বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ০০:০০

চিকিৎসক ও নার্সদের আবাসন সংকট ॥ চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
মেহেদী হাসান ॥

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের আবাসন সঙ্কটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। উপজেলার সাড়ে চার লাখ জনগণের চিকিৎসা সেবার জন্য ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি ২০০৫ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৬ জন চিকিৎসক ও ২৮ জন সেবিকা (নার্স) দায়িত্বে রয়েছেন।

জানা যায়, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতি মাসে গড়ে বর্হিবিভাগে প্রায় ৪শ’ ৫০ জন রোগী সেবা গ্রহণ করে থাকেন। প্রতি মাসে ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫শ’ জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত সিজার ও মাইনর অপারেশন করা হয়। জুনিয়র কনসালটেন্ট, গাইনী, অ্যানেস্থেলজিস্ট, কার্ডিওলজি, ইএনটি, চর্ম ও যৌনরোগে অভিজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। চিকিৎসক ও সেবিকাদের থাকার ৩টি ভবন প্রায় ৪ বছর পূর্বে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ইউএইচএফপিও এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ দুজন চিকিৎসকের বাসভবন থাকলেও তা বসবাসের অনুপযোগী। ফলে সেখানে কোনো চিকিৎসক থাকেন না। শুধুমাত্র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সোহেল রানা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি পরিত্যক্ত ভবনে বসবাস করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন।

নার্সদের আবাসনের জন ভবন থাকলে সেখানে দুজন নার্স থাকতে পারেন, বাকিদের বাইরে ভাড়া বাসায় থাকতে হয়। এছাড়া ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য নির্মিত ভবনটি গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক পরিত্যক্ত ঘোষণা করার কথা থাকলেও নতুন কোনো ভবন নির্মাণ না করায় এ ভবনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন তারা। তাছাড়া ৪টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে রঘুনাথপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি প্রায় ৭-৮ বছর পূর্বে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চিকিৎসক ও সেবিকাদের থাকার ভবনগুলোর ছাদ ও দেয়াল খসে পড়ায় ভবনের ভেতরে বৃষ্টির পানি অনায়সে প্রবেশ করছে। ফলে তারা ওই ভবনগুলোতে বসবাস করছেন না।

চিকিৎসকগণ বলেন, তাদের জন্যে বহু বছর পূর্বে তৈরি করা আবাসিক ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। ফলে চিকিৎসকদের কাছ থেকে সঠিক সময়ে সেবা নিতে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। সেবিকাদেরও অধিকাংশই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। যার ফলে সরকারও বিশাল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজন কুমার দাস বলেন, চিকিৎসক ও সেবিকাদের আবাসন সঙ্কটের বিষয়টি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরেও সমাধান হয়নি।

সেবাগ্রহীতারা বলেন, আবাসিক সঙ্কটের কারণে বেশির ভাগ চিকিৎসক নিয়মিত কর্মস্থলে থাকছেন না। জরুরি প্রয়োজনে রোগীদের চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসদের আবাসিক ভবন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণের জন্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় জনগণ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়