শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অনলাইনে গেমসের ফাঁদে ফেলে কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে প্রতারণা বাড়ছে

তথ্যপ্রযুক্তি কণ্ঠ প্রতিবেদক ॥
অনলাইনে গেমসের ফাঁদে ফেলে কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে প্রতারণা বাড়ছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন গেমসের কমিউনিটিতে পাবজি ও ফ্রি ফায়ার খেলার গ্রুপে ফাঁদ পেতে কিশোরী-তরুণীদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে সমাজে অপরাধ বাড়ছে। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা এসব কর্মকাণ্ড করে সমাজের মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। অভিভাবকরাও কিশোর-কিশোরীদের কারণে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছে।

সম্প্রতি এসব অভিযোগে তাসিউর রহমান শিশির নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ভুক্তভোগী এক কিশোরীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৮ ডিসেম্বর সোমবার গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার মোল্লাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, অনলাইনে বেশ কিছু গেমস খেলতে পার্টনার প্রয়োজন হয়। শিশির গত কয়েক বছর ধরে উঠতি বয়সি কিশোরীদের গ্রুপে গেমস খেলার জন্যে সংগ্রহ করে। তার পার্টনার হয়ে গেম খেলার সুযোগে সে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতো। এরপর কৌশলে মোবাইল নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর, ইনস্টাগ্রাম আইডি ও ফেসবুক আইডিতে সংযুক্ত হতো। বন্ধুত্ব চলাকালে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ভিডিও কলে কথা বলতো।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, এক সময় তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আপত্তিকর ভিডিও পাঠিয়ে অনৈতিক কাজে প্রলুব্ধ করতো। এরপর তার দৃশ্য স্ক্রিন রেকর্ডারের মাধ্যমে রেকর্ড করতো। পরে সেই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে আরও ছবি ও ভিডিও করতে বাধ্য করতো।

ডিবি কর্মকর্তা বলেন, পরে এগুলোকে হাতিয়ার বানিয়ে আরও আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ও টাকা-পয়সা আদায় করতো। গত এক বছরে অন্তত ২০ কিশোরী শিশিরের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এটা শুধু এক স্থানেই নয়, সারাদেশেই এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঝে মাঝে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দু-একজনকে হয়তো গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু বহু কিশোর-কিশোরী রয়েছে, যারা প্রতারিত হয়েও থানায় অভিযোগ করতে যায়নি বা সাহস করেনি। এমন ভুক্তভোগীর সংখ্যাও অনেক। তাই আমাদের প্রত্যাশা, আজকের তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সীকে সাবধান হওয়া উচিত। অনলাইনে বহু ধরনের ছদ্মবেশী রয়েছে, তাদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কও রয়েছে। না জেনে, না বুঝে এসব প্রলোভনে পড়ে কারও দাবার গুটি হওয়ার আগে ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে। তাহলে আপনি থাকবেন নিরাপদ। সমাজ হবে অপরাধমুক্ত।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়