প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে জেলা শহরে ব্যাপক পরিচিতি ছিলো তার। ফুটবল খেলা অবস্থায় নিজ জেলাসহ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত ফুটবল লীগ ও ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলেছেন। চাঁদপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়িক কেন্দ্র পুরাণবাজারের সুপরিচিত শিশু ক্লাব থেকে প্রতিষ্ঠিত ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে কোচ, খেলোয়াড়সহ দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। শরীর চিকন হওয়ার কারণে ফুটবলের মধ্য মাঠে খেলতেন। স্ট্রাইকার হিসেবে ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবসহ জেলার অনেক ক্লাবের হয়ে মাঠ মাতিয়েছিলেন। সম্প্রতি ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের রুবী জয়ন্তী উৎসবে সাজসজ্জা উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফুটবল খেলা ছেড়ে দেয়ার পর তিনি ফুটবল কোচ ও ব্যাডমিন্টনের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ব্যাডমিন্টনও তিনি ভালো খেলতেন। ব্যবসায়িক কাজে ছিলো তার ব্যাপক পরিচিতি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একজন ভালো মানুষ হিসেবেই ক্রীড়াঙ্গনসহ পুরাণবাজার এলাকায় ছিলো তার ব্যাপক সুনাম। আর তিনি হলেন মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব। তার বাবার নাম মরহুম আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফা কামাল। মায়ের নাম মরহুমা মাকসুদা বেগম। ৩ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তার মেঝো ভাই ক্রীড়া সংগঠক মাহবুবুর রহমান মানিক ইঞ্জিনীয়ার হিসেবে ব্যবসায়ীদের কাছে পরিচিত মুখ। তার হাতেই পুরাণবাজার, লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন রাইস মিল গড়ে উঠেছে। ছোট ভাই সোহেল তাদের ব্যবসার সাথেই জড়িত রয়েছেন। একমাত্র বোন মাহমুদা মুক্তা গৃহিণী।
সকলের পরিচিত মুখ হাবিবুর রহমান হাবিব গত ১৯ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার সময়ে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সকল শুভাকাক্সক্ষীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫১ বছর। ওইদিন বাদ এশা পুরাণবাজার বড় মসজিদ সংলগ্ন নতুন রাস্তায় প্রথম জানাজা এবং তাদের নিজ বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নস্থ ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রাহিমা বেগম ও ২ ছেলে রেখে যান। তার বড় ছেলে রাকিবুল হাসান রিয়াদ পুরাণবাজার কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন এবং ছোট ছেলে মিহাদ হাসান আফিফ চাঁদপুর শহরের বেগম জামে মসজিদে হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করছেন। মৃত্যুর আগে তিনি সোহেল ইঞ্জিনীয়ারিং ওয়ার্কশপ ও জিহাদ এন্টারপ্রাইজের পরিচালক ছিলেন। বসবাস করতেন পুরাণবাজার নিতাইগঞ্জ রোডস্থ মরহুম রুস্তম আলী মিয়ার বাড়িতে। ২৬ বছর বয়সে তিনি ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন। তার মৃত্যুর পর ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তার প্রিয় ক্লাব ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাব সূত্রে জানা যায়, হাবিব ২নং বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি জীবন শেষ করে মাধ্যমিকে ভর্তি হন পুরাণবাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে পড়াশোনা করেন পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজে। ১৯৮০ সালে শিশুক্লাব থেকে ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি এই ক্লাবের সাথেই ছিলেন। তুখোড় ফুটবলার হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। ওই সময়ে একটি কথা প্রচলিত ছিলো, হাবিব মাঠে নামা মানেই বিপক্ষ দলের সাথে জয় পাওয়া এবং হাবিবের গোল করা। হাবিব ভাই ভাই স্পোার্টিং ক্লাবের হয়ে ঢাকায় যাদুকর আবদুস ছামাদ ও শাহ স্পোর্টস কাপ ফুটবলে খেলেছেন। ঢাকার মাতুয়াইল ক্লাবের হয়ে পাইওয়ানিয়ার ফুটবল খেলেছেন। খেলেছেন ভিক্টোরিয়ার হয়ে ঢাকার মাঠে। বালারবাজার ফুটবল লীগসহ জেলার প্রত্যেকটি উপজেলাতেই ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে তিনি মাঠ মাতিয়েছিলেন। চাঁদপুর জেলা দলের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৬ ও ১৮ ফুটবল খেলেছেন। খেলেছেন জেলা ফুটবল লীগ ও জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। তার নেতৃত্বে ১৯৯৩ সালে মধুসূদন মাঠে ফারুক স্পোর্টস কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি এই ক্লাবের হয়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে অংশ নিতেন। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবসে তিনি ভলিবল খেলায় নিয়মিত অংশ নিতেন। খেলাধুলা ছেড়ে দিলে পরবর্তীতে ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের টিম ম্যানেজার ও কোচের দায়িত্বে ছিলেন। জেলা প্রশাসক কাপ ফুটবল ও জেলা ফুটবল লীগে ভাই ভাই ক্লাবের হয়ে টিম ম্যানেজার এবং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে হাইমচরসহ স্থানীয় বেশ ক’টি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ী হয়েছেন। তার মৃত্যুতে ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাব একজন প্রিয় ক্রীড়া সংগঠককে হারিয়েছেন।
চাঁদপুর জেলা শহরের বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠক, কোচ ও সাবেক খেলোয়াড়দের সাথে মরহুম হাবিবুর রহমান হাবিবের বিষয়ে আলাপকালে তারা বলেন, আমরা আমাদের প্রিয় একজন মানুষকে হারিয়েছি। যে খেলার মাঠে কখনো কারো সাথে খারাপ আচরণ করেননি। সতীর্থদেরকে সবসময়ই আনন্দ দিয়ে গেছেন। উদীয়মান খেলোয়াড়দেরকে খেলাধুলার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন। বিভিন্নজনের সাথে আলাপকালে তারা তুলে ধরেছেন হাবিবের জীবনের বিভিন্ন বিষয়। পাঠকদের জন্যে তুলে ধরা হলো তাদের দেয়া হুবহু বক্তব্যগুলো।
ফুটবল কোচ ও ক্রীড়া সংগঠক, চাঁদপুরের পরিচিত আইনজীবী অ্যাডঃ আবুল কালাম সরকারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, হাবিব চমৎকার লোক ছিলো। ও ভালো ফুটবল খেলতো। সমন্বয়টা ছিলো খুব ভালো। ঢাকায় শাহ স্পোর্টস কাপে খুবই ভালো খেলেছে। সে এ গ্রেডের খেলোয়াড় ছিলো। খেলা ছিলো পরিচ্ছন্ন। লিটন সরকার ও তার সমন্বয় ছিলো। খেলার মাঠে মনোযোগী ছিলো সে। তার মৃত্যুতে ভালো একজন সংগঠক হারিয়েছি। আমার অধীনে তাকে ক্যাম্পিং করিয়েছিলাম।
সাবেক ফুটবলার ও ফুটবল কোচ বোরহান খানের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, হাবিব একজন ভালো ফুটবলার ছিলেন। ও ভালো মানুষ হিসেবে সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতো। আমার অধীনে অনেক প্র্যাকটিস করেছে। খেলাধুলার পর ব্যবসায়িক কাজে জড়িয়ে পড়ে। একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও ভালো ছিলো। ফুটবলের প্রতি তার অনেক আগ্রহ ছিলো।
ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের গভর্নিংবডির চেয়ারম্যান ও ক্রীড়া সংগঠক আক্তার হোসেন সাগরের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, হাবিব আমাদের ক্লাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জড়িত ছিলো। এই সংগঠনটি এখানে আসার পিছনে ছিলো তার অনেক অবদান। সে একজন ভালো খেলোয়াড় ছিলো। তার অবদান ছিলো অনেক। পুরাণবাজারের একজন ভালো ফুটবলার ছিলো। সে এমনভাবে চলাফেরা করতো যে, কেউই টের পেতো না। আমরা একসাথে অনেক খেলাধুলা করেছি। আমি আমার ভালো একজন লোককে হারিয়েছি। হাবিবকে হারিয়ে আমরা একজন ভালো ক্রীড়া সংগঠককে হারালাম।
সাবেক ফুটবলার ও ক্রীড়া সংগঠক, ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজানের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমরা একসাথে খেলেছি, ও আমার বন্ধু ছিলো। সে একজন ভালো ফুটবলার ছিলো। তাকে সবাই ভালো হিসেবে জানতো। ক্লাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সকল কিছুর সাথে জড়িত ছিলো সে।
ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের মহাসচিব ও ক্রীড়া সংগঠক জাকারিয়া ভূঁইয়া বতুর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, হাবিব আমার সিনিয়র ছিলো। ক্লাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তার ছিলো অনেক অবদান। আমরা বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও লীগ ফুটবলে তার মাধ্যমে জয় পেয়েছি। মানুষের সাথে ও খুব ভালো ব্যবহার করতো। তার খেলার বিচরণ ছিলো মাঠের সব স্থানেই। বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রাও তার খেলা দেখে মুগ্ধ হতেন। ডিসিপ্লিনড খেলা খেলতো সে। আল্লাহতায়ালা তাকে বেহেস্ত নসিব করুক এই দোয়া করি।
ভাই ভাই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও বতর্মান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বাদলের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ১৯৮০ সালে ৪র্থ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় আমরা এ ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করি। শিশুক্লাব থেকেই আজকের ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাব। ঢাকাতে হাজারীবাগ পার্ক মাঠে আমরা একসাথে খেলি। আমরা ঢাকা আউটার স্টেডিয়াম মাঠে খেলি। ও ছিলো সম্পর্কে আমার খালাতো ভাই। হাবিব ফেনীতে ভাই ভাই ক্লাবের হয়ে খেলতে নামে। হাবিব ভাই ভাই ক্লাবের ফুটবল খেলায় থাকতো নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে। তার মৃত্যুতে আমরা সক্রিয় প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে হারালাম।
ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মরহুমের মেঝো ভাই ক্রীড়া সংগঠক মাহবুবুর রহমান মানিকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ক্লাবের একজন নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন। আমার বড়ভাই হলেও তিনি বন্ধুর মতোই চলাফেরা করতেন। যখন ক্লাবের কোন কমিটির ব্যাপারে কথা হতো আমি ছোট ভাই থাকাতে তিনি কোনো মতামত ব্যক্ত করতেন না। উনি একজন ভালো ফুটবলার ছিলেন। বন্ধুসুলভ আচরণই করেছেন সবসময়। পারিবারিক ও ব্যবসায়িক ব্যাপারে আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতেন। আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাতবাসী করুক-এই দোয়া করি।
সাবেক ক্রিকেটার ও ফুটবলার বর্তমানে একজন সফল ব্যাংকার সঞ্জয় দাস সুমন বলেন, হাবিবসহ আমরা অসীম এবং অজুর্ন দা’র পরের প্রজন্ম। ছোটকাল থেকেই আমরা শিশুক্লাব করেছি, পরবর্তীতে ভাই ভাই ক্লাবে ছিলাম। সে ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলো। ওই সময় হাবিব ৪ ফুট ১০ ইঞ্চির ফুটবলার হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি ছিলো। সে নিরিবিলি জীপনযাপন করতো। সে আমার প্রিয় বন্ধু ছিলো। একসাথে খেলেছি এবং একসাথে পড়েছি এবং একসাথে ঘুমেয়েছি। আমরা একসাথে অনেক সময় কাটিয়েছি। ভাই ভাই ক্লাবের ছনের ঘরে একসাথে অনেক সময় কাটিয়েছি। আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে।
ফুটবলার ও ফুটবল কোচ টুটুল চক্রবর্তীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ডাঃ মুনতাকিম হায়দার রুমী তার অসুস্থতায় সেবার ব্যাপারে অনেক সহযোগিতা করেছেন। হাবিব আমার একজন ভালো বন্ধু ছিলো। ডাঃ রুমী আমার বন্ধুকে মৃত্যু পর্যন্ত বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করেছেন। ও শুধু বন্ধুই ছিলো না পারিবারিকভাবে ওর সাথে সম্পর্ক ছিলো। ও সিলেটে আমার সাথে মা মনি গোল্ডকাপে খেলেছে।
সাবেক ফুটবলার ও ক্রিকেটার ইয়াকুব বিন ছায়েদ লিটন সরকারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ওর মত মানুষ হতেই পারে না। ওর মনমানসিকতা ছিলো অনেক ভালো। ও অনেক ভালো লোক ছিলো। সে আমার সাথে অনূর্ধ্ব ১৪ ও ১৬ ফুটবল খেলেছে। আমরা একসাথে জেলা ফুটবল দলের হয়ে খেলেছি। ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করে গেছেন।
সাবেক ক্রিকেটার ও ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় প্রদীপের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, হাবিব অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলো। খেলাধুুলার ক্ষেত্রে সকলের সাথেই চলতো। ফুটবলে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে খেলেছে। পরবর্তীতে সে আমার সাথে ব্যাডমিন্টনও খেলেছে। আমি ওকে ব্যাডমিন্টনে পার্টনার নিয়ে খেলেছি। ৩ বছর আগে ৫নং ঘাট এলাকায় রাইস মিল মাঠে আঃ রশিদ স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের খেলায় আমরা দ্বৈতভাবে চ্যাম্পিয়ন হই। আমি যখন ক্রিকেট খেলি, ও তখন নিয়মিত ফুটবল খেলতো। যদি সে ফুটবল খেলাটি চালিয়ে যেতো তাহলে ঢাকার বড় বড় ক্লাবে খেলার সুযোগ পেতো বলে আমার বিশ^াস ছিলো। সে তখন ঢাকার মাতুয়াইলে ফুটবল খেলতো।
জেলার প্রমীলা ফুটবলারদের পর্ব-২
চাঁদপুর জেলার ফুটবলাররা একসময় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলসহ রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খেলেছেন। ঢাকা কিংবা বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায় যদি ফুটবল খেলা হতো তাহলে খেলোয়াড়দেরকে খুঁজে পাওয়া যেতো।
আজ কয়েক বছর যাবৎ সে ফুটবলারদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না ঢাকার মাঠে দু-একজন ছাড়া। সে সাবেক ফুটবলারগণ কয়েকজন মিলে ফুটবল একাডেমি গড়ে তুলেছেন। আর এই একাডেমির মধ্যে চাঁদপুর সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমিতে বর্তমানে অনুশীলন করেছেন প্রমীলা ফুটবলারগণ। চাঁদপুর কণ্ঠের পক্ষ থেকে ক্রীড়াকণ্ঠের ধারাবাহিক আয়োজনে প্রমীলা ফুটবলারদের স্বপ্ন, তাদের লক্ষ্য ও বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়। ধারাবাহিকভাবে চলবে প্রমীলা ফুটবলারদের নিয়ে ক্রীড়া কণ্ঠের প্রতিবেদন। আজ দ্বিতীয় পর্বের প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন ক্রীড়া প্রতিবেদক চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম।