সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ০০:০০

মানসিক সমস্যায় আকুপ্রেশার চিকিৎসা
অনলাইন ডেস্ক

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

স্ট্রোক/প্যারালাইসিস : গেঁটে বাতকে হাই পাওয়ারের ঔষধ সেবন করে চাপা দিলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া থাইরয়েড/প্যরাথাইরয়েড গ্রন্থি ও যৌনগ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এড্রিনাল গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শরীরে অক্সিজেনেশান ক্রিয়া বিঘœ ঘটে এবং মস্তিষ্কে ঠিকমত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। এর সাথে মানসিক চাপ যুক্ত হলে রোগী স্ট্রোক করে। তখন শরীরের এক পাশর্^ অবশ হয়ে যায়। অর্থাৎ প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়।

চিকিৎসা : ১) হ্যান্ড-রোলার ও ফুট রোলার দিনে দুবার পাঁচ মিনিট করে রোলিং করুন।

২) প্রতিদিন লোহা/তামা/রূপা/সোনা দ্বারা চার্জিত পানি চার গ্লাস থেকে দুই গ্লাস করে পান দু মাস পান করতে হবে।

৩) ১, ২, ৫, ৭, ৮, ৯, ১১, ২২, ২৩, ২৫, ২৮, ৩৬ ও সাইটিকা বিন্দুতে দিনে দুবার এক মিনিট করে চাপ দিতে হবে।

৪) একটি নাইলনের কাপড় কাচার ব্রাশ উভয় পায়ের তালুতে সকাল-বিকেল পাঁচ মিনিট করে ঘষতে হবে। যাতে পায়ের তালু মাথার তালু অপেক্ষা বেশি গরম হয়।

৫) প্রতি রাতে এক চা চামচ তেঁতুলের বিচির গুঁড়া, এক চা চামচ গুঁড়া দুধ ও প্রয়োজনীয় পরিমাণ চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে তার মধ্যে এক গ্লাস গরম পানি ঢেলে দিয়ে আবার ভালোভাবে মিশিয়ে পান করুন।

মানসিক সমস্যা

আমাদের শরীরের উপর মনের প্রভাব আছে। সকল অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিগুলো একযোগে কাজ করে মনের যে কোনো খারাপ প্রতিক্রিয়াকে সহ্য করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, হতাশা, অনিদ্রা ও অস্থিরতার কারণে একাধিক অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় গ. ঋ. ও ঘ.চ. বিন্দুতে চাপ দিলে ব্যথা হয়। যদি ব্যথা অসহ্য হয়, তবে ওই ব্যক্তি ভেঙে পড়তে চলছেন। এই অবস্থায় এক হাতের আঙ্গুলগুলো অন্য হাতের আঙ্গুলগুলোর মধ্যে ২১নং চিত্রের অনুরূপভাবে জড়িয়ে সজোরে চেপে ধরুন। তারপর ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে বাম হাতের পেছনে এবং বাম হাতের আঙ্গুল দ্বারা ডান হাতের পেছনে দুই মিনিট চাপ দিন।

পায়ের আঙ্গুলগুলোর মধ্যে হাতের আঙ্গুলগুলো ঢুকিয়ে ২২নং চিত্রের অনুরূপ সজোরে দুই থেকে তিন মিনিট চাপ দিন। হঠাৎ অজ্ঞান হওয়া রোগীদের এভাবে চাপ দিলে দ্রুত জ্ঞান ফিরে আসে।

পায়ের মধ্যমা আঙ্গুলের গোড়ায় চাপ দিলে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হলে রোগী ভেঙ্গে পড়তে চলছেন। তাৎক্ষণিক রোগীকে চিৎ করে শোয়ায়ে দিয়ে দু পায়ের মধ্যমা আঙ্গুলের গোড়ায় রাবারের ব্যান্ডেজ পরিয়ে দিন। অল্প সময়ের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা দূর হয়ে যাবে। (চলবে)

অধ্যাপক কে. এম. মেছবাহ্ উদ্দিন : বিভাগীয় প্রধান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ। ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।

[পরের পর্ব আগামী সংখ্যায় প্রকাশিত হবে]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়