সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

১৪ দিন বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ছিলাম, তাঁকে বহুবার খুব কাছ থেকে দেখেছি
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঘনিয়া এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারুনুর রশিদ। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পরবর্তীতে চট্টগ্রাম এবং শেষের দিকে ঢাকায় যুদ্ধ করেন। মহানায়কের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিনে বঙ্গবন্ধুকে তিনি গার্ড-অব-অনার প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে ১৪ দিন বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যের বিষয়ে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এইচএম জাকির। সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো :

এইচএম জাকির : বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে আপনার পরিচয় কিভাবে?

মোঃ হারুনুর রশিদ : বঙ্গবন্ধু নামটির সাথে আমার পরিচয় স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই। আমার বাবা তখন রেলওয়েতে চাকুরি করতেন। ছুটি পেলেই বাবা বাড়িতে চলে আসতেন। আমরা তখন বি-বাড়িয়ার কসবায় থাকতাম। আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা কসবাতেই। চাঁদপুরে আমাদের বাড়ি হলেও মূলত বাবার চাকুরির সুবাদেই আমরা কসবায় বসবাস করি। বাবা সবসময় বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনাতেন। আমি তখন হাইস্কুলে পড়ি, বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন ভাষণ, আন্দোলন ও কারাবাসের গল্প তখন থেকেই বাবা আমায় বলতেন। বঙ্গবন্ধুকে আমি মনেপ্রাণে গেঁথে নিই মূলত ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ শোনার পর থেকেই। সেই ভাষণটি আমাকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত করে। বঙ্গবন্ধুর সেই তেজস্বী ভাষণের অনুপ্রেরণা থেকেই আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরি নিই এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি।

এইচএম জাকির : সে সময়ে আপনার আশপাশের মানুষেরা বঙ্গবন্ধুকে কিভাবে দেখতেন?

মোঃ হারুনুর রশিদ : সে সময় আমার আশপাশের মানুষেরা বঙ্গবন্ধুকে নায়ক হিসেবে দেখতেন। বঙ্গবন্ধুর কথা শুনলেই মনোযোগ দিয়ে তা শ্রবণ করতেন। বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর কারাবাসে কষ্ট পেতেন। বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন ও সংগ্রামে বাহবা দিতেন এবং ‘মুজিব ভাই’ ‘মুজিব ভাই’ বলে স্লোগান দিতেন।

এইচএম জাকির : আপনি কি বঙ্গবন্ধুকে সরাসরি দেখেছেন? কোথায় দেখেছেন?

মোঃ হারুনুর রশিদ : হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার সরাসরি দেখা হয়েছে। কথা হয়েছে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফোর-ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তেজগাঁও বিমানবন্দরে তোপধ্বনি ও গার্ড-অব-অনার প্রদান করে। আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সদস্য হিসেবে সে দলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর গার্ড-অব-অনারে অংশগ্রহণ করি। মূলত তখন বঙ্গবন্ধুকে প্রথম দেখি। তারপর আমরা কড়া নিরাপত্তা দিয়ে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির ২৬ নম্বর রোডের বাড়িতে নিয়ে যাই। তখন থেকেই টানা সাত দিন সেই বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকি। এরপর আমাদের অন্য একটি দলকে বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্বে দেওয়া হয় এবং আমাকে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে দায়িত্বরত ফোর-ইস্টবেঙ্গল সদস্যদের খাবার আনা-নেওয়ার। এ দায়িত্বেও আমি সাত দিন নিয়োজিত ছিলাম। টানা ১৪ দিন বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আমি ছিলাম এবং বহুবারই তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তারপর আমাকে আমার ইউনিটে দায়িত্বে হস্তান্তর করা হয়।

এইচএম জাকির : বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আপনার কথা হয়েছিল?

মোঃ হারুনুর রশিদ : বঙ্গবন্ধুর সাথে বেশ কয়েকদিন কথা হয়েছে আমার। যতবারই তাঁর সাথে কথা হয়েছে, তাতে তিনি আমাদের খোঁজ-খবরই বেশি নিতেন। আমাদের কার বাড়ি কোথায়, তা জানতেন। বলতেন, কেমন আছো? ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করো তো? তোমাদের শরীর ভালো তো? সাবধানে থাকবা। একদিন আমার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু দেখলেন আমার শার্টের বোতাম নেই। তখন তিনি কাছে এসে বললেন, আমাদেরকে আরো কিছু বছর কষ্ট করতে হবে। নিজের গায়ের ছেঁড়া পোশাক নিজেকেই সুঁই-সুতো দিয়ে সেলাই করে পরতে হবে। পুরাতন পোশাক ভালো করে ধুয়ে বার বার পরতে হবে। বোতামটি সময় করে সেলাই করে নিও।

এইচএম জাকির : আপনি বঙ্গবন্ধুকে কী বলেছিলেন?

মোঃ হারুনুর রশিদ : বঙ্গবন্ধুর সাথে যতবার আমার কথা হয়েছিল তার মধ্যে আমার পরিবারের খোঁজ নেওয়া তাঁর প্রশ্নটি ছিল-তোমার পরিবারে আর কে কে আছে? এর উত্তরে আমি বলেছিলাম, আমার একটি বোন, আমি আর আমার বাবা-মা আছেন। তখন তিনি আমায় বললেন, তুমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে! কিভাবে তুমি মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার সাহস করলা? যদি মরে যেতা, তোমার পরিবারের কী হতো বুঝতে পারছো? আমি জবাবে বলেছিÑস্যার আপনার ৭ মার্চের ভাষণ আমাকে মুক্তিযুদ্ধে আসার জন্য পীড়া দিতো। তাই ঘরে বসে থাকতে পারিনি। তখন বঙ্গবন্ধু আমার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিয়ে বলেছেন, ভালো থেকো। বাবা-মায়ের প্রতি খেয়াল রেখো।

এইচএম জাকির : সে সময় বঙ্গবন্ধুর পোশাক-পরিচ্ছেদ কেমন ছিল?

মোঃ হারুনুর রশিদ : বঙ্গবন্ধু সে সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরতেন। বিশেষ করে খদ্দের কাপড়ের পোশাকই বেশি পরতেন।

এইচএম জাকির : বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আপনার কতবার দেখা হয়েছে?

মোঃ হারুনুর রশিদ : বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর টানা চৌদ্দ দিন আমি বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে দায়িত্বকালীন বহুবার দেখেছি। সংখ্যাটা সঠিক হিসেব করা মুশকিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর কক্ষ থেকে বেরিয়ে নিচে আসলেই দেখা হতো। তখন বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করার জন্যে বহু মানুষ আসতো, বিদেশি কূটনৈতিকরা আসতো, তাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সংখ্যাই ছিল বেশি। বঙ্গবন্ধু সবার সাথেই সাক্ষাৎ করতেন। আমার দায়িত্বের সময় তখন বঙ্গবন্ধুকে প্রতিবার দেখতাম।

এইচএম জাকির : মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতা বঙ্গবন্ধু আপনাকে কতটুকু অনুপ্রাণিত করেছে?

মোঃ হারুনুর রশিদ : মুক্তিযুদ্ধের নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের সে সময়ে আমরা কসবাতেই ছিলাম। তখন চারপাশে বাঙালির উপর পাকিস্তানিদের হামলার ঘটনা নিয়মিতই শুনতে পেতাম। তখন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাকে অনুপ্রেরণা দিতো দেশরক্ষায় নামার। বার বার সেই ভাষণটি শুনতাম। মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। আমি মুজাহিদ ট্রেনিং করেছিলাম। সে সময় একদল সেনাবাহিনী আমাদের এলাকায় আসে, মুজাহিদ ট্রেনিং করা লোকদের খোঁজে খোঁজে সেনাবাহিনীতে নিতো। আমাকেও তারা খুঁজে পায়। আমাকে সেনাবাহিনীতে এবং মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্যে বলা হয়, আমি এককথায় রাজি হয়ে যাই। আমার এই রাজি হওয়া মূলত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শোনার অনুপ্রেরণা থেকেই। ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল কসবা থেকে আমি আমার মা-বাবা ও বোনসহ আগরতলায় চলে যাই। সেখানে তাদের রেখে আমি সেনাবাহিনীতে চলে আসি। এরপরই আমি মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে নেমে পরি। প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সালদা এলাকায় যুদ্ধ করি। এরপর আমাকে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। সেখানে কিছুদিন যুদ্ধ করে নৌপথে চাঁদপুর হয়ে ঢাকায় চলে যাই। চাঁদপুর হয়ে যাওয়ার সময় আমাদের জাহাজে থাকা চাঁদপুরের সদস্যদের জন্যে একদিন নিজ নিজ বাড়িতে স্বজনদের সাথে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজ নোঙর করে আমরা যার যার বাড়িতে যাই। আমার বাবা-মা তখন আগরতলা। আমার চেহারা কালো হয়ে যাওয়ায় এবং দাঁড়ি-গোঁফ ও অনেকদিন পর বাড়িতে আসায় আমার আত্মীয়স্বজনরা আমাকে প্রথমে চিনতে পারে না। পরিচয় দেওয়ার পর চেনে। সবার খোঁজ-খবর নেওয়ার পর আমি জাহাজে চলে আসি। ঢাকায় যাওয়ার পর আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় গুলিস্তান এলাকায়। যুদ্ধ জয়ের শেষ পর্যায়ে আমি এখানেই ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে আমার অংশগ্রহণ মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের অনুপ্রেরণা ও তাঁর প্রতি ভালোবাসা থেকেই।

এইচএম জাকির : একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে এ সময়ে এসে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মোঃ হারুনুর রশিদ : বঙ্গবন্ধুকে মূল্য দেওয়ার মতো সাধ্য আমাদের কারো নাই। তবে তাঁর স্বপ্ন এবং রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজের শতভাগ বাস্তবায়ন করা গেলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাকি জীবনটা শেষ করতে চাই।

এইচএম জাকির : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারের এখন কী কী করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

মোঃ হারুনুর রশিদ : বর্তমান বাংলাদেশ অনেকটা উন্নতির দিকে এগিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এ দেশটাকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়া, কিন্তু তিনি সেটা করে যেতে পারলেন না। বঙ্গবন্ধু না থাকায় দেশটা অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। বর্তমান সরকার যেভাবে দেশের কল্যাণে কাজ করে চলছেন, তাতে দেশ অনেক এগিয়েছে। যদি বর্তমান সরকার এভাবে দেশের কল্যাণে কাজ করেন তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নটা পূর্ণতা পাবে।

এইচএম জাকির : বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আপনার কর্মকালে কোন স্মরণীয় ঘটনা থাকলে বলুন।

মোঃ হারুনুর রশিদ : বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যে ১৪ দিন আমি চাকুরি করেছি, আমার সামনে ঘটে যাওয়া সে সময়কার একটি ঘটনা বর্তমান যুগে এসে আমার বারবার মনে পড়ে। ঘটনাটি আমাকে ঘুব ভাবায়। ঘটনাটি ছিল এমন :

একদিন এক কৃষক বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে তার জমিনে চাষ করা কুমড়ার ডগা নিয়ে আসলেন বঙ্গবন্ধুর জন্যে। বঙ্গবন্ধু কুমড়ার ডগা খেতে খুব পছন্দ করতেন। তাই কৃষকের ভালোবাসা গ্রহণ করলেন বঙ্গবন্ধু। ফলস্বরূপ বঙ্গবন্ধু কৃষককে কুড়ি টাকা পুরস্কৃত করেন। সেদিনের পর থেকে ওই কৃষক প্রতিদিন বঙ্গবন্ধুর জন্যে কুমড়ার ডগা নিয়ে আসতেন। বঙ্গবন্ধুও কৃষককে প্রতিদিনই কুড়ি টাকা করে দিতেন। কিন্তু একদিন বঙ্গবন্ধু সরাসরি নিজে না দিয়ে বাসার কেয়ারটেকারের মাধ্যমে কৃষককে কুড়ি টাকা পাঠালেন। বঙ্গবন্ধুর সেই কেয়ারটেকার কৃষককে কুড়ি টাকা না দিয়ে দশ টাকা দিলেন। কৃষক একটু হতাশই হলেন এবং ভাবনায় মগ্ন হলেন! তিনি চলে না গিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির পাশে ঘুরাঘুরি করলেন। একসময় বঙ্গবন্ধু বাহিরে আসলেন, সেই সময় ওই কৃষক সামনে এসে দাঁড়ালেন এবং বঙ্গবন্ধুকে বললেন, স্যার আপনি প্রতিদিন আমাকে কুড়ি টাকা করে দিতেন, কিন্তু আজ দশ টাকা দিলেন কেন? বঙ্গবন্ধু এর কোনো উত্তর খুঁজে পেলেন না, শুধু কেয়ারটেকারকে ডেকে এনে বললেন, একটা কুড়ি টাকার নোট দোতলা থেকে নীচতলায় আসতে আসতে যদি দশ টাকায় রূপান্তরিত হয়, তাহলে কত টাকা বাজেট করলে আমার কৃষকের হাতে গিয়ে প্রকৃত খরচ পৌঁছবে! বঙ্গবন্ধু তখন কৃষককে কুড়ি টাকা পূর্ণ করে দিলেন এবং কেয়ারটেকারকে তার চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। এ বিষয়টি আমাকে এখনো ভাবায়!

এইচএম জাকির : সময় দেয়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

মোঃ হারুনুর রশিদ : আপনাকেও ধন্যবাদ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়