক বেশি শিথিল হয়েছে, ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আদর্শ ও মূল্যবোধের জাগাগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে স্বার্থপরতা, হিংস্রতা, অসুস্থতা ও দুর্নীতিপরাণতা বেড়েছে বই কমেনি। পরিমাণগত শিক্ষা অনেক বেড়েছে, কিন্তু সেই শিক্ষার মধ্য থেকে যে আলো নিঃসরণ হওার কথা ছিল, তা কোথাও লক্ষ করা যা না। ডিগ্রি অর্জনের বাইরে শিক্ষার ভেতর দিয়ে যে সৌন্দর্যবোধ তৈরি হয়, রুচিবোধ তৈরি হয়, জীবন ও জগতের প্রতি যে মমত্ববোধ তৈরি হয়, মানুষের প্রতি বিশ্বাস আস্থা ও সহমর্মিতা তৈরি হয়, গত অর্ধশতকে শিক্ষাকে কেন্দ্র করে তেমন কোনো মূল্যবোধ তৈরি হয়েছে বলে মনে হয় না। ফলে অনিবার্যভাবেই বস্তুগত উন্ননগুলো জাতিগত উন্ননয় থেকে উৎকটভাবে আলাদা হয়ে আছে। দামি দামি অট্টালিকার মধ্যে নিম্নমানের মানুষগুলো উঠে পড়েছে; অসাধারণ সুন্দর স্কুলভবনগুলোর মধ্যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বর্বর ছাত্র-শিক্ষকদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে উঠছে; সুন্দর সুন্দর অফিস-আদালতগুলোতে দুর্নীতিপরাণ, অসাধু ও অসভ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীতে ভরে উঠছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমেই লুটেরাদের অধিকারভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। সুপরিসর সুন্দর ঝকঝকে তকতকে রাস্তাগুলোতে যারা যানবাহন নিয়ে বের হচ্ছে এবং যারা যাত্রী ও পথচারী তাদের দিকে তাকালে স্পষ্টতই মনে হয় যে, এই রাস্তাঘাটের উপযোগী নয় এরা কেউই। এই স্বাধীনতা আমরা চেয়েছিলাম! জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুহিবুর রহমান এই স্বাধীনতা আমাদের দিতে চেয়েছিলনে! যে চারটি মূলনীতির উপর ভিত্তি করে আমাদের সংবিধান, আমাদের রাষ্ট্র, আমাদের স্বাধীনতা তার মর্মার্থ এই! এই কি তার রূপ! রূপচিত্র!

গত দুই দশকে জীবনের নানা ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের এই এই অগ্রগতি সবচেয়ে বেশি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গভীরভাবে অনুধাবন করেছিলেন যে, শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া জাতিগত উন্নয়নের দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। তাই তিনি ক্ষমতারোহনের কিছুদিনের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন এবং শিক্ষকদের চাকরি নিশ্চয়তা বিধান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাতে গণতন্ত্রের চর্চা হয়, বুদ্ধিবৃত্তির চর্চা হয়, নতুন নতুন জ্ঞান সংযুক্ত হয় তার জন্য তিনি সম্পূণরূপে স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, গুণগত মানুষ তৈরির জন্য শিক্ষার ভেতরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তৈরি হওয়া খুবই জরুরি। সেই শিক্ষায় আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত আমাদের এই অগ্রগতি দেখার মতো। কিন্তু তা শুধু পরিমাণগত বিস্তৃতি। শিক্ষার এই বিস্তৃতি আমাদের বস্তুগত উন্নয়ন ছাড়া আর তেমন কিছুই দিতে পারেনি। ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য, সুন্দর-অসুন্দরের পার্থক্য, পরমত সহিষ্ণুতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আত্মীয়তান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার গুরুত্ব, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা, ন্যায়পরায়ণতা, নিষ্ঠা ও সততা, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠা- এর কোনোটই আমরা এই শিক্ষার মাধ্যমে অর্জন করতে পারিনি। ফলে স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশতকের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিগত উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার তেমন কোনোটাই আমরা অর্জন করতে পারিনি। আমরা তাঁর স্বপ্নের নিউজিল্যান্ডের ধারেকাছেও যেতে পারিনি। অধিকন্তু শিক্ষা লাভ করে আমরা ক্রমেই যেন দুর্বৃত্তপরায়ণতায় দক্ষ হয়ে উঠছি।

অথচ কী অসাধারণ উন্নয়নই না হয়েছে দেশটির! অর্থনীতির সেই সেই হিসাব-নিকাশের সামান্য ইঙ্গিত যদি দেওয়া হয় তা হলে তার ভাষা পালটে গিয়ে অন্য রকম হবে। ইতোমধ্যে আমাদের এই দেশটির স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ ঘটেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ননীতি সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে অনেক আগেই। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক- এ তিনটি সূচকের যে কোনো দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও তখন বাংলাদেশ তিনটি সূচকের মানদ-েই উন্নীত হয়েছিল। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) মানদ- অনুযায়ী এক্ষেত্রে একটি দেশের মাথাপিছু আয় প্রয়োজন ছিল কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তার থেকে অনেক বেশি ছিল অর্থাৎ ১৬১০ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশ অর্জন করেছিল ৭২ দশমিক ৯ পয়েন্ট। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক প্রয়োজন ছিল ৩২ ভাগ বা এর কম, যেখানে বাংলাদেশের ছিল ২৪ দশমিক ৮ ভাগ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জন্মের ৫০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশ দ্রুতগতিসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মতো সফলতা দেখাতে পেরেছে তা বিস্ময়ের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানীমুখী শিল্পায়ন, একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, রপ্তানী আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ বাংলাদেশের চেহারা পালটে দিয়েছে। মানুষের শরীর-স্বাস্থ্যেও চিকনাই বেড়েছে। একাত্তরে দেশে অবস্থনকারী এবং দেশছাড়ার জন্য পলায়নপর মানুষগুলোর ছবি বিরল নয়। অনাহারে- অর্ধাহারে, অপুষ্টিতে রোগশোকগ্রস্ত কঙ্কালসার সেই মানুষগুলোর দিকে তাকালে কারোরই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে আহারে-বিহারে, খাদ্যে-পুষ্টিতে আমরা কতটা সমৃদ্ধি অর্জন করেছি। কিন্তু অনাহারে থাকা, অপুষ্টিতে ভোগা, কঙ্কালসার সেই মানুষগুলোর মধ্যে যে দেশপ্রেমবোধ ছিল, যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আত্মত্যাগের মানসিকতা ছিল, ন্যায়-অন্যায়বোধের যে প্রখড় বোধবুদ্ধি তারা লালন করতেন, আজকে আমরা গায়ে-গতরে, পুষ্টিতে মোটাতাজা মানুষগুলো কি তাদের মতো ভাবতে পারি, তাদের মতো করে জীবন ও জগৎকে বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারি, তাদের মতো করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাঙালি সমাজ-সংস্কৃতি-ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করতে পারি? তার কিছুই আমরা এখন আর পারিনা। আমরা ভোগের মধ্যে থাকি, স্থূলতার মধ্যে থাকি, ধর্মের নামে অধমর্, অন্যায়-অবিচারের মধ্যে থাকি। বিবেকবর্জিত জীবনযাপন আমাদের জীবনের অনিবার্য বিষয় হয়ে উঠেছে। আমাদের বৈশ্বিক উন্নয়নগুলো আমাদের মানবিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে, অসাম্প্রদায়িকক জীবনাদর্শের আলোকে, সম্পদের সুষম বণ্টনের আলোকে, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারের আলোকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল, সেই মৌলিক আদর্শগুলো থেকে আমরা অনেক দূরে সরে গিয়েছি। এই কি আমাদের স্বাধীনতা! না, এসব স্বাধীনতা হতে পারে না। অধিকন্তু, আমাদের মনোগড়নের এক অব্যাখ্যাত পরাধীনতার মধ্যে নিজেদের প্রতিনিয়ত বন্দি করে রাখছি। শিক্ষার যে আলো আমাদের উদার, অসাম্প্রদায়িক, আদর্শনিষ্ঠ, মূল্যবোধে উজ্জ্বল, ন্যায়পরায়ন, সৌন্দর্যবোধসম্পন্ন ও পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কথা ছিল, তার ধারেকাছেও আমরা পৌঁছোতে পারিনি। বরং যতই দিন যাচ্ছে, মনে হয়, আমরা ততই অন্ধত্বের মধ্যে ও অপরিণামদর্শিতার মধ্যে নিজেদের নিমজ্জিত করে ফেলছি। যদি এই নিমজ্জন থেকে আমাদের উত্তর না ঘটে, তাহলে কোনো স্বাধীনতাই আমরা লাভ করতে পারব না। সুতরাং এখন সময় এসেছে, বস্তুগত স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে মনোজাগতিক স্বাধীনতাকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়