মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বন্যা-পরবর্তী স্বাস্থ্যরক্ষায় করণীয়

রিয়ানা ইসলাম রিম্পা
বন্যা-পরবর্তী স্বাস্থ্যরক্ষায় করণীয়

বন্যার সময় পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। তাই সব মিশে একাকার হয়ে যায়। ফলে দূষিত পানিতে নানা ধরনের জীবাণু ভেসে বেড়ায়, যেগুলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

ডায়রিয়া : বন্যার দূষিত পানি খাবার পানির উৎসগুলোকে দূষিত ও সংক্রমিত করে। এতে স্যানিটারি টয়লেটগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ হতে পারে। পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে খাওয়ার স্যালাইন বা ওআরএস দিতে হয়। স্যালাইন বানানোর জন্য অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে।

কলেরা : এই সময় পানিবাহিক রোগ কলেরা হতে পারে। এ রোগটি দূষিত পানি ও খাদ্যের মাধ্যমে ছড়ায়। কলেরায় আক্রান্ত হলে ডায়রিয়া ও বমি হয়। এ ছাড়া জীবাণু ও দূষিত পানি খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে টাইফয়েড হতে পারে। টাইফয়েড জ্বরে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা ও পেটে ব্যথা হয়। পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে বিশুদ্ধ পানি পান এবং সচেতনতা অবলম্বন করুন।

ঠাণ্ডাজ্বর : বৃষ্টির পানিতে ঠাণ্ডা লেগে অনেক সময় সর্দি-কাশি ও জ্বর হয়ে থাকে। বন্যার পানির ভেজা ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ঠাণ্ডার উপসর্গ থেকে দূরে থাকুন।

চর্মরোগ ও ফাঙ্গাসের সংক্রমণ : বন্যার দূষিত পানি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ সময় ত্বকে খোসপাঁচড়াসহ নানা ধরনের অসুখ হয়। এ ছাড়া বন্যার সময় আবহাওয়া আর্দ্র হয়ে যায়। স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা আবহাওয়ায় ফাঙ্গাসের বংশবিস্তার ঘটে। চর্মরোগের ক্ষেত্রে মেডিক্যাল টিম বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মশার উপদ্রব : বন্যার পর পানি জমে থাকা জায়গাগুলোতে মশার বংশবৃদ্ধি হয়, যা ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে। মশার জন্মস্থান ধ্বংস করতে জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলতে হবে।

সাপের কামড় : বন্যার পানি সাপের গর্তে ঢুকে যাওয়ার ফলে সাপ শুকনো জায়গার সন্ধানে মানুষের কাছাকাছি চলে আসে, তাই বন্যার পর লোকালয়ে সাপের চলাচল বেড়ে যায়। তা ছাড়া বন্যপ্রাণী, ইঁদুর ইত্যাদির জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

তাই এসব ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন ও নিরাপদে থাকা প্রয়োজন। পানিবন্দি মানুষরা চাইলেও সব রকম নিয়মকানুন মেনে চলতে পারে না। তাই যে কোনো অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। অথবা নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়