বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩, ০০:০০

বেলা হয়ে যায় চাঁদপুর ডাকে আমায়
(গত সংখ্যার পর)

মৃত্তিকার মায়ায় ভূমিতে সবাই বারবার ফেরে যাই। আমি মেঘনা পাড়ের কিশোর। জীবনে যে একসঙ্গে অনেক কিছু হতে চেয়েছে! হিসাববিজ্ঞানী, আমলা, নৃত্যশিল্পী, সাংবাদিক ও লেখক। কোনটাই পরিপূর্ণভাবে হতে পারিনি আমি। তবে পারিবারিক নৈতিক শিক্ষায় অনেকটা মানবিক হতে পেরেছি।

সাড়ে তের বছরে মেট্রিক পাস! আর সাড়ে পনরোতে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি পার করেছি। ১৫ বছর বয়স থেকে সুদীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে ব্যস্ততম ইমারতের মহানগরে বসবাস আমার। লেখালেখিতে বেশির ভাগ বিষয় চাঁদপুর। যদিও নিজের নামে কোথাও বাসস্থান নেই। জন্মের পর থেকেই ভাড়া বাসাতে এখনও বসবাস। শিশুবেলা থেকে কৈশোর কাল চাঁদপুর মহকুমা শহরের গুয়াখোলা পণ্ডিতপাড়া থেকে শুরু করে কোড়ালিয়া রোড়ের দত্ত বাড়ি এবং পুরাণ আদালত পাড়ার ননী দারোগার বাসায় কেটেছে।

শিক্ষাব্রত ছিল আমাদের পারিবারিক সংস্কৃতি। বাবা ডাঃ কালী কৃষ্ণ মজুমদার নাট্যশিল্পীও। তিনি চাঁদপুরের গান্ধী বলে পরিচিত বিশিষ্ট নেতা হরদয়াল নাগের সঙ্গে বাংলা থেকে ব্রিটিশ খেদাও আন্দেলনে যুক্ত ছিলেন। কুমিল্লার জমিদার পিতার একমাত্র কন্যা রত্নগর্ভা শিক্ষিতা নিলীমা মজুমদার অনেক কষ্টে আমাদের পড়াশোনা করাতে গিয়ে বেশ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমার দস্যিপনার জন্য মাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে, কিন্তু পড়াশোনার জন্য নয়। মেজ কাকুর পরিবারসহ আমাদের বিশাল পরিবার। রীতিমত চাঁদের হাট। পড়াশোনার খরচ চালাতে মাকেই বেশি ভাবতে হত। বাবা পেশায় চিকিৎসক হলেও হৃদয়ে ওনার ছিল সমাজসেবা, নাটক ও শরীর কসরতের নেশা। তাই সংসার পরিচালনায় কিছুটা উদাসীন ছিলেন তিনি। শহরের বকুলতলা রোডে অবস্থিত নিজের চিকিৎসালয় নিলীমা ডেন্টাল হল। রোগী দেখে উপার্জিত অর্থ নিয়ে বাবা সোজা পাল বাজার! পাটের চট বা ছালার থলে ভরে সন্ধ্যা বেলাতেও বাজার! ছেলেমেয়েদের নানা ধরনের বাহারি খাবার সংগ্রহে বাবা শুধু সিদ্ধহস্ত। পরিবারের বাইরে অনেককে খাওয়াতেও ভালবাসতেন তিনি। সেলাই করা, পাটে হাতের কাজ, পুরাতন তৈজস থালা-বাসন, কাপড়, পত্র-পত্রিকা ও বই-খাতা বিক্রয় ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে হত মাকেই। পড়া অবস্থায় উপার্জনে ছিলেন বড় ভাই-বোনেরা। সামান্য অর্থের বিনিময়ে কেউ গান ও কেউ গৃহ শিক্ষকতা করতেন। বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার খরচ দিতে পারিনি; তাই ফলাফল স্থগিত থাকত। মনে পড়ে, গণি আদর্শ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে আমার জন্যও মাকে একাধিকবার শিক্ষকদের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। শিক্ষার তিন পর্যায়ে কোন সময় ক্লাস ফাঁকি দিইনি আমি। এ জন্য শিক্ষকদের কাছে জনপ্রিয় ছিলাম।

কৃতকার্যের সঙ্গে মেট্রিক পাশ করে বাণিজ্য বিভাগে মায়ের কষ্টার্জিত অর্থে ভর্তি হলাম চাঁদপুর মহাবিদ্যালয়ে। ১৯৭৮-৭৯ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ শাখায় আমার ক্রমিক সংখ্যা ছিল ৬৬৬। দোতলা ও তিনতলায় প্রতিদিন ক্লাশ হয়। দিনে ৪/৫টি ‘পিরিয়ড’। খুব সকালে ক্লাশ। প্রায় দিনই প্রথমে বাংলা বিষয় থাকে। খাতায় ক্লাশের সময়সূচি, শিক্ষক ও বিষয় কাঠ পেন্সিলে সুন্দর হন্তাক্ষরে তুলে রাখি। শিক্ষকদের সংক্ষিপ্ত নাম। আসা, খর, খর-২, জসব, ওন, আবা, হেআ, রচপো, মর, সাঅ, মদা প্রভৃতি। শিক্ষাগণের পূর্ণ নাম হল আবদুস সাত্তার, খলিলুর রহমান, খলিলুর রহমান-২, জয়সেন বড়ুয়া, ওয়ালী উল্লাহ নওজোয়ান, আবদুল বাসেত, হেলালউদ্দীন আহমেদ, রঞ্জিত চন্দ্র পোদ্দার, মশিউর রহমান, সামসুদ্দিন আহমেদ ও মনোরঞ্জন দাস।

একাদশ শ্রেণির তৃতীয় দিনের একটি ঘটনা আমাকে আজও বিস্মৃত করে! অধ্যাপক মশিউর রহমান অর্থশাস্ত্রের ডাকসাইটে শিক্ষক। বেশ ভালো অর্থনীতি পড়ান তিনি। কড়া শাসন যেমন, তেমন দরাজ কন্ঠের গমগমে গলা তাঁর। ইংরেজিতে কথা বলেন তিনি অনর্গল। খালি পায়ে হাফ প্যান্ট বসনে সেদিনও ক্লাশে গিয়েছি। শ্রেণি কক্ষের তিনটি সারি। মাঝখানের প্রথম সারিতে তিনজনের মধ্যখানে আমি। চেয়ারে বসা মশিউর রহমান স্যারের সশব্দের নির্দেশ! ওনার তর্জনী আমার দিকে।

- ইউ বয়, স্ট্যান্ড আপ।

মুহুর্তের মধ্যেই গলা শুষ্ক হয়ে গেল! দুরু দরু বক্ষে রোগাক্রান্ত মানুষের মতো ধীরলয়ে দাঁড়ালাম! ভয়ে স্যাারের দিকে তাকাতে পারছিনা!

- দিজ ইজ নট ইশকুল! হাফ প্যান্টস আর নট এলাউড ইন মাই ক্লাশ! মাস্ট কাম টু দ্য কলেজ ওয়ারিং ফুল প্যান্ট অ্যান্ড সু। বি রিম্যামবার!

মাথা ডানদিকে কাত করে ভয়ার্ত কণ্ঠের মিহি জবাব-

- ইয়েস স্যার।

স্যারের রাগতস্বরের শাসনকে মেনে নিতে পারছি না। চোখ থেকে জল ঝরছে। নাক দিয়ে ভেজা শ্বাস উঠানামা করছে। বেশ অপমানবোধ করছি! অর্থনীতির ক্লাশটাই ছিল ওইদিনকার শেষ ‘পিরিয়ড’। তখন আমরা পুরান আদালত পাড়ায় টিনের বাসায় থাকি। চিত্রলেখা প্রেক্ষাগৃহের পাশে কুমিল্লা রোডের রাস্তা ধরে মহিলা কলেজ হয়ে বাসায় ফিরছি। লেকপাড়ের পাশে রেললাইন অতিক্রম করতেই দেখা বড়দা সঙ্গীত শিল্পী, কৃষিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা কবি প্রবীর মজুমদার বাবুলের সঙ্গে। ভেজা চোখের কারণ জানতে চাইলেন।

- বাসায় চল। মা কি বলে শোন!

সিদ্ধান্ত হলো ফুল প্যান্ট আনতে ঢাকায় যাব। বড়দার সঙ্গে বেঙ্গল ওয়াটারে করে নদীপথে দ্বিতীয়বার ঢাকা গমন! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত আমাদের এক সময়ের গৃহশিক্ষক মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী। জগন্নাথ হলে উত্তর বাড়ীর একটি কক্ষে একা থাকেন। পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই উত্তর বাড়ীতেই প্রথম থেকে শেষ অবধি ছিলাম। বড়দার বন্ধু যিনি চাঁদপুর কলেজে সহপাঠী ছিলেন, সেই মৃণাল মাস্টারমশাই মার চিঠি পড়ে আমাকে তাঁর পুরানো ২টি প্যান্ট দিলেন। গাজী স্টিমারে করে রাতে চাঁদপুরে ফিরি আমরা। পরদিন সকালে বাসায় মা ডেকে আনেন পারিবারিক দর্জি মোফাজ্জল ভাইকে। কোর্ট ষ্টেশন টাউন হলের নিচে চাঁদপুর মিলস লিমিটেড এর কাপড়ের দোকানের কাঠের দোতলা থেকে ‘অলটার’ (নবরূপ) প্যান্ট ২টি নিয়ে আসি বাসায়। ৪ দিন ক্লাশ বন্ধ শেষে পরদিন মৃণাল সারের দেয়া ফুলপ্যান্ট পরে মহাবিদ্যালয়ে যাই। পোশাকের সঙ্গে ছিল বাবার পুরানো চপ্পল! এরপর কলেজে ক্লাশ আর বাদ যায়নি।

মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ঘিরেও আমার অনেক স্মৃতি। শ্রেণিতে তাঁদের পাঠ্যদান ভেতরে গেঁথে যেত। মুখস্থ বিদ্যায় আমি বেশ আনাড়ী এখনও। শ্রেণির পাঠ মনোযোগ সহকারে শোনা, বাসায় ফিরে তা অনুশীলন এ ছিল আমার শিশুকাল থেকে অভ্যাস। ইংরেজী শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ স্যার, বাসেত স্যার এবং হিসাববিজ্ঞান শিক্ষক মনোরঞ্জন স্যার শাসনে ছিলেন বেশ কড়া। তবে রাগী ছিলেন না বাসেত স্যার। অভিনব পদ্ধতিতে তিনি ইংরেজী থেকে বাংলা, বাংলা থেকে ইংরেজী অনুবাদ শিখাতেন। তবে ছাত্রদের ভারি লজ্জা দিতেন স্যার। তাঁর অভিনব পদ্ধতির শরমে ক্লাশে প্রায় ছাত্র পড়াশোনা করে আসতো। হাস্যময় সৌম্য চেহারার শুভ্র ধবল বাসেত স্যার নিদিষ্ট কোন ছাত্রের কাছে এসে বলতেন ‘আচ্ছা বলতো এ বাক্যের ইংরেজী কি?’ শিক্ষার্থী উত্তর না পারলে স্যার উপস্থিত সকলকে বলতেন- ‘দুষ্টুটা পারে, কিন্তু বলে না, যদি তোরা শিক্কা ফেলাস।’ মশিউর রহমান সারের মতো ওয়ালী উল্লাহ স্যার শ্রেণি কক্ষে ঢুকলেই ছাত্ররা সবাই চুপ! কক্ষে ঢুকেই প্রথম সারি থেকে শেষ পর্যন্ত টহল দিতেন স্যার। হাতে সাদা চক (খড়মাটি) ও ডাষ্টার। ইংরেজী বচনে বচনে ঘোরা শেষ হলে সোজা ব্ল্যাক বোর্ডে গিয়ে শ্রেণির পাঠের বিষয় লিখতেন। বিশুদ্ধভাবে পড়ানোর ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অনন্য শিক্ষক। তীক্ষè মেধাসম্পন্ন হিসাববিজ্ঞানের অধ্যাপক মনোরঞ্জন মেজাজী হলেও ব্যক্তিত্ববান এবং অংক সম্পাদনে ছাত্রের প্রতি অনেক যত্নশীল ছিলেন। কম অর্থে ব্যাচে প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। হিসাববিজ্ঞানের অপর শিক্ষক সামসুদ্দিন স্যার বয়সে প্রবীণ হলেও সহজ সরল এবং বন্ধুসম ছিলেন। একাদশ শ্রেণির টিউটরিয়াল পরীক্ষায় হিসাববিজ্ঞানে আমি এবং একমাত্র মেয়ে সহপাঠী সাহানা বেগম (সানু) সবচেয়ে বেশি নম্বর পেতাম। পরীক্ষায় প্রথম বা দ্বিতীয় হই। প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে সানুর সঙ্গে আমার গাঢ় বন্ধুত্ব তৈরি হয়। সাদা ধবধবে ধূতি, দুধের মতো গায়ের রঙ ব্যবসা প্রশাসন ও বাণিজ্য লিপির অধ্যাপক রঞ্জিত চন্দ্র পোদ্দার স্যারের। চেয়ারে স্থির হয়ে বসতেন ভারি ফ্রেমের কালো চশমা পরিহিত অত্যন্ত শান্ত প্রবীণ এই শিক্ষক। ঘন্টা পরার পরও তিনি পাঠ দিয়ে চলেছেন। উনার শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকত একেবারে কম!

ভুলব না আমৃত্যু বাংলা বিষয়ের সৈয়দ আবদুস সাত্তার স্যারকে। বেশ জনপ্রিয় ছিলেন সাত্তার স্যার। উনার পড়ানোর ধরণ ছিল বেশ মনোজ্ঞ। মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হৈমন্তী গল্পটি আমাদের মাসাধিকাল ধরে পড়িয়েছিলেন তিনি। গল্পটি দ্বিতীয়বার চর্চা করার প্রয়োজন পড়েনি আমার!

আমাদের সময়ে কলেজের পাঠাগারটি ছিল বেশ উন্নত। কার্ড ব্যবহার করে ভারি ভারি বই পড়া ছাড়াও বাস্কেট বল মাঠের পাশে অবস্থিত কেন্টিনে সহপাঠীরা মিলে সিঙ্গারা, সমুচা খাওয়া এবং চা পান ছিল সেদিনের আনন্দময় শিক্ষা উদযাপন। পাশেই ছিল টেবিল টেনিস এবং ক্যারাম খেলার কক্ষ। ছাত্রের আধিক্যে সে বিনোদনে প্রতিদিন সবার সুযোগ হত না! সচিত্র কলেজ ম্যাগাজিন ছিল দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয়।

পারিবারিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড় হয়েছি। সুস্থ্য মস্তিষ্ক বিকাশে অতিরিক্ত জ্ঞান অন্বেষণে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে পড়াশোনায় গোটা পরিবার ছিল নিবেদিত প্রাণ। সেই ধারাবাহিকতায় প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার পাশাপাশি ছেলেবেলা থেকে সাহিত্যে নিমগ্ন হই। আজও তা অব্যাহত রয়েছে। আমাকে সহযোগিতা করেছে ডাকাতিয়ার উপকূল ও মেঘনার পাড়ে বড় হওয়া বালকের জন্মমাটি চাঁদপুরের বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়।

ছোট্টবেলায় মহকুমা শহরে কবি আহসান হাবীবের ছড়া ‘মেঘনাপাড়ের ছেলে’ আমি আওড়াতাম। বলতাম ‘আমি মেঘনাপাড়ের ছেলে, আমি চাঁদপুর কলেজের নেয়ে। পুরান বাজার যাই আমি, চৌধুরী ঘাট বেয়ে।’ মুনীর চৌধুরীর লেখা নাটক রক্তাক্ত প্রান্তর রসিয়ে রসিয়ে পড়াতেন খলিলুর রহমান স্যার। আহসান হাবীবের ছড়ার আদলে আমার ছন্দিত নির্মাণ শুনে একদিন বিকেলে তিনি মাথা নেড়ে নেড়ে বললেন, ‘বুঝছি! লেখক অইবা বড় অইলে।’ সেদিনের মহকুমা শহরের সংস্কৃতির আবহমান বাংলার বিদ্যা নিকেতন গণি আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং চাঁদপুর মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অকৃপণ শিক্ষা আমাকে প্রগতির পথ দেখিয়েছে। মণীষী অনুকূল চন্দ্র ঠাকুরের মতো টাকা নয়, বরং মানুষকে আপন ভেবে খুঁজে বেড়াই বিশেষ করে চাঁদপুরের মাটি ও মানুষকে। সাহিত্য মনের সে যাত্রা আমার থাকবে আমৃত্যু। (সমাপ্ত)

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

টুইন টাওয়ার কনকর্ড

শান্তিনগর, ঢাকা

লেখক কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

[email protected]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়