প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সপ্তাহে ২০ কোটি মানুষ এখন চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে
একসময় যুগান্তকারী চ্যাটবটটির সাপ্তাহিক ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিলো ১০ কোটি, যা এক বছরেরও কম সময়ে দ্বিগুণে গিয়ে পৌঁছালো। সম্প্রতি সপ্তাহে ২০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফলক স্পর্শ করেছে চ্যাটজিপিটি--এমনই দাবি চ্যাটবটটির নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআই-এর।
গত বছরের নভেম্বরে কোম্পানিটি ঘোষণা করেছিল, যুগান্তকারী এ চ্যাটবটের সাপ্তাহিক ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০ কোটি, যা এক বছরেরও কম সময়ে দ্বিগুণে গিয়ে পৌঁছালো।
কোম্পানির এক মুখপাত্র প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেটকে বলেছেন, জুলাইয়ে এর ‘জিপিটি-৪.০ মিনি’ সংস্করণ চালুর পর থেকে চ্যাটবটটির এপিআই ব্যবহারের মাত্রাও দ্বিগুণ হয়েছে।
গত বছরজুড়ে ওপেনএআইয়ের বড় অগ্রগতি শুধু ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি, বিষয়টি এমন নয়। গেলো গ্রীষ্মে কোম্পানির সিইও স্যাম অল্টম্যান কর্মীদের বলেছিলেন, তাদের বার্ষিক আয়, যেখানে শুধু মাসিক আয়ের হিসাব বিবেচনায় নিয়ে তা থেকে পুরো বছরের হিসাব করা হয়, তা ২০২৩ সালের শেষে ১৬০ কোটি থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪০ কোটি ডলারে।
চ্যাটজিপিটি’র ব্যবহারকারী সংখ্যার এ ঘোষণা বাদেও সম্প্রতি মার্কিন বাণিজ্য দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ওপেনএআই’তে নতুন করে বিনিয়োগ করার লক্ষ্যে কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে অ্যাপল, এনভিডিয়া ও মাইক্রোসফট।
এ থেকে ইঙ্গিত মেলে, এ ফান্ডিং রাউন্ডের সম্ভাব্য বিনিয়োগে ওপেনএআইয়ের বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
২০১৯ সালের পর থেকে বিভিন্ন এআই ব্যবসায় এক হাজার তিনশ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে মাইক্রোসফট। এদিকে, অ্যাপলও ঘোষণা দিয়েছে যে, তাদের আসন্ন ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ কর্মযজ্ঞের সিংহভাগ জুড়ে থাকবে চ্যাটজিপিটি।
অন্যদিকে, গেল গ্রীষ্মে বিভিন্ন ব্যবসার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে ইউরোপীয় কমিশন অ্যান্টিট্রাস্ট বিষয়ক শঙ্কার কথা তুলে ধরায় ওপেন এআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে নিজেদের আসন ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল মাইক্রোসফট ও অ্যাপল উভয়ই।