বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

স্মার্টফোন ধীরগতির হয়ে গেলে কী করবেন?
সাদিয়া আফরিন হীরা

যখন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি প্রত্যাশার চেয়ে ধীরগতিতে কাজ করে, তখন তা ব্যবহারকারীদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যতই আধুনিক প্রজন্মের ডিভাইস ব্যবহার করেন না কেন, নানা জানা-অজানা কারণে আপনার ডিভাইসটি কাঙ্ক্ষিত পারফারম্যান্স না-ই দিতে পারে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের প্রয়োজনীয় টিপস জেনে নিন।

রিস্টার্ট দিন : হঠাৎ করেই যদি লক্ষ্য করেন আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি ধীরগতিতে কাজ করছে, তবে সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপটি হলো ডিভাইসটি রিস্টার্ট করা। ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা অ্যাপগুলো সাময়িকভাবে আপনার ফোনকে স্লো করে দিতে পারে, কিন্তু এর নির্দিষ্ট কারণ প্রায়ই শনাক্ত করা যায় না। এতে করে ব্যবহারকারীরা বেশ বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে। তাই রিস্টার্ট দিয়ে এদের কাজ বন্ধ করার একটি দ্রুত এবং কার্যকর পদ্ধতি।

অ্যান্ড্রয়েডের মেমোরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি বেশ চমৎকারভাবে কাজ করে এবং বেশিরভাগ মোবাইলেই যথেষ্ট র‌্যাম থাকে। কিন্তু আপনি যদি ৩ কিংবা ৪ জিবির কম র‌্যামের ডিভাইস ব্যবহার করে থাকেন, তবে সপ্তাহে অন্তত একবার রিস্টার্ট দিলে আপনার ফোনটি ভালো থাকবে।

স্টোরেজ প্লেস খালি করুন : একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবহার করলেই ব্যবহারকারীরা স্টোরেজ ফুরিয়ে যাওয়ার সমস্যাটিতে ভোগেন। যখন দেখবেন আপনার ফোনের গতি কমে গেছে ও স্ক্রল বাটনটি খুব স্লো কাজ করছে, তখনই বুঝবেন স্টোরেজের স্বল্পতা থাকতে পারে। আপনার ডিভাইসে যখন ১০ শতাংশের কম স্টোরেজ স্পেস অবশিষ্ট থাকে তখনই এ ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দেয়। স্টোরেজের ২০ শতাংশ অব্যবহৃত রাখলে আপনার ডিভাইসটি তুলনামূলক দ্রুত কাজ করবে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করুন : অনেক সময় আমরা এমন অ্যাপ ডিভাইসে ইনস্টল করে রাখি, যা ব্যবহার করি না। এসব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো আপনার মোবাইলের স্টোরেজ স্পেস নিয়ে নেয়। আর যদি সেগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে, তবে মেমোরি আটকে যেতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো আনইনস্টল করে ফেললে আপনার ফোনটির গতি বাড়বে এবং ব্যাটারিও ভালো থাকবে। বিভিন্ন উপায়ে অ্যাপ আনইনস্টল করা যায়।

অ্যাপ আইকনটিকে দীর্ঘক্ষণ চাপ দিয়ে ধরে রাখলে পাশেই আনইনস্টল অপশনটি চলে আসবে, তারপর তা নির্বাচন করে ক্লিক করলেই অ্যাপটি আনইনস্টল হয়ে যাবে। তবে যদি আপনি অ্যাপ ডিলিট করতে না চান, তাহলে এর ক্লিশে ফাইলগুলো ডিলিট করতে পারেন। তাতেও বেশ খানিকটা স্টোরেজ খালি হবে। এই উপায়গুলো অবলম্বন করে ক্লিশে ফাইল ডিলিট করতে পারবেন :

* ফোনের সেটিংস অপশনে যান।

* স্টোরেজ অপশনটি ট্যাপ করুন।

* আদার অ্যাপস অপশন ট্যাপ করুন।

* যে অ্যাপের ক্লিশে ডিলিট করতে চান, সেটি সিলেক্ট করে তারপর ক্লিয়ার ক্লিশে বাটনে চাপ দিয়ে ফাইলগুলো ডিলিট করুন।

* সিস্টেম এনিমেশন স্পিড পরিবর্তন করুন : এনিমেশনের স্পিড বলতে যে কোনো অ্যাপ খোলার জন্য যখন ক্লিক করা হয়, অ্যাপটি খুলতে যতক্ষণ সময় লাগে তাকেই বুঝায়। আপনার অ্যানড্রয়েড ফোনে সিস্টেম এনিমেশনের স্পিড কমিয়ে দিন, তাতে করে যদিও ফোনের গতি বাড়বে না, তবে এটি ডিভাইসের অ্যাপগুলো দ্রুত কাজ করছে এমন একটি ধারণা দেবে। সিস্টেম এনিমেশন অপশনটি সম্পূর্ণ টার্ন-অফ করলে আরো ভালো ফলাফল পাবেন। আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি স্লো কাজ করলে এই কৌশলটি প্রায় জাদুর মতো মনে হবে। ডিভাইসে এই সেটিংটি সাধারণত ডেভেলপার অপশনে লুকানো থাকে। মোবাইলের সেটিং অপশন থেকে সিস্টেম অপশনে গিয়ে ড্রয়িং সেকশনে যেতে হবে। সেখানে তিন ধরনের এনিমেশন স্কেল পাবেন। যত কম গতিতে সেট করবেন তত দ্রুত আপনার ডিভাইসটি কাজ করবে।

লাইট এডিশন অ্যাপ ব্যবহার করুন : ফেসবুকের মতো অনেক অ্যাপই অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর জন্য লাইট অ্যাপ অফার করে থাকে। এই অ্যাপগুলো আপনার ফোনের স্টোরেজে তুলনামূলক কম জায়গা দখল করবে। গুগল তার লাইট অ্যাপ বন্ধ করে দিলেও, অনেক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এখনো তাদের লাইট ভার্সন অফার করছে।

সফটওয়্যার আপডেটেড রাখুন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ঠিকমতো কাজ না করলে সফটওয়্যার আপডেট অপশনটি চেক করুন। গুগল প্রতিটি নতুন রিলিজের সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েডকে অপটিমাইজ করে থাকে। বেশির ভাগ মোবাইল কম্পানিও তাদের সফটওয়্যারগুলোর জন্য একই কাজ করে। প্রতিনিয়তই অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সফটওয়্যার আপডেট ভার্সন আসতে থাকে। দেরি না করে তা ইনস্টল করে ফেলুন। ফোনের সফটওয়্যার আপডেট হয়ে গেলে গুগল প্লে স্টোরে চেক করুন আপনার ব্যবহৃত অ্যাপসগুলোর কোনো আপডেট বাকি আছে কি না। সেগুলোও দ্রুত সেরে ফেলুন। এ ছাড়া অটোমেটিক আপডেট অপশনটি চালু করতে পারেন। এতে করে ওয়াই-ফাই সংযোগ থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপগুলো আপডেট হতে থাকবে। মোবাইল ডাটার মাধ্যমেও অটোমেটিক আপডেট অপশনটি চালু রাখতে পারেন, তবে এতে করে আপনার ইন্টারনেট প্যাক ফুরিয়ে গেলে অতিরিক্ত ফি গুনতে হতে পারে।

কাস্টম রম ইনস্টল করুন : আপনার যদি তুলনামূলকভাবে পুরনো ও ধীরগতির অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল থাকে, যার ওয়ারেন্টিও শেষ হয়ে গেছে, তবে আপনি একটি কাস্টমাইজ করা রম বা কার্নেল ইনস্টল করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। এতে করে ডিভাইসের পারফরম্যান্স আগে থেকে তুলনামূলক ভালো পাবেন ও নতুন সফটওয়্যারও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে রমটি লাগানোর আগে নিশ্চিত করুন যে আপনার ফোনের বুটলোডারটি যাতে আনলক করা না যায়। কাস্টমাইজ করা রম বা কার্নেল রুট এবং ইনস্টল কিভাবে করবেন তা ডিভাইসটির ভেরিয়েন্ট এবং প্রস্তুতকারক কম্পানির ওপর নির্ভর করে আলাদা হয়ে থাকে।

ফ্যাক্টরি রিসেট দিন : এখন পর্যন্ত সব পরামর্শ কাজে লাগিয়েও যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটির সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে এর আরেকটি উপায় হলো ফ্যাক্টরি রিসেট। ফোনের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ফ্যাক্টরি রিসেট একটি চমৎকার পন্থা হলেও কিছু অসুবিধাও আছে। এটি আপনার ডিভাইসটিকে তার নতুন অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়, কিন্তু আগের সব ডাটা মুছে দেয়। যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ফ্যাক্টরি রিসেট করতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে প্রথমেই প্রয়োজনীয় ডাটার একটি ব্যাকআপ তৈরি করে ফেলুন। তারপর ফ্যাক্টরি রিসেট দিন, এতে আপনার ডিভাইসটি নতুন অবস্থায় ফিরে যাবে, সঙ্গে আপনার সব ডাটাও সুরক্ষিত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়