প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২২, ০০:০০
সবাইকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস শুভেচ্ছা। ‘টেকসই আগামীর জন্য/জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৮ মার্চ ২০২২ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায়, নারীর ক্ষমতায়নে নিরলস কাজ করে চলেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন বৈষম্যহীন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। সে লক্ষ্যগুলো তিনি সন্নিবেশিত করেছিলেন আমাদের সংবিধানে। নারী পুরুষের সম অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। নারীদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার নানা উদ্যোগ তিনি নিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা পিতার দেখানো পথেই নারীর জন্য সাম্যের পৃথিবী গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই তাঁর নেতৃত্বে আইন ও বিধি প্রণয়ন, প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে অন্যতম রোল মডেল। তাঁর কাছে আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।
জননেত্রী শেখ হাসিনা সূর্যের মত আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন ক্রমাগত আর আমরা আজ সে আলোয় আলোকিত। আমাদের উষ্ণতার উৎসও তিনি। নারী দিবসে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা, অভিনন্দন আর নিরন্তর ভালোবাসা জানাই।
স্মরণ করি সে প্রাতঃস্মরণীয় নারীদের যাদের সংগ্রাম, ত্যাগ, সাফল্যের মধ্য দিয়ে নারীর এগিয়ে যাবার পথ তৈরি হয়েছে আমাদের ভূখ-ে। বেগম রোকেয়া, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, লীলা নাগ, সুফিয়া কামাল, জাহানারা ইমামসহ আরও বহু প্রাতঃস্মরণীয়াকে। গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা ও সাহসের উৎস। বাঙালির ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ বাঁকবদলে তিনি অবদান রেখেছেন।
নারীকে এগিয়ে যেতে হবে। সব বাধার দেয়াল ভেঙে, ডিঙিয়ে তাকে এগিয়ে যেতেই হবে। পরিবার, সমাজ নারীর চারদিকে বাধার দেয়াল তুলে দিতে থাকে তার শৈশব থেকেই। সে দেয়াল ভেঙে বেরুনোই কষ্টকর হয় অনেক নারীর জন্য। নারীকে তার অন্তর্নিহিত শক্তিকে অনুধাবন করতে হবে। আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে সংগ্রাম করে হলেও এগিয়ে যেতে হবে।
নারীর জয়েই সবার জয়। নারী-পুরুষ সবার। সারা বিশ্বের জয়। নারীর পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্র পরিসরে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করবে, সবারই অগ্রগতি নিশ্চিত করবে, নিশ্চিত করবে সাম্য, শান্তি আর সমৃদ্ধির বিশ্ব।
আসুন সবাই নারীর পাশে দাঁড়াই। তার পথের বাধা দূর করতে কাজ করি। তার জন্য একটি সমতার বিশ্ব গড়ে তুলি। কারণ ‘টেকসই আগামীর জন্য/জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
লেখক : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী।