প্রকাশ : ১২ মে ২০২২, ০০:০০
ভিভিয়ান ঘোষ। তিনি ‘তারুণ্যের অগ্রদূত’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক চর্চার সাথে জড়িত আছেন। তার সামাজিক কর্মকাণ্ড সুধী সমাজে প্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি তার সাংগঠনিক চর্চা ও চিন্তার বিষয়ে কথা হয় ‘সুচিন্তা’ বিভাগের। সাক্ষাৎকারটি আজ প্রকাশিত হলো।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
ভিভিয়ান ঘোষ : ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সাংগঠনিক চর্চায় কীভাবে যুক্ত হলেন?
ভিভিয়ান ঘোষ : নবম শ্রেণীতে থাকাবস্থায় প্রথম বিতর্ক চর্চায় যুক্ত হই। নতুন পরিবেশ ও নতুন কিছু মানুষের সাথে পথচলা শুরু হয়। ২০০৯ সালে পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ যাত্রা শুরু হয়। বিতার্কিক হিসেবে এ যাত্রার সূচনা হলেও বিতর্ক সংগঠক হিসেবে কাজ শুরু করি ২০১৩ সালে চাঁদপুর ডিবেট মুভমেন্ট (সিডিএম)-এর মাধ্যমে। সেখানেই ইবনে আযম সাব্বির ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ও সাখাওয়াত ইমন ভাইয়ের ছত্রছায়ায় সাংগঠনিক চর্চার হাতেখড়ি ঘটে।
বিতর্ক নেতৃত্ব দিতে শেখায় এবং সেই বিশ্বাসটি লালন করেই নিজ উদ্যোগে একটি সংগঠন শুরু করার স্বপ্ন দেখি। লালিত সেই স্বপ্নের নাম ‘তারুণ্যের অগ্রদূত’, প্রতিষ্ঠা করি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। এর পাশাপাশি পরবর্তীতে চাঁদপুরের বেশ কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে সাংগঠনিক চর্চা অব্যাহত রেখেছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ‘তারুণ্যের অগ্রদূত’ সংগঠন সম্পর্কে কিছু বলুন।
ভিভিয়ান ঘোষ : অনুপ্রেরণার মাধ্যমে নিজের মনের পরিবর্তন ঘটাতে আমরা একত্রিত হই, চিন্তার প্রসার ঘটাই শুদ্ধতার বিকাশে, নিজেদের মনের চেতনাকে জাগ্রত করি ভালো কিছু শুরুর জন্যে। সেই জাগ্রত চেতনা আমাদের অনুপ্রাণিত করে, প্রতিফলিত করে, এগিয়ে যেতে, শুরু করতে এবং চলমান রাখতে উদ্বুদ্ধ করে এবং উচ্ছ্বসিত করে। এরকম চেতনার প্রতিফলনের উচ্ছ্বাসের আর আগ্রহের চূড়ান্ত রূপই হলো ‘তারুণ্যের অগ্রদূত’।
‘তারুণ্যের অগ্রদূত’ মূলত আমার আবেগ ও ভালোবাসারই প্রতিফলন। এ নামটি আমার দেয়া। যার স্লোগান : ‘তারুণ্যের গর্জন, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, বদলে দিবে আমাদের সমাজ’।
ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস। ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য শুনে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হলাম। ভাবতে লাগলাম আমার অবস্থান থেকেই সমাজের জন্যে কিছু করা দরকার, পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানো তো আমাদের দায়িত্ব।
পরবর্তীতে মধুসূদন মাঠে ক্রিকেট খেলা শেষ করে বন্ধুদের বললাম, সংগঠন শুরু করবো, তারা সায় দিলো। তখন তীব্র শীত। পুরাতন শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে শীতার্তদের মাঝে তুলে দিই এবং এর মাধ্যমেই তারুণ্যের অগ্রদূতের সাংগঠনিক কাজের শুরু হয়।
তারুণ্যের অগ্রদূত সামাজিক সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া ও তাদের শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসা। সংগঠনটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাদের অধিকার নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার অধিকারের আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া রোধে কার্যক্রম পরিচালনাসহ সার্বিক শিক্ষার প্রসারে বিশেষ অবদান রাখছে। তাছাড়াও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে সামাজিক অসঙ্গতি দূর করার প্রয়াসে সামিল হয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : এ সংগঠনে কারা সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন?
ভিভিয়ান ঘোষ : তারুণ্যের অগ্রদূত সংগঠনে যে কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষই যুক্ত হতে পারেন। স্বেচ্ছাসেবী, সদস্য, শুভাকাক্সক্ষী, উপদেষ্টা, নির্দেশক এ সেক্টরগুলো রয়েছে তারুণ্যের অগ্রদূতের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্যে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যারা শিক্ষার্থী তারাই যুক্ত আছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যারা কমপক্ষে এসএসসি সম্পন্ন করে সাংগঠনিক ভাবধারায় নিজেদেরকে গড়ে তুলতে চায় তারা তারুণ্যের অগ্রদূতের সাথে যুক্ত হতে পারেন। মূলত চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ সংগঠনের সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ‘তারুণ্যের অগ্রদূত’ সংগঠনটি মূলত কী বিষয় নিয়ে কাজ করে?
ভিভিয়ান ঘোষ : তারুণ্যের অগ্রদূত সংগঠনটি মূলত দুটি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে- সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত শিশুদের অধিকার (বিশেষত শিক্ষা ও খাদ্য) নিশ্চিতে কাজ করা। এর মধ্যে বাল্যবিবাহ ও ঝরে পড়া প্রতিরোধে কার্যসম্পাদন জোরালোভাবে অন্তর্ভুক্ত।
দ্বিতীয়ত, জাতীয় ও সামাজিক দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদায় পালন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, রক্তদান, সবুজায়নসহ, সামাজিক অসঙ্গতি দূরকরণ ও ইতিবাচক সমাজ বিনির্মাণে যে কাজগুলো বাস্তবায়ন করা দরকার সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনাদের সংগঠনের উল্লেখযোগ্য কাজ কী কী?
ভিভিয়ান ঘোষ : আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ২০১৭ সালে আমরা স্কুল কার্যক্রম শুরু করি, যা এখনো চলমান। যার নাম দিয়েছি ‘অগ্রদূত বিদ্যানিকেতন’। বর্তমানে দুটি শাখায় প্রায় দুশ’জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তারা পথশিশু নয়, সুবিধাবঞ্চিত। সপ্তাহে দুদিন এবং সরকারি ছুটির দিন আমরা তাদের পড়াই। পড়ানোর পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন সহ-শিক্ষা কার্যক্রম যেমন : নাচ, গান, আবৃত্তি থেকে শুরু করে যে যেই বিষয়ে পারদর্শী বা যে ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহ রয়েছে সে ক্ষেত্র নিয়ে আমরা তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। সেই ক্লাসের নাম ‘স্বপ্ন দেখার ক্লাস’। তাদের স্বপ্ন বুননের যাত্রাটা এখান থেকেই শুরু হয়। অগ্রদূত বিদ্যানিকেতনের পড়াশোনার সকল শিক্ষা উপকরণ আমরাই সরবরাহ করি এবং প্রতি ক্লাস শেষে তাদের জন্যে খাবারের ব্যবস্থা করি।
উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু উৎসব পালন। যেমন : জন্মোৎসব- এদিনে যেসব শিশু জানেই না তাদের জন্মদিন কবে, সেসব শিশুর জন্মদিন জমকালোভাবে উদ্যাপন করা হয়। এছাড়া অগ্রদূত উৎসব, বিজয় দিবসে বিজয়োৎসব, একুশে ফেব্রুয়ারিতে বর্ণ উৎসব, শীতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্যে পিঠা উৎসব উল্লেখযোগ্য।
আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে আয়োজন করেছি ‘ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধু’। যেখানে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সঞ্চারে ডকুমেন্টারি ভিডিও আমরা তৈরি করি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তা প্রদর্শন করি।
বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, যেমন পবিত্র ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে নতুন পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী দিয়ে থাকি। স্বেচ্ছায় রক্তদানে আমাদের সদস্যরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
নদীভাঙ্গন ও বন্যাকবলিত অঞ্চল যেমন হাইমচর, মতলব, রাজরাজেশ্বর এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা, খাদ্য ও অর্থসহায়তা দিয়েছি। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে বিভিন্ন সভা এবং মাইকিং করে প্রচারাভিযান চালিয়েছি। সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও অসহায়দের জন্যে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছি এবং ওষুধ বিতরণ করেছি। আমাদের স্বাবলম্বী প্রজেক্টের আওতায় সেলাই মেশিন বিতরণ করেছি।
করোনাকাল শুরু থেকেই ফ্রন্টলাইনে ছিলো তারুণ্যের অগ্রদূত। লিফলেট বিতরণ, মাইকিং থেকে শুরু করে দ্বারে দ্বারে খাবার পৌঁছানো এবং পরবর্তীতে অক্সিজেন সেবা দিয়ে মানুষের পাশে ছিলো তারুণ্যের অগ্রদূত।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ‘তারুণ্যের অগ্রদূত’ সংগঠনটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ভিভিয়ান ঘোষ : জেলাব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও মূলত চাঁদপুর সদরকে কেন্দ্র করেই আমাদের কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়িত হয়। এখানেই আমাদের স্কুল কার্যক্রমের দুটি শাখা পরিচালিত হচ্ছে।
আপাতত জেলার অন্তত চারটি উপজেলায় সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত শিশুদের নিয়ে দুটি করে স্কুল স্থাপন করা নিয়ে ভাবছি এবং সে ভাবনা নিয়েই এগুচ্ছি। তাই মূল পরিকল্পনা হচ্ছে বর্তমান উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে জেলাব্যাপী ব্যাপক পরিসরে কাজ করা। প্রত্যেকটি উপজেলায় শাখা স্থাপন করার মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করা। পাশাপাশি বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ করারও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। চাঁদপুরে অনেক অসহায় বৃদ্ধ দেখা যায়, যারা রাস্তায় কিংবা ফুটপাতে জীবন কাটান। তাদের পুনর্বাসনের জন্যে কি ব্যবস্থা করা যায় সেটা নিয়েও তারুণ্যের অগ্রদূত ভাবছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার সংগঠনে কেউ কীভাবে সদস্য হিসেবে যুক্ত হতে পারবে?
ভিভিয়ান ঘোষ : এ সংগঠনে যুক্ত হওয়ার জন্যে তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট সদস্য ফরম পূরণ করে যে কেউই আমাদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যুক্ত হতে পারবে। পরবর্তীতে আমাদের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা, তাদের সাংগঠনিক কাজের প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কিছু সময় পরেই স্বেচ্ছাসেবী থেকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সংগঠনের কার্যক্রমকে সাধারণ মানুষ ও সচেতন নাগরিকরা কীভাবে দেখেন? তাদের কাছ থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া পান?
ভিভিয়ান ঘোষ : যখন আমরা কার্যক্রম শুরু করি তখন আমাদের পাশে তেমন কাউকেই পাইনি। হয়তো সবার মনে সন্দেহ ছিলো ‘তারুণ্যের অগ্রদূত’ নামটার সাথে যে মাধুর্যতা আছে তা তাদের কর্মে ফুটে উঠবে কি না! কিন্তু ধীরে ধীরে যখন তারুণ্যের অগ্রদূত আলো ছড়ানো শুরু করলো তখন পাশে সবাইকেই পেতে লাগলাম। এক্ষেত্রে সংগঠনের উপদেষ্টাবৃন্দের নাম উল্লেখ করতেই হয়। কারণ তাদের সহযোগিতায়, অনুপ্রেরণায়, অভিভাবকত্বেই তারুণ্যের অগ্রদূত এগিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের সংগঠনের প্রথম উপদেষ্টা চাঁদপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহসীন শরীফ স্যার, যিনি শুরু থেকেই তারুণ্যের অগ্রদূতকে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ স্যার। তিনি আমাদের অনন্য শক্তি। আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে আরও রয়েছেন পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার স্যার, সমাজসেবক লায়ন মাহমুদ হাসান খান, সাংবাদিক ফারুক আহম্মদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিউ.এম. হাসান শাহরিয়ার স্যার, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান স্যার ও ব্যবসায়ী অনুকুল চন্দ্র পোদ্দার। এছাড়াও বর্তমানে এনসিটিবিতে কর্মরত মফিজুর রহমান স্যার, মাউশিতে কর্মরত রূপক রায় স্যার আমাদের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। আমাদের একমাত্র নির্দেশক সাখাওয়াত ইমন ভাই। এই গুণী ব্যক্তিরাই আমাদের অনুপ্রেরণা ও শক্তি। তাঁদের জন্যেই নতুন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে আমরা ভয় পাই না। সাধারণ মানুষের দোয়া, আশীর্বাদ ও শুভকামনা আছে বলেই তারুণ্যের অগ্রদূত আটটি বছর পার করে নবম বছর অতিক্রম করছে। আমরা সামাজিক সংগঠনে সময় দিই মূলত আত্মতৃপ্তির জন্য, আর এটা পাই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর মাঝে। তাই আমাদের আশপাশের মানুষদের কাছ থেকে খুব ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই আমরা পাচ্ছি।
আর সচেতন নাগরিকদের মধ্যে প্রথমেই আমাদের সবার প্রিয় মানুষ, চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির কথা উল্লেখ করতে চাই। তিনি বিভিন্নভাবে আমাদের পাশে থেকে মানসিকভাবে সাহস দিয়ে যাচ্ছেন।
চাঁদপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল ভাই পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করা পরপরই আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। চাঁদপুরের সাবেক এডিসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান স্যারের কথাও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। চাঁদপুরে থাকাকালে আমাদের প্রত্যেকটি প্রোগ্রামে তিনি অংশগ্রহণ করতেন এবং তাঁর সর্বোচ্চটুকু দিয়েই আমাদের উৎসাহিত করতেন।
সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুরের মহাপরিচালক ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাত আংকেলের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ। যখনই আমরা তাঁর কাছে গিয়েছি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।
চাঁদপুরের বিশিষ্ট লেখক, কবি, ছড়াকার ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া আংকেল ও তাঁর সহধর্মিণী মুক্ত পীযূষ আন্টিও তারুণ্যের অগ্রদূতের পাশে আছেন। এছাড়াও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পিক ডিজিটাল কমিউনিকেশন এবং এর স্বত্বাধিকারী নাজমুল ইসলাম এমিল ভাইও তারুণ্যের অগ্রদূতকে ভালোবেসে নিরলসভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। হয়তো অনেকের নাম উল্লেখ করতে পারিনি যারা শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে আমাদের আগলে রেখেছেন। এ সচেতন ব্যক্তিবর্গ তারুণ্যের অগ্রদূতের অগ্রগতির ক্ষেত্রে সামনে থেকে হোক বা পেছন থেকেই হোক ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন। তাঁদের জন্যেই তারুণ্যের অগ্রদূত স্বপ্ন দেখতে শিখে এবং অন্যদেরকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সময় দেয়ার জন্যে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।